• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪১ অপরাহ্ন

পুতিনকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর পরিকল্পনা

/ ৯৩ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। গতকাল বুধবার ছয় মাস পূর্ণ হল রাশিয়ার এই বিশেষ অভিযান। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের ৬ মাসের মাথায় যুদ্ধাপরাধের দায়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তার শীর্ষ কমান্ডারদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর পরিকল্পনা করছে ইউক্রেন। আগামী বছরের গোড়ার দিকে এই প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, একটি বিশেষ আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। এ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ইউক্রেনে রাশিয়ার কথিত আগ্রাসন অপরাধের তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচার করা হবে।

ইউক্রেন প্রসিকিউটররা এ আগ্রাসনে জড়িত থাকা সন্দেহে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬শ’ জনকে শনাক্ত করেছেন। এদের মধ্যে সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ ও ভাষ্যকাররা রয়েছেন।

এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘আগ্রাসনমূলক অপরাধ’ তদন্তে আন্তর্জাতিক আদালতে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার পরিকল্পনার ব্যাপারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টসিয়াল প্রশাসনের উপ-প্রধান আন্দ্রিল স্মিরনভ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন এবং নথিপত্র প্রস্তুত করছেন।

এতে আরও বলা হয়, আগ্রাসনমূলক অপরাধের ব্যাখ্যায় ২০১০ সালে গ্রহণ করা রোম আইনের কথা বলা হয় এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নুরেমবার্গ ও টোকিও বিচারের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ‘শান্তি বিরোধী অপরাধের’ একই ধারণার কথাও উল্লেখ করা হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইতোমধ্যে ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ, মানবতা ও গণহত্যা বিরোধী বিভিন্ন অপরাধ তদন্ত শুরু করেছে। তারা গত ২০ বছর ধরে বিশ্বের গুরুতর বিভিন্ন অপরাধের বিচার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে আদালত ইউক্রেনে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। কিন্তু এ আদালত আগ্রাসনের অভিযোগের বিষয়টি দেখতে পারছে না কারণ ইউক্রেন বা রাশিয়া কোন দেশই রোম আইন অনুমোদন দেয়নি।

এ বিষয়ে আন্দ্রিল স্মিরনভ বলেন, ‘কেবলমাত্র ইউক্রেন যুদ্ধ যারা শুরু করেছে সেসব অপরাধীদের দ্রুত আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সুযোগ রয়েছে’ এই আদালতের।


আরো পড়ুন