• বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ১০:০২ পূর্বাহ্ন

পাগল বলায় ৫ বছরের শিশুকে গলা কেটে হত্যা

/ ৮১ বার পঠিত
আপডেট: রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু আবু বক্কর ওরফে মাইনুল হাসানকে (৫) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পাগল ডাকায় প্রতিবেশি সাব্বির (২০) তাকে ছুরি দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (৪র্থ) আদালতের বিচারক সাখাওয়াত হোসেনের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন সাব্বির।

সাব্বির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কান্দিপাড়ার মাইমল হাটির মৃত মফিজ মিয়ার ছেলে।

সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন জানান, সাব্বির ও মাইনুল হাসান ওরফে আবু বক্কর একই এলাকার বাসিন্দা। সাব্বির ছোট আবু বক্করকে প্রায় সময় ডেকে আব্বা ডাকতে বলতেন। কিন্তু শিশু আবু বক্কর প্রায় সময় সাব্বিরকে পাগল ডাকতেন। প্রায় এক মাস আগে, শিশু আবু বক্কর ঢিল দিলে মাথায় আঘাত পান সাব্বির। এরপরই মূলত আবু বক্করকে হত্যার পরিকল্পনা করে সাব্বির। শুক্রবার রাতে সবার অগোচরে শিশু আবু বক্করকে সাব্বির তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সাব্বির তার বড় ভাইয়ের কক্ষে মেঝেতে ফেলে বাম হাত দিয়ে মুখ এবং হাটু দিয়ে শরীর চেপে ধরে ছুরি দিয়ে শিশু আবু বক্করকে জবাই করে হত্যা করে। এরপর সে বাড়ি থেকে বের হয়ে ড্রেনে পড়ে থাকা একটি বস্তায় ঢুকিয়ে আবু বক্করের লাশ পাশের বাড়ির টিউবওয়েলের কাছে ফেলে দেয়।

তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের পর প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে সাব্বিরকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে। এই ঘটনায় আবু বক্করের বাবা হাসান মিয়া বাদি হয়ে সাব্বিরসহ ৯জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়ার মাইমল হাটি মহল্লা থেকে শিশু মাইনুল হাসান ওরফে আবু বক্করের (৪) বস্তাবন্দি গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।


আরো পড়ুন