• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:২১ অপরাহ্ন

সুন্দরবন দস্যুদের নিয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হতাশার

/ ৪২ বার পঠিত
আপডেট: সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সুন্দরবন দস্যুদের নিয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হতাশার

মহসিন উল হাকিম ও বেলায়েত সর্দারদের জীবনবাজি রাখা উদ্যোগে সুন্দরবন দস্যুদের আত্মসমর্পণ ঘটনায় সরকার পক্ষ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। এক সময়ের ডাকসাইটে বন দস্যুরা আজ সবচেয়ে অসহায় জীবন যাপন করছে। অবজ্ঞা অবহেলায় তাদের মামলাগুলো পর্যন্ত প্রত্যাহার করা হয়নি। মানুষের কাছ থেকে দান, সহায়তা আর দফায় দফায় টাকা হাওলাত নিয়ে তাদের মামলায় হাজিরা দিতে হচ্ছে। কারো ভাগ্যে কর্মসংস্থানও জোটেনি।

মাত্র তিন থেকে পাঁচ’শ দস্যুর দায়ভার নিতে সরকারের দায়িত্বহীনতায় অবাক হতে হয়। ঘর, গরু, জাল প্রদানের ছিটেফোঁটা পুনর্বাসন তাদের কোনো কাজেই লাগেনি, সবচেয়ে আগে দরকার ছিল মামলাগুলো প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেয়া। এটুকু করলে সাংবাদিক মহসিন উল হাকিমের বিশাল কর্মযজ্ঞের পরিপূর্ণ স্বীকৃতি দেয়া হতো, সম্মান দেয়া হতো তার দেশপ্রেমকে। এর বিপরীতে আরো অনেক অসাধ্য সাধন হতে পারতো তার মাধ্যমেই।

আমি বিশ্বাস করি, মহসিন উল হাকিমের মত অনুসন্ধানী সাংবাদিক ইচ্ছা করলে দেশের উপকূলীয় জলদস্যু থেকে শুরু করে আজকের আতঙ্ক কুকিচিনের মতো পাহাড়ি সন্ত্রাসীদেরও সুপথে ফিরিয়ে আনায় আশাতীত ভূমিকা রাখতে পারতেন। কিন্তু কোন ভরসায় পা ফেলবেন তিনি? আবারও সরকার পক্ষের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের বেইমানি দেখতে?

আমি মনে করি, দলে দলে বন দস্যুদের আত্মসমর্পণ করাতে পেরে মহসিন উল হাকিম যতটা আনন্দে উদ্বেলিত হয়েছিলেন, এখন তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি কষ্টের সাগরে ভাসছেন তিনি। এই দস্যুদের দেয়া প্রতিশ্রুতির যেমন বাস্তবায়ন দেখছেন না, তেমনি বনজীবী জেলে, মৌয়াল থেকে শুরু করে কারো জিম্মিদশার মুক্তিও দেখতে পাচ্ছেন না তিনি। এখন প্রভাবশালী মহলের কাছে আরো বেশি নিষ্পেষিত হচ্ছেন বনজীবীরা, গডফাদারদের কাছে আরো বেশি জিম্মিও থাকছেন তারা।

“কি দেখার ছিল কি দেখছি, কি বলার ছিল কি বলছি,,,” গানের কলির মতোই হয়ে উঠেছে সুন্দরবন ও তার একদা নিয়ন্ত্রক দস্যুদের দিনলিপি।

  • সাঈদুর রহমান রিমন
    সম্পাদক, দৈনিক দেশবাংলা


আরো পড়ুন