• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন

ভরা মৌসুমে চলছে রাসায়নিক সারের চরম সংকট, সারের দাম চড়া

মোঃ হাবিবুর রহমানের, নওগাঁ পেরিনিধি / ১২২ বার পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০২২

নওগাঁর নিয়ামতপুর,পোরশা,সাপাহার ও মহাদেবপুরে চলতি আমনের ভরা মৌসুমে চলছে রাসায়নিক সারের চরম সংকট, এরইমধ্যে সরকারিভাবে ইউরিয়া সার কেজি প্রতি দাম বাড়ানো হয়েছে ৬ টাকা করে। অন্যদিকে দ্বিগুন দামে কিনতে হচ্ছে এমওপি (পটাশ) সার। তবে ব্যবসায়ীদের দাবী চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় বাজারে এমওপি সারের সংকট তৈরি হয়েছে।
সম্প্রতি নওগাঁর কয়েকটি  উপজেলার হাট-বাজারে সার নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে এসব সংকট, অন্যদিকে বাজারে টিএসপি ও ডিএপি সারের কোনো সংকট নেই, এরপরও এসব সার সরকারি দামের চেয়ে অনেক বেশি দামে কিনতে হচ্ছে কৃষকদের। বৃষ্টি না হওয়া সেচের মাধ্যমে চারা রোপণ ও সার সংকটের কারণে এ মৌসুমে আমন ধানের উৎপাদনে ব্যয় বাড়ার আশঙ্কা করছে কৃষক।
কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবছর আষাঢ় মাস জুড়েই ছিল চৈত্রের কাঠফাটা রোদের দাপট। শ্রাবণ মাসের অর্ধেক সময় গেলেও বৃষ্টির দেখা মেলেনি। এ অবস্থায় বাড়তি খরচের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে কৃষক সেচের মাধ্যমে আমন ধানের চারা রোপণ শুরু করেন। কিন্তু হঠাৎ করেই সারের বাজার অস্থির হয়ে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষক।
কৃষিকেরা জানান আমনের ভরা মৌসুমে সার সংকটের অজুহাতে বাজারে হঠাৎ করেই লাগামহীনভাবে বেড়ে গেছে এমওপি (পটাশ) সারের দাম। সরকারিভাবে প্রতিবস্তা পটাশ সারের দাম নির্ধারণ রয়েছে ৭৫০ টাকা। কিন্তু খোলা বাজারে ১৩০০ টাকা থেকে ১৪০০ টাকায় মিলছে পটাশ। ইউরিয়ার দাম বাড়ানোর কারণে ৮০০ টাকা বস্তার সার এখন কিনতে হচ্ছে ১১০০ টাকায়।
 নিয়ামতপুর, মান্দা, পোরশা, উপজেলার বিসিআইসি ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ বলেন, উপজেলায় বিসিআইসি ডিলারের সংখ্যা ১৫ জন। জুলাই মাসে এসব ডিলারেরা ৯০ বস্তা করে এমওপি সারের বরাদ্দ পেয়েছেন। বরাদ্দকৃত সার পেতে বিএডিসির অনুকূলে পে-অর্ডার করা হলেও পুরো সার সরবরাহ করা হয়নি।  কয়েকটি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১ লক্ষ ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নিয়ামতপুর উপজেলার লতিপুর গ্রামের কৃষক আলম হোসেন, আক্তার আলী, জব্বার হোসেন, বলেন, তিনি ১০ বিঘা জমিতে আমন চাষ করছেন। এজন্য তিন বস্তা পটাশসহ সমপরিমাণ অন্যান্য সারের প্রয়োজন হবে। প্রত্যেক প্রকার সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমন চাষ নিয়ে ঝুঁকিতে পড়েছেন তিনি।
পোরশা উপজেলার ছাওড় গ্রামের  কৃষক অমল চন্দ্র সরকার, কামাল হোসেন, আবেদ আলী  বলেন, সেচ দিয়ে জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করতে হয়েছে। এতে আমন ধান উৎপাদনের ব্যয় বাড়বে বলে উল্লেখ করেন তিনি। পোরশা ওয়াহিদুলজামান ও নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, চাহিদার অনুপাতে বরাদ্দ কম হওয়ায় বাজারে এমওপি সারের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। এ কারণে কিছুটা বেশি দামের কিনতে হচ্ছে এ সার। তবে অন্যান্য সারের কোনো সংকট নেই।
এব্যাপারে নিয়ামতপুর নির্বাহী অফিসার ফারুক সুফিয়ান ও মহাদেবপুর নির্বাহী মিজানুর রহমান এবং মান্দা উপজেলা নির্বাহী  অফিসার আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, সারের  মনিটরের বাজার অবহিত আছে। 


আরো পড়ুন