ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর কারা হামলার ব্যাপারে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘যে দুজন দুর্বৃত্ত…তাদের মুখে মুখোশ ছিল। সেগুলো দেখে পর্যালোচনা চলছে, ওখানে পুলিশের চৌকশ একটি টিম কাজ করছে। তারা আশাবাদী যে, খুব দ্রুত আমাদের জানাতে পারবেন, কারা এই ঘটনাটা ঘটিয়েছে। আমরা অপেক্ষা করছি।’

আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ইউএনওর বাসায় সিসি ক্যামেরা রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পারিবাহিক শত্রুতা মনে হচ্ছে না, তবে তদন্তে বেরিয়ে আসবে। আমরা জিজ্ঞেস করেছি, কোনোকিছু খোয়া গেছে কি না, এখনো জানা যাচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে।’

ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি কী হয়েছে এবং এই দুর্বৃত্তরা কারা, সে বিষয়ে এসপি বললেন, একটু সময় পেলে দুর্বৃত্তদের নাম-ঠিকানাসহ সব কিছু বের করতে পারব, আমাদের প্রচেষ্টা আছে। আমরা আশাবাদী খুব দ্রুত এটা বের করতে পারব।’

ইউএনওকে কীভাবে হামলা করা হলো, সে বিষয়ে জানাতে গিয়ে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম জানান, গতকাল বুধবার রাত ৩টার দিকে ঘরের ভেন্টিলেটর দিয়ে এক যুবক প্রবেশ করে। প্রথমে ওই যুবক ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বাবা ওমর আলীকে আহত করে পাশের ঘরে আটকে রাখে। পরে ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা চালায়। এলোপাতাড়িভাবে তাকেও কুপিয়ে পালিয়ে যায়। তার মাথায় গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

আহত ওয়াহিদা খানমকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তাকে এয়ার অ্যাস্বুলেন্সে করে ঢাকার আনা হয়েছে। ওয়াহিদার বাবা নওগাঁ জেলার বাসিন্দা।