হিজাব-বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল গোটা ইরান। দেশটির ৮০টি শহরে চলছে বিক্ষোভ। এরই মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ গেছে ৫০ জনের। সরকারও বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
চলছে ধরপাকড়। বন্ধ করে দিয়েছে ইন্টারনেট সেবা।
তবে বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইরানের ওপর থেকে ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞা শিথিলের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, বিক্ষোভকারীদের ওপর অপ্রেয়োজনীয় বল প্রয়োগ না করতে রাইসি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
পুলিশি হেফাজতে মাশা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় এখন জ্বলছে গোটা ইরান। ২২ বছর বয়সী ওই তরুণীর মৃত্যুতে দেশটির প্রায় ১০০টি শহরে বিক্ষোভ চলছে।
বিক্ষোভ দমনে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে ইরান সরকার। বিক্ষোভ উত্তাল হয়ে ওঠায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। সেইসঙ্গে বিক্ষুব্ধদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এমনকি নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এরই মধ্যে নিহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক বিক্ষোভকারী।
বিশ্ব জুড়ে বিক্ষোভকারীদের মৃত্যু নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। ইরানের বিক্ষোভকারীদের সমর্থন জানিয়ে রাইসি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে চিলি, জার্মানি ও স্পেনের জনগণ।
বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞা শিথিল করছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ইস্যুতে উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগে ব্যাপক প্রাণহানির রিপোর্ট নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীকে অপ্রয়োজনীয় এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ শক্তি প্রয়োগ না করার আহ্বান জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে আরও উত্তেজনা এড়াতে উভয় পক্ষের প্রতি সংযম প্রদর্শনের আহ্বান রইলো। ’
সম্প্রতি হিজাব না পরে পরিবারের সদস্যের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ায় মাশা আমিনিকে গ্রেপ্তার করে দেশটির পুলিশ। পরে মাশা অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিন দিন পর তার মৃত্যু হয়। পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এতেই দেশটিতে হিজারের বিরোধিতা করে বিক্ষোভে নামে সাধারণ মানুষ।