রোববার, ৭ আগস্ট বাংলাদেশ-চীন নীতি অটল বলে জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন । বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ৪টি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মোমেন। আলোচনার পরেই বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। এদিন দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
পড়াশোনার জন্য অনেক ছাত্র-ছাত্রী অনেকে আটকে আছে, তাদেরকে চীন ভিসা দেবে বলেও আশ্বস্ত করেন মন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীনে শান্তি ও উন্নয়ন নষ্টে একটি পক্ষ উসকানি দিচ্ছে। বাংলাদেশ চীনের পক্ষে থাকবে। তাইওয়ান বিচ্ছিন্নতাকারী, বাংলাদেশ-চীন নীতি অটল।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে মোমেন জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সার্বিক সহযোগিতা করবে চীন। তারা বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। সেইসাথে বাংলাদেশ থেকে রফতানি বাড়ানোর প্রস্তাবসহ যেকোনো সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের সাথে চীনের ৪টি সমঝোতা চুক্তির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, চীনের বাজারে আগে ৯৭ শতাংশ শুল্কসুবিধা পাওয়া যেতো। যেটা আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে ৯৮ শতাংশ পাওয়া যাবে। সেইসাথে বাংলাদেশে চীনের সাথে চলমান প্রজেক্টগুলো তরান্বিত করা হবে। এসময় চীন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং উভয় পক্ষের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।