• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৪ অপরাহ্ন

চলতি বছর কিডনি রোগে ইন্দোনেশিয়ায় ৯৯ শিশুর মৃত্যু

/ ১১২ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২২

তীব্র কিডনি ইনজুরি (একেআই)-তে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছর ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১০০ জন শিশুর মৃত্যুর হয়েছে। বুধবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এমনটিই। এ ঘটনার সাথে গাম্বিয়ার ৭০ জন শিশু মৃত্যুর ঘটনার মিল খুঁজে পাচ্ছেন দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গাম্বিয়ায় প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল বলে জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও।

জ্বর নিরাময়ে ব্যবহৃত প্যারাসিটামল সিরাপগুলোতে ডায়েথিলিন গ্লাইকল এবং ইথিলিন গ্লাইকলের মাত্রাতিরিক্ত মাত্রা পায় গাম্বিয়া। পরে বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই সিরাপগুলো। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ায় শিশু মৃত্যুর ক্ষেত্রেও এমনটি হয়েছে বলে ধারণা দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। ঘটনার প্রতিক্রিয়া স্বরুপ এরইমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে সমস্ত শিশু সিরাপ বিক্রি।

বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাহরিল বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, ‘গত ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২০৬ জন একেআই রোগী সনাক্ত করেছি আমরা। যার মধ্যে ৯৯ জন মারা গেছেন। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসাবে, আমাদের গবেষণা ও তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের অস্থায়ীভাবে কোনও সিরাপ না দিতে বলেছি। এ ব্যাপারে তদন্ত চলমান রয়েছে। ’

ইন্দোনেশিয়া স্বাস্থ্য ও শিশু বিশেষজ্ঞদের একটি দল এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা হয়েছে। যারা শিশুদের মধ্যে একেআই স্পাইক পর্যবেক্ষণ করছেন। এ ব্যাপারে গাম্বিয়ার মামলা তদন্তকারী ডব্লিউএইচও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।

১৮ অক্টোবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে হাসপাতালগুলিকে অনুরোধ করে বলা হয়েছে, একেআই-তে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুদের এর আগে যে সমস্ত ওষুধ দেওয়া হয়েছে তা সংগ্রহ করুন। যাতে পরবর্তীতে টক্সিকোলজি পরীক্ষা করা যায়। এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রসায়নবিদদের সিরাপ-ভিত্তিক ওষুধ বিক্রি বন্ধ রাখুন।


আরো পড়ুন