• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন

বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র

/ ২৮৮ বার পঠিত
আপডেট: শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২০
সেনবাগে আগুনে ১৬টি দোকান ছাই, ১০ কোটি ÿয়ÿতি আহত-২০
সেনবাগে আগুনে ১৬টি দোকান ছাই, ১০ কোটি ÿয়ÿতি আহত-২০

এবার কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর নিপীড়ন বন্ধের ডাকে যোগ দিচ্ছে হাজারো মার্কিনি। ট্রাম্প প্রশাসনের তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি বর্ণবাদ ও পুলিশি নির্যাতন বন্ধের জোর দাবি উঠছে। এদিকে, শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা কৃষাঙ্গ জ্যাকব ব্লেকের হাতকড়া খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে থেমে নেই বিক্ষোভ।

দেশটির আলাবামা, মিশিগান, অ্যারিজোনাসহ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আর জ্যাকবকে গুলি করার ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক মুখপাত্র।  মাসুদ রানার ডেস্ক রিপোর্ট

বর্ণবৈষম্য বন্ধের ডাকে ১৯৬৩ সালে লিঙ্কন মেমোরিয়ালের সামনে লাখ লাখ মানুষের মাঝে ঐতিহাসিক বক্তব্য দেন নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিং। শুক্রবার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিংয়ের ঐতিহাসিক বক্তৃতার ৫৭ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়।

সময় ভিন্ন হলেও আবারো বর্ণবৈষম্য বন্ধের ডাক। সবার কণ্ঠেই ছিল প্রতিবাদের সুর। এ সময় তারা অবিলম্বে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধের পাশাপাশি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।

আমরা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে এখনই গণ আদালত বসাবো। যারা বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে, তারা সবাই দোষী। ট্রেভোন মার্টিন, জর্জ ফ্লয়েড, জ্যাকব ব্লেকের মত বহু মানুষ এ দেশে বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন। আমরা আর এমনটা হতে দিতে পারি না।

গেল রোববার যুক্তরাষ্ট্রের কেনোসা শহরে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা কৃষাঙ্গ জ্যাকব ব্লেকের হাতকড়া খুলে দেওয়া হয়েছে।

আহতের আইনজীবী জানিয়েছেন, হাসপাতালে জ্যাকবের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আগের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে আর জ্যাকবকে গুলি করার ঘটনার তিব্র সমালোচনা করেছেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মুখপাত্র।

জ্যাকবকে গুলি করার ঘটনার চিত্রগুলি দেখে মনে হচ্ছে তার ওপর অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করা হয়েছে, এটি বৈষম্যমূলক। আর অস্ত্র ব্যবহারে আন্তজাতিক নিয়ম তারে মেনেছে বলে মনে হয় না।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে থেমে নেই বিক্ষোভ-সহিসংতা। দেশটির আলাবামা, মিশিগান, অ্যারিজোনাসহ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।


আরো পড়ুন