• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৩ অপরাহ্ন

ফেইসবুকে সাংবাদিকের দেয়া পোষ্টে কিডনি রোগীকে আর্থিক সহযোগীতা করলেন জাতীয় শ্রমিকলীগ সহ-সভাপতি শামীম-প্রয়োজন!!

/ ২৮২ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০১৯

রিপোর্ট, ইমাম বিমান:- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুকে সাংবাদিক মনির হোসেনের দেয়া “সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসার আহবান” পোষ্টে সাড়া দিয়ে আর্থিক সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিলেন জাতীয় শ্রমিকলীগ ঢাকা উওরের সহ সভাপতি ঝালকাঠির দানশীল পরিবারের সন্তান মোঃ শামিম আহমেদ।

জেলার সদর উপজেলাধীন বিনয়কাঠি ইউনিয়নস্থ কালিয়ারঘোপ গ্রামের মানষিক প্রতিবন্ধী অসহায় পরিবারের সন্তান কিডনী রোগে আক্রান্ত অসুস্থ হায়দারকে ৮আগষ্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে নগদ ২০ হাজার টাকা দিয়ে আর্থিকভাবে সহযোগীতা করলেন জাতীয় শ্রমিকলীগ ঢাকা উওরের সহ সভাপতি মোঃ শামিম আহমেদ।

ঝালকাঠি জেলার সাংবাদিক মনির হোসেন ও সাংবাদিক আরিফ খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে “অসহায় পরিবারের পাশে এসে দাড়ান” শিরোনামে হায়দারকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে পোষ্ট দেয়। সাংবাদিকদের দেয়া পোষ্ট বিদেশে অবস্থানের সময় দেখে দানশীল পরিবারের সন্তান শামীম আহমেদ তিনি উক্ত পোষ্টের নিচে মন্তব্যের স্থানে হায়দারকে সাহায্য জন্য আশ্বাষ দেন। এরপর তিনি বিদেশ থেকে দেশে ফিরে তার নিজ জেলায় আসলে সাংবাদিক মনিরকে সংবাদ দেয়। এ সময় সাংবাদিক মনির ও আরিফের সহযোগীতায় হায়দারকে নিয়ে তার কাছে গেলে তিনি হায়দারকে নগদ ২০ হাজার টাকা দিয়ে সহযোগীতা করেন। সেই সাথে হায়দারকে তার মা টাকার অভাবে তার ছেলেকে কিডনী দান করতে পারছেন না তাই তিনি সকলকে বিত্তবান ব্যক্তি সহ সকলকে হায়দারের চিকিৎসার জন্য পাশে দাড়ানোর জন্য আহবান জানান।

এ বিষয় ঝালকাঠি জেলার সাংবাদিক মনির হোসেন ও সাংবাদিক আরিফ জানান, আমরা হায়দারের কিডনী রোগের কথা শুনে তার বসত বাড়ীতে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি হায়দারের বাবা ও দুই ভাই মানুষিক রোগী। শুধু তাই নয় বড় ভাই মানষিক রোগের পাশাপাশি বিরল চর্মরোগে ভুগছে।

একই পরিবারের তিনজন ব্যক্তিই মানষিক রোগী তারপর নেই তাদের মাথা গোজার মত একটা বাসস্থান। বাঁশের তৈরি খুটি উপরে ভাঙ্গা টিনের চাল সেখানে থাকেন অসুস্থ দুই ভাই। আর হায়দার সহ তার মা ও তৃতীয় শ্রেনী পড়ুয়া ছোট বোন পাশের বাড়ীর বিভিন্ন জনের ঘরে রাত্রী জাপন করে। সাংবাদিক আরিফ আরো জানান, জীবনে অনেক মানুষকে সহযোগিতা করেছি, ঘর নেই দুয়ার নেই, পেটে খাবার নেই বৃষ্টিতে ভিজতে হয় এমন অনেক নিউজ করেছি, কিন্তু কখনো কারো জন্য কাঁদিনি। শুধুই সমাজের বিত্তবানদের নয় আপনার যদি একশ টাকা দেয়ার সামর্থ্য থাকে, তাহলে এই পরিবারটিকে দিন কত টাকা তো চা পান খেয়েও খরচ হচ্ছে প্লিজ একশত টাকা দিয়ে হলেও সহযোগিতা করুন।
এ সময় তিনি অসুস্থ হায়দারের বিকশ নম্বর দিয়ে পুনরায় সাহায্যের আবেদন জানান।
হতদরিদ্র অসুস্থ হায়দারের বিকাশ নাম্বার- ০১৭১৮৭৩৫১৩৮


আরো পড়ুন