• মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন

ভয়ংকর সোর্স ইউসুফের ভয়ংকর কান্ড! সিরিজ রিপোর্ট:-০৪

/ ১৬১ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:-
পুলিশ পরিচয়ে মাদক কারবারি ইউসুফের চাঁদাবাজি, রাস্তায় চেক পোস্ট বসিয়ে হাতিয়ে নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা, নীরব প্রশাসন। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে রাতের শুরুতে কক্সবাজার টেকনাফ আরকান সড়কের উখিয়া টিভি রিলে কেন্দ্রের সামনে ও উত্তর দক্ষিণ পাশে রাস্তায় চেক পোস্ট বসিয়ে পুলিশ পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয় বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু উত্তর পাড়া এলাকার বদিউর রহমানের ছেলে ইউছুফ আলী(প্রকাশ সোর্স চোর ইউছুফ)।

সেই দীর্ঘদিন ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি, উখিয়া ও টেকনাফে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে এবং সোর্স পরিচয়ে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। তার বিরুদ্ধে রয়েছে এমনটি অভিযোগ। বর্তমানে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন ইউছুফ আলী প্রকাশ সোর্স চোর ইউসুফ।

জানা যায়, পঞ্চম শ্রেণী পাস না করা ইউছুফ কখনো নিজেকে পুলিশ কখনোবা আবার সাংবাদিক কখনো বা বড় নেতা পরিচয় দিয়ে প্রতিনিয়ত উখিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি ও মাদকের কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন। তার এসব কর্মকাণ্ডে প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাও জড়িত আছেন বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে।

তথ্য সুত্রে জানা যায়, ইউছুফের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় চারটি এবং নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় দুটি মাদক কারবার ও চোরাচালানের মামলা রয়েছে। এর মধ্যে উখিয়া থানায় ২০২১ সালের ১৬ মার্চ তারিখে (এফআইআর নং–২৬/১৭৯) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। এ ছাড়া ২০১৪ সালের ১৪ নভেম্বর (জিআর নং–৩৪০/১৪) এবং ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর (এফআইআর নং–২০/৬০৭), তার বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় কিছুদিন আগে আরও একটি রাস্তায় বৈধ ভাবে মানুষকে তল্লাশি করায় মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। বাকি দুটি নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ২০০৭ সালের ৮ মার্চ তারিখে (জিআরনং–৪২/০৭) বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং ২০১৫ সালের ২২ জুন (জিআর নং–১৩৮/১৫) তারিখে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউছুফ অনেকদিন ধরে নিজ এলাকার (তুমব্রু) বাইরেও বসবাস করে। প্রশাসনের সোর্স পরিচয়ে চাঁদাবাজি ও সীমান্তে চোরাচালানে লিপ্ত থাকার কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছেও পিটুনি খেয়েছেন বলে জানান উখিয়ার সিএনজির ড্রাইভার হারুন। জানা যায়, মূলত এরপর থেকেই প্রায় সময় এলাকার বাইরে থাকেন ইউছুফ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বৃদ্ধা বলেন তার দালালির কারণে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে তাকে এলাকা ছাড়া করেন।

আরো জানা যায়, ইউছুফের রয়েছে একাধিক স্ত্রী। বর্তমানে এক রোহিঙ্গা মেয়েকে বিয়ে করে উখিয়ার কুতুপালংয়ে একটি বাসায় থাকছেন। ওই রোহিঙ্গা মেয়ে তার তৃতীয় স্ত্রী। তার দ্বিতীয় স্ত্রীও রোহিঙ্গা। তিনি বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৭-এ অবস্থান করছেন বলে জানা যায়৷ তার প্রথম স্ত্রী তাদের বড় ছেলেকে নিয়ে বর্তমানে চট্রগ্রামে থাকছেন।

উখিয়ার কুতুপালং স্টেশনে ইউছুফের একাধিক দোকান আছে বলে সূত্রে জানা গেছে। চাঁদাবাজি, হয়রানি ও মানুষকে জিম্মি করে ইউছুফ এখন কোটি টাকার মালিক। একাধিক ব্যাংকের একাধিক অ্যাকাউন্টে তার টাকা জমা হয়। প্রশাসন এসব খতিয়ে দেখলে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ইউসুফ নাইক্ষ্যংছড়ি থানার পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করেন। সূত্র জানায়, ইউছুফ আলী ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশেরও দালালি করে থাকেন। দালালি এবং মানুষকে ব্ল্যাক-মেইল করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন ইউছুফ। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন যানবাহনের চালকও তার বিরুদ্ধে ‘হয়রানির’ অভিযোগ করেছেন।

উক্ত অভিযোগের বিষয়ে ইউছুফের সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তথ্য সুত্রে জানা যায়, ইউছুফ আলীর এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে স্থানীয় ও জাতীয়সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও কোন অদৃশ্য শক্তির কারণে এখনো প্রশাসনের নজরে আসেনি সে চাঁদাবাজ ইউছুফ।

ভুয়া সাংবাদিক ও পুলিশ এর ফেইসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাস।


আরো পড়ুন