• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৮ পূর্বাহ্ন

মালদ্বীপে স্বাধীনতা দিবস পালিত।।

/ ৩০৭ বার পঠিত
আপডেট: রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৯

জুয়েল খন্দকার নিজস্ব প্রতিবেদক:- গতকালা মালদ্বীপে স্বাধীনতা দিবল পালন করেন দেশটি সকল জনগণ অনেক আনন্দের সাথে দিবসটি পালন করেছেন। এই দিনে ব্রিট্রিশরা মালদ্বীপ ছেড়ে গিয়েছিলেন ও তখন ওমন নাসির নামের একজন মালদ্বীভিয়ান প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন।

ইতিহাস অনুসারে দ্বাদশ শতক থেকে মালদ্বীপসর্বদাই স্বাধীন এবং মুসলিম শাসন নিয়ন্ত্রিত জাতি ও হিসাবে স্বীকৃত। এর মাঝে মধ্য ষোড়শ শতকের পর্তুগীজ বলপূর্বক অধিগ্রহন এবং ১৮৮৭ হতে ১৯৬৫ (ইং) ব্রিটিশ এর আধিপত্য উল্লেখযোগ্য। তবে সম্পূর্ণ সময়ে আভ্যন্তরীনগতভাবে মালদ্বীপ নিজেদের সার্বভৌমত্ব বজায় রেখেছিল। চুড়ান্তভাবে ১৯৬৫ সালের ২৬শে জুলাই স্বাধীনতাপ্রাপ্তির পর ২১ সেপ্টেম্বর (৫৬ দির পর) জাতিসংঘেযোগদান করে।

১৯৭৮ সাল হতে মালদ্বীপ আন্তর্জাতিক সর্ম্পকের প্রতি জোড়ালো হয়, কৌশলগত অংশিদারিত্বমুলক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত হবার উপর ভিত্তি করে বৈদেশিক নীতি গড়ে তোলে। এর ফলশ্রুতিতে মালদ্বীপ১৯৮২ সালে কমনওয়েলথ অব নেশনসযোগদান, হয়ে উঠে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ব্রিটন উডস ‍সিস্টেম সাথে সম্পৃক্ত, নিউক্লিয়ার নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি (এনপিটি)এর সাথে সংযুক্ত। একইসাথে প্রায় সবধরনের পরিবেশরক্ষা, মানবাধিকার, সন্ত্রাস দমন ও নিরস্ত্রীকরণ প্রচার এবং সম্মেলন এর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে মালদ্বীপ।
মালদ্বীপ নিজেদের উদার গনতন্ত্র এর প্রতিমূর্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে এবং সফলভাবে সংলাপ ও সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার সাথে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল,হিউম্যান রাইটস্‌ ওয়াচ। সম্মত হয় বিভিন্ন ধরনের মানবাধিকার রক্ষা উপাদান সংরক্ষন নীতিতে যেমন: নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি (আইসিসিপিআর), আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার চুক্তি (আইসিইএসসিআর)। একই সময়ে দেশটি যুক্ত হয় কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ) ও ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ)
মালদ্বীপ আবাসিক কূটনৈতিক মিশন কলম্বো, নতুন দিল্লি, ইসলামাবাদ, ঢাকা, সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, নিউ ইয়র্ক সিটি, টোকিও, বেইজিং, রিয়াদ, লন্ডন, জেনেভা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সাথে বজায় রয়েছে এবং অনাবাসিক স্বীকৃতি রয়েছে নেপাল ও ভুটানসহআরও অনেকদেশে।

জাতীয় উন্নয়নের মূলমন্ত্রের মাঝেই জাতিসংঘের সনদকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে (আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা, পরিবেশ সুরক্ষা ও মানবাধিকার প্রচার সহ সমর্থন বিশেষভাবে উল্লেখ্য)।

এছাড়া মালদ্বীপ দেশটি একটি স্বাধীন দেশ শ্রীলংকানদের সাথে যুদ্ধ করে প্রায় ৪৯ বছর আগে দেশটি স্বাধীন করেছিলেন।


আরো পড়ুন