• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১২:৪৯ অপরাহ্ন

দাউদকান্দিতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ ০৫ ডাকাত গ্রেফতার

/ ৭১ বার পঠিত
আপডেট: সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
উদকান্দিতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ ০৫ ডাকাত গ্রেফতার

কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি:
০৬/০৫/২০২৪ইং তারিখ রাত ১২.১০ মিনিটের সময় দাউদকান্দি থানায় কর্মরত এসআই হারুনুর রশিদ থানায় অবস্থানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক-দাউদকান্দি থানা এলাকার যে কোন বাসা বাড়িতে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে অস্ত্রশস্ত্রসহ ডাকাতি প্রস্তুতি গ্রহণ করে কুমিল্লা দাউদকান্দি মডেল থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কানরাগামী রাস্তার ডান পাশে নির্জন জায়গায় ডাকাতি করার জন্য সমবেত হয়েছে। সংবাদের সাথে সাথে দাউদকান্দি সার্কেলের তত্ত্বাবধানে অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাম্মেল হক (পিপিএম) দাউদকান্দি মডেল থানার নেতৃত্বে একটি চৌকস অভিযানিক টিম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে ডাকাত দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে, পুলিশের উপর আক্রমন করার চেষ্টা করলে, অভিযান পরিচালনাকারী টিম ২৫ রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজ ফায়ার করে। ঐ সময় ডাকাতরা দৌঁড়ে পালানোর সময় পুলিশও তাদের পিছু নেয় এবং তাদের মধ্য থেকে ০৫ জনকে অস্ত্রসহ আটক করতে সক্ষম হয়। শাহানাজ বেগম ত্র্যানি সংবাদ টিভি কুমিল্লা।

আটককৃত আসামীরা হলো:-
১/ মকবুল হোসেন (৩৭), দাউদকান্দি, কুমিল্লা। (তার বিরুদ্ধে ০২টি অস্ত্র, ০২টি ডাকাতি, ০১টি ডাকতির প্রস্তুতির মামলাসহ ০৫টি মামলা রয়েছে )।
২/ এবাদুল ওরফে ওবাইদুল (২৮), তিতাস,কুমিল্লা। (তার বিরুদ্ধে ০২টি ডাকাতি, ০২টি ডাকাতির প্রস্তুতি ও ০১টি অস্ত্র মামলাসহ ০৫টি মামলা রয়েছে )।
৩/ মোঃ আকাশ মুন্সি (৪৩), দাউদকান্দি, কুমিল্লা। (তার বিরুদ্ধে ০৩টি ডাকাতি, ০১টি ডাকাতির প্রস্তুতি ও ০১টি অস্ত্র মামলাসহ ০৫টি মামলা )।
৪/ সুজন ওরফে আঃ হামিদ (৩৭), কচুয়া, চাঁদপুর । (তার বিরুদ্ধে ০৯টি ডাকাতি, ০২টি অস্ত্র, ০২টি ডাকাতির প্রস্তুতি, ০২টি খুন, ০১টি দস্যুতাসহ ১৬টি মামলা রয়েছে)।
৫/ মোঃ জামাল হোসেন ওরফে কুদ্দুস(৪০), দাউদকান্দি, কুমিল্লা, বর্তমানে নিউ মনসুরাবাদ, আকবরশাহ, চট্টগ্রাম মহানগর। (তার বিরুদ্ধে ০৫টি ডাকাতি, ০৩টি ডাকাতির প্রস্তুতি ও ০১টি অস্ত্র মামলাসহ ০৯টি মামলা)।

আসামীদের আটকপূর্বক বিধি মোতাবেক তল্লাশি করে আসামীদের হেফাজতে থাকা-
০১/ একটি লোহার তৈরী সচল পাইপ গান, (মকবুল হোসেন এর কাছ থেকে)।
০২/ ০২টি কার্তুজ, (মকবুল হোসেন এর কাছ থেকে)।
০৩/ কাঠের বাট যুক্ত একটি লোহার তৈরী ছোরা, যার লম্বা ২৭ ইঞ্চি।( এবাদুল ওরফে ওবাইদুল এর কাছ থেকে)।
০৪/ কাঠের বাট যুক্ত একটি লোহার তৈরী রমাদা (ছোরা), যার লম্বা ৩২ ইঞ্চি। (মোঃ আকাশ মুন্সি এর কাছ থেকে)।
০৫/ দুইটি কাঠের বাটযুক্ত লোহার তৈরী রামদা (ছোরা), যার লম্বা ২৫ ইঞ্চি। (যার ০১টি আঃ হামিদ ও ০১টি মোঃ জামাল হোসেন ওরফে কুদ্দুস )।
০৬/ দুইটি লোহার পাইপ, যার লম্বা ২৮.৫০ ইঞ্চি (পলাতক আসামীদের ফেলে যাওয়া)।

আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতি পরিকল্পনার বিষয়টি স্বীকার করে। আসামীরা আরো জানায় যে, তারা মোহাম্মদপুর এলাকায় বাসা বাড়িতে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে সমবেত হয়েছিল। এছাড়াও আসামীরা চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার থানা এলাকায় বিভিন্ন সময়ে বাসা বাড়িতে একাধিক ডাকাতি করেছে বলে স্বীকার করে। বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার মামলা নং-০৩(১১)২০২৩, ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড ও একই থানার মামলা নং-০৬(০১)২০২৪, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড এর তদন্তে প্রাপ্ত এবং ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট অন্যান্য আসামী কর্তৃক দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উক্ত আসামীদের নাম প্রকাশ পেয়েছে বলে জানা যায়।

আসামীরা আরো স্বীকার করে যে, তারা বাসা বাড়িতে ডাকাতি করার পূর্বে তাদের কিছু লোক সে এলাকায় রেকি করে যাতায়াতের পথ ঘটনার পূর্বেই জেনে নেয়। এছাড়াও তারা বৃষ্টির রাত, অমাবশ্যার রাত বা তার আগে ও পরে অন্ধকার রাত্রীতে ডাকাতি করে থাকে । দাউদকান্দি মডেল থানাধীন বরকোটা গ্রামের সাধন দাসের বাড়িতে জানুয়ারি/২৪ মাসে এবং মোহাম্মদপুর মধ্য পাড়া মোঃ রফিকুল ইসলাম এর বাড়িতে জুন/২৩ মাসে এবং তিতাস থানাধীন বাতাকান্দি এলাকায় ০১টি বাড়িতে গত ০১/০৫/২০২৪ইং তারিখে ডাকাতি করেছে বলেও স্বীকার করে। তারা একটি সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলার ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দলের আরো কতিপয় ডাকাতের নাম প্রকাশ করেছে। তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা হলো না।
এ সংক্রান্তে দাউদকান্দি মডেল থানার মামলা নং-০৮, তারিখ-০৬/০৫/২০২৪ইং, ধারা-১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ এ/১৯(এফ) এবং দাউদকান্দি মডেল থানার মামলা নং- ০৯, তারিখ-০৬/০৫/২০২৪ইং, ধারা-৩৯৯/৪০২ পেনাল কোড রুজু করা হয়েছে।


আরো পড়ুন