অনলাইন ডেস্ক:-
ইসরায়েলে হামলায় এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে ৭২৪ শিশুর । মিসাইলের আঘাতে ধসে পড়া ভবনের নিচে ঠিক কত শিশুর মরদেহ আছে তা এখনোও অজানা। গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে, কয়েকলাখ কোমলমতি প্রাণ। তথ্য বলছে, ইসরায়েলের নিপীড়নের শিকার গাজার অর্ধেক বাসিন্দার বয়সই ১৮ বছরের নিচে।
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ২১৫ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা লক্ষ্য করে গত ৮ দিন ধরে অব্যাহতভাবে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের এ হামলায় সেখানে অসংখ্য ভবন ধসে পড়েছে। সেই ধসে পড়া একটি ভবনে উদ্ধার অভিযান চালাতে গিয়ে হৃদয়বিদারক ঘটনার স্বাক্ষী হয়েছেন কয়েকজন মানুষ। তারা দেখতে পেয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে থাকা মৃত মায়ের দুধ পান করছে ১ মাস বয়সী এক শিশু।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট আই জানিয়েছে, ওই শিশুটির নাম ইয়ামেন।
শিশুটির চাচা আহমেদ জানিয়েছেন, তিনি গাজায় পানি সরবরাহ করেন। গত বুধবার (১১ অক্টোবর) কাজ থেকে ফিরে এসে দেখেন ইসরায়েলের বিমান হামলায় তার পরিবারের তিন তলা ভবন ধসে পড়েছে। দ্রুত ভবনের কাছে সেখানে গিয়ে দেখতে পান তার ভাতিজা মৃত মায়ের দুধ পান করছিল।
ভয়াবহ সেই হামলার পরের দিন মিডেল ইস্ট আইকে আহমেদ বলেছিলেন, ‘ইয়ামেনের মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি তাকে গতকাল হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। তার বয়স মাত্র এক মাস ছিল। যখন বিমান হামলা চালানো হয় তখন সে দুধ পান করছিল। তাদের উদ্ধার করতে সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধারকারীদের কয়েক ঘণ্টা সময় লেগেছিল। ’
দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর সেই ভয়াবহ বিমান হামলায় আহমেদ তার পুরো পরিবারকে হারিয়েছেন। তার স্ত্রী, চার সন্তান, ভাতিজা, ভাবী সবাই নিহত হয়েছেন।