• রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০২:২৩ পূর্বাহ্ন

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট দুতার্তে ক্ষমতা থেকে বিদায় – চাপ বাড়ছে সাংবাদিকতায়

/ ১২৭ বার পঠিত
আপডেট: শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০২২

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট দুতার্তে ক্ষমতা থেকে বিদায় – চাপ বাড়ছে সাংবাদিকতায়

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট দুতার্তে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিয়েছেন। ক্ষমতায় এসেছেন বংবং মার্কোস জুনিয়র। ক্ষমতার পট পরিবর্তন হলেও চাপ বেড়েছে গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর। পূর্বের প্রেসিডেন্টের পথেই হাঁটছেন বংবং।
দেশটির সাংবাদিকরা বলছেন, সমালোচকদের নিয়ে আগের প্রেসিডেন্ট দুতার্তের মতোই হার্ড লাইনে নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট বংবং। তাদের ওপর চাপ বাড়ছেই।

গত জুনে প্রায় ২৪টি নিউজ ওয়েবসাইট বন্ধ করেছে বংবং প্রশাসন। কমিউনিস্ট সন্ত্রাসীদলের সঙ্গে যোগসূত্রের কথা জানিয়ে সাইটগুলো বন্ধ করা হয়। যার মধ্যে ছিল দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশিত পিনয় উইকলি ও বুলাতলাত। একই মাসে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ফিলিপাইনের সবচেয়ে জনপ্রিয় নিউজ সাইট র‍্যাপলারের লাইসেন্স বাতিল করে।

ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সন্ত্রাসবিরোধী একটি আইনে স্বাক্ষর করেছিলেন দুতার্তে। ওই আইনে কমিউনিস্ট পার্টিগুলোকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে অভিহিত করছে। আর দুর্তাতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হারমোজেনেস এসপেরন জুনিয়র সাইটগুলোকে বন্ধ করার জন্য এটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন।

বংবং সরকার যে সাইটগুলো বন্ধ করেছে এর মধ্যে রয়েছে বুলাতলাত। এর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রোনালিন ওলিয়া। একই সঙ্গে তিনি ন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ জার্নালিস্টসের সভাপতি। তিনি বলেন, ‘বুলাতলাতের সঙ্গে কমিনিউস্ট পার্টিগুলোর কোনো যোগ সূত্র নেই। সরকারের বিরুদ্ধে বলায় তারা আমাদের সেন্সর করার চেষ্টা করছেন। ’

সাইট বন্ধ করা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বুলাতলাত কর্তৃপক্ষ। চলতি মাসে বুলাতলাত বন্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।

দেশটির প্রবীণ সাংবাদিক এবং সেন্টার ফর মিডিয়া ফ্রিডম অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটি (সিএমএফআর) ট্রাস্টির লুইস ভি টিওডোরো বলেন, ‘দুতার্তের শাসনকালে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে এমনটা হবে তা বুঝানো হতো। এমনকি এরকমটা করে অন্যদের সতর্ক করা হতো। এই নীতি পরিবর্তনে নতুন প্রশাসনের কোনো লক্ষণ নেই।

নিজের ক্ষমতার শেষকালে দুর্তাতে স্বীকার করেছিলেন, প্রতিকূল কভারেজের কারণে টেলিভিশন চ্যানেল এবিএস ও সিভিএন বন্ধ করে তার প্রশাসন। এমনকি র‍্যাপলারের মালিক নোবেলে শান্তি পুরস্কারজয়ী সাংবাদিক মারিয়া রেসার বিরুদ্ধে অহেতুক মামলার কথাও স্বীকার করেন তিনি।

র‌্যাপলারের প্রধান পরিচালক গ্লেন্দা গ্লোরিয়া বলেন, দুর্তাতের ছয় বছরের শাসনকালে আমাদের কর্মীরা অনেক কষ্ট করেছে। সব মামলা শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করেছিল তারা। তবে তা কতটুকু হলো। তবে ফিলিপাইন সমাজের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সংবাদপত্রের স্বাধীনতার মূল্য জানে।

২০১৮ সাল থেকে বুলাতলাতের সাইটে ক্রমাগত ডিডস অ্যাটাক করছে হ্যাকাররা। সবশেষ ২০২১ সালের মে তে এই সমস্যার সম্মুখীন হয় তারা। কে বা কারা এই ডিডস অ্যাটাক করছে তা নিয়ে তদন্ত করে একটি সুইডিশ কোম্পানি। পরে তারা জানায়, ফিলিপাইনের সেনাবাহিনীর একটি আইপি থেকে এ অ্যাটাক করা হচ্ছে। তবে সাইবার হামলার এ কথা অস্বীকার করে সামরিক কর্তৃপক্ষ।

সূত্র: আল-জাজিরা


আরো পড়ুন