রোজিনা ইসলাম অত্যন্ত মেধাবী বিচক্ষণ ও অনুসন্ধানী মনমানসিকতা সম্পন্ন সংবাদকর্মী। যতদূর তার অনুসন্ধানমূলক সংবাদ পড়েছি, তাতে কিছুতেই চৌর্যবৃত্তি বা গুপ্তচর মনে হয়নি। আর নথি সরিয়ে ফেলার মতো যে ন্যাক্কারজনক ঘটনার সৃষ্টি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তা কোনোভাবেই মনে হয় না যে রোজিনা ইসলাম তা করতে পারে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিজেইতো দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব, অতিরিক্ত সচিব, সহসচিব, উপসচিব, কর্মকর্তা, কর্মচারিদের দুর্নীতি ও অনিয়মের সংবাদ করেছিলো রোজিনা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ৪টি ওয়েবসাইট করতে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা, পাঁচটি কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরি করতে ৫৫ কোটি টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। যা পৃথিবীর ইতিহাসে সর্ব ব্যয়বহুল। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কেরানির স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে রয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকা। একটা পাউরুটির দাম বারোশো টাকা, ১ পিচ কলার দাম আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত দেখিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ মন্ত্রণালয়ে আসার পর থেকেই অনিয়ম আর দুর্নীতিতে ভরে উঠেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। যদি কেরানির স্ত্রীর একাউন্টে দেড় হাজার কোটি টাকা থাকে তাহলে অন্য সব কর্মকর্তা-কর্মচারী সচিব ও মন্ত্রী নিজে কতো হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন?
রোজিনা ইসলামের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এরকম গা শিউরে উঠার মত অনিয়ম আর দুর্নীতির খণ্ডচিত্র। বৃহত্তর দূর্নীতি-অনিয়ম ঘুষ ও নিয়োগ বাণিজ্যের কথাতো অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে সেরে ফেলা হয়।
সরকারি আইন ও বিধি না মেনে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি) গত বছর প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম ও সুরক্ষা সামগ্রী কিনেছিলো। যেসব প্রতিষ্ঠান এসব সরবরাহ করেছে তাদের সাথে অনেক ক্ষেত্রে চুক্তি পর্যন্ত ছিলো না। কেনাকাটায় পণ্যের মান নিশ্চিত করার বিষয়টিও ভাবা হয়নি। শুধু তাই নয়, ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে দরকষাকষির ব্যবস্থাও ছিলো না। আবার চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করেছিলো কিনা তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। করোনা মহামারীর প্রথম ঢেউয়ে গতবছর জুনের আগে এসব পণ্য জরুরী ভিত্তিতে কেনাকাটা হয়েছিলো।
ক্রয়কৃত পণ্য নিয়ে পরবর্তীতে আবার সংবাদ শিরোনাম হয়েছিলো-‘পড়ে আছে জীবন রক্ষাকারী সামগ্রী’। করোনার সময় এসব সামগ্রী জরুরী ভিত্তিতে কেনাকাটা করলেও তা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে থাকায় সঠিক সময়ে, সঠিক উপায়ে সরবরাহ করা যায়নি। এডিবি ও বিশ্বব্যাংক অর্থায়নে বাস্তবায়নের দুটি পৃথক প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা হলেও তা কিছুতেই অগ্রগতি নেই।
‘কিট নিয়েও দু’রকম তথ্য’ শিরোনামে নিউজ প্রকাশ হয়। এটাও রোজিনা ইসলামের যুগোপযোগী চমৎকার প্রতিবেদন ছিলো। এ সংবাদ করোনা দুর্দিনে কিছুটা হলেও উপকারে এসেছিল নীতিনির্ধারকদের। কার্যত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলেও অনিয়ম আর দুর্নীতি যারা করেছে তারা কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছিলো। সিএমএসডি এক চিঠিতে বলা হয় মজুদ কিট দিয়ে ১৫-২০ দিন চলবে। তবে আমরা দেখেছি কিট নিয়ে এদেশে কি হুলুস্থুল কাণ্ডই না ঘটেছিলো। কিটেরতোপে পড়ে অনেক মানুষের জীবন হানি হয়েছিলো। নমুনা পরীক্ষায় সময় বেশি লাগার কারণে অনেকের মৃত্যু হয়েছিলো। দেশে করোনা পরীক্ষার ‘আরটি পিসিআর’ কিট এর ঘাটতি হতে পারে বলে আশঙ্কা কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের। তবুও দেশে কিটের অভাব না থাকলেও সময় ক্ষেপণের মাধ্যমে করোনা আশঙ্কা করে বহু করোনাহীন রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন।
যাই হোক, স্বাস্থ্য বিভাগের অপার দুর্নীতি ও অনিয়মের বহু সংবাদ প্রকাশ করায় সচিব, অতিরিক্ত সচিব, সহকারি সচিব, উপসচিবসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রোষানলে পড়েন রোজিনা ইসলাম। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশের সকল মন্ত্রণালয়ের চেয়ে ‘দূর্নীতি অনিয়ম আর লুটপাটের মন্ত্রণালয়ে’ পরিণত হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কেরানী ও ড্রাইভারের বেতন কতো হতে পারে? একবার ভাবুনতো! কিন্তু তাদের নামে বেনামে একাউন্টে রয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা! এইসব টাকার খবর যখন রোজিনা গণমাধ্যমে প্রকাশ করে তখন সরকার টাকার উৎস সন্ধান না করে সাংবাদিক হিসেবে রোজিনাকে কণ্ঠরোধ করতে উঠেপড়ে লাগে। যা মিডিয়ার জন্য অশুভ সংকেত।
খোদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেকও অফিস করেন না বলে রোজিনা জানতে পেরে সংবাদ প্রকাশ করেন। স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী এতে জাহিদ মালেক খোঁচা খেয়েছেন। আর তাতে করে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছেন। খুঁজতে শুরু করেছেন সুযোগ, রোজিনাকে কিভাবে হেনস্তা করবেন; কিভাবে উচিত শিক্ষা দেবেন! তার সুযোগ সন্ধানে লাগিয়ে রেখেছেন জেবুন্নেসার মত সচিব, পলির মতো অফিস সহায়ক, মোসলেকা রাখার মতো মহিলা পুলিশ সদস্য। সংলাপ সব শিখিয়ে দিয়ে বিভিন্ন কলাকৌশলে প্রস্তুত রেখেছেন নাটক মঞ্চায়নের জন্য। রোজিনা আগমনের জন্য নাটক মঞ্চস্থ হতে বাকি রয়েছে।
বাটে সে সুযোগও ধরা দিলো। শুরু হলো রোজিনা ইসলামকে নিয়ে সচিবালয়ে নাটক মঞ্চায়ন। দেশের ‘প্রধান আমলাখানায়’ অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোজিনাকে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখে একের পর এক সংলাপ, কূটচাল দিয়ে যাচ্ছে প্রশিক্ষিত জেবুন্নেসা ও পলিরা। যারা সরাসরি জনগণের টাকা মেরে দিয়ে বা দুর্নীতির মাধ্যমে চুরি করে কানাডায় দুটি বাড়ি, লন্ডনে একটি বাড়ি, ঢাকায় দুইটা বাড়ি, গাজীপুরে ২৫ বিঘা জমি তার নামে বেনামে ৮০ কোটি টাকার এফডিআর রয়েছে। কানাডায় তার দুই ছেলেমেয়ে পড়ালেখা করে আর বিলাসবহুল জীবনযাপন করে, লাখ লাখ টাকা খরচ করে। প্রশ্ন হল, সচিব জেবুন্নেসার বেতন কতো? তার খরচ কতো? সেকি আলাদিনের চেরাগ পেয়েছিলো?
যাইহোক স্বাস্থ্য বিভাগ মঞ্চায়নকৃত নাটকের প্রধান নায়িকা হিসেবে রোজিনাকে তৈরি করে সংলাপ আওড়িয়ে যাচ্ছে’ নাটকের সমাপ্তি ঘটে রোজিনাকে মামলা দিয়ে পাঁচ দিন জেল খাটানোর মাধ্যমে।
মফস্বল সাংবাদিকদের তৎপরতার সাথে ঢাকা-চট্টগ্রামের সাংবাদিকরা তৎপর হয়ে ওঠে রোজিনাকে হেনস্তা ও মামলা দিয়ে জেল খাটানোর প্রতিবাদে। সেই সাথে বিদেশি সাংবাদিক বন্ধুরাও রোজিনার পক্ষে লিখতে শুরু করেন। এমনকি জাতিসংঘ উদ্যোগ প্রকাশ করেন। নাটকীয়তা শেষে রোজিনা কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন।
রোজিনাকে জামিনে মুক্ত করতে পেরে আমরা কিছুটা স্বস্তি পেলেও আদতে ‘সাংবাদিক নিপীড়ন ও মিডিয়া শত্রুরা যে সংঘবদ্ধ’ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সচিবালয়ে যদি এরকম হয় তাহলে জেলা-উপজেলাসমূহে কি অবস্থা? তা অনুমেয়। সাংবাদিকবান্ধব প্রশাসন খুব একটা দেখা যায়না। প্রশাসন ও সাংবাদিক ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ার কথা থাকলেও আদতে তা বিপরীত। খুব কম প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তি সাংবাদিকবান্ধব পাওয়া যায়। কারণ প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের অনেকেই আত্ম স্বার্থকেন্দ্রিক, দূর আলোগামী হওয়ায় যে যার মতো সরকারি অর্থ হাতানোর চেষ্টায় ব্যস্ত। এতে করেই সাংবাদিক তাদের চক্ষুশূল।
‘সাংবাদিকরা প্রশাসনের শত্রু নয়, দেশের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া নিরলস শ্রমিক। রাতদিন ঝড় তুফান উপেক্ষা করে দেশ ও জনগণের কল্যানের জন্যই সাংবাদিক কাজ করছেন।’ তবুও যে বা যিনি অসৎ পথে হাঁটেন শুধুমাত্র তাঁরই চক্ষুশূল। সাংবাদিক তার রোষানলে পড়েন। নানা উপায়ে, নানা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সাংবাদিকদের নানাভাবে ঘায়েল করার চেষ্টা চালানো হয়।
রোজিনার মতো এরকম একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিককে যেভাবে হেনস্তা হতে দেখেছি গণমাধ্যমে, গলা টিপে ধরার মতো যে দুঃসাহসিকতা দেখিয়েছে অফিস সহায়ক পলি! তাতে করে দেশব্যাপী সাংবাদিকদের বৃহত্তর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সংকেত দিয়েছে। তাতে সন্দেহ নেই। দল-মত-নির্বিশেষে সার্থ ত্যাগ দিয়ে শুধুমাত্র সাংবাদিকদের সুখ দুঃখে পাশে থাকার প্রত্যয়ে জেলা উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে “সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ জাতীয় কমিটি” গঠন করে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার সময় এখন।
দায়িত্ব পালনে কে কোথায়, কিভাবে বাধার মুখে পড়েছেন? কিভাবে তা প্রতিহত করে সংবাদ তুলে এনেছেন? তা তাৎক্ষণিক শেয়ার করে অন্য সব সাংবাদিকদের জানিয়ে দিন ফেসবুকের মাধ্যমে। কারণ আর যাই বলি ‘ফেসবুকের চেয়ে বড় গণমাধ্যম’ আর কিছু নেই। একজন নিরীহ অসহায় মফস্বলের সংবাদকর্মীও যদি কারো হেনস্তার শিকার হয়, তখনই সকলে একসাথে জেগে উঠতে হবে। দুর্বার আন্দোলনে দেশ গরম হয়ে উঠলে দুর্বৃত্তরা, অসৎ মানুষেরা সাহস করবে না সাংবাদিকদের দিকে তাকাতে। কারণ সাংবাদিক তো কারো শত্রু নয়, সাংবাদিক জনগণের কল্যাণে কাজ করেন,দেশের জন্য কাজ করেন।
তাহলে দু’একজন অসৎ, দুশ্চরিত্র, চোর, দুর্নীতিবাজ, লুটেরার কারণে কেনো সাংবাদিকদের বদনাম হবে?
যে বা যারা বড় প্রতিষ্ঠান বা মিডিয়ায় থেকেও দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচন করে না, তাহলে বুঝতে হবে এরা দালাল, তৈলবাজ, এরাও দুর্নীতিবাজ সুবিধাভোগী সাংবাদিকনামধারী। ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিহত করে এদেরও মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। সময় এসেছে দালাল, চাটুকার, তৈলবাজ মিডিয়া ও সাংবাদিক গোষ্ঠীদের বয়কট করার। রাজধানী থেকে শুরু করে জেলা-উপজেলা শহরগুলোতেও রয়েছে এসব তৈল মর্দনকারী। তাদের চিহ্নিত করে বয়কট করার সময় এখন।
দেশ উন্নয়নে সংবাদ সাংবাদিকতা রাষ্ট্রের চতুর্থ খুঁটি হলেও কার্যত তা বোঝা যাচ্ছে না। যেভাবে মুক্ত গণমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরা হচ্ছে, তাতে সংবাদ সাংবাদিকের মত প্রকাশের সুযোগ গর্হিত হচ্ছে। দেশব্যাপী মামলা হামলা নির্যাতন খুন গুমের শিকার হচ্ছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। এতে গণমাধ্যম চরম হুমকির মুখে। সংবাদ ও সাংবাদিক সুরক্ষার জন্য সাংবাদিকতার নীতিমালায় কিছু সুপারিশ গ্রহণ করা সময়ের প্রেক্ষিতে জরুরি হয়ে পড়েছে।
সাংবাদিক নিপীড়ন প্রতিরোধ জাতীয় কমিটি’র পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকদের ৭ দফা দাবি উত্থাপন করলাম।
* গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়ার পূর্বে অবশ্যই সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। তদন্তে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত মামলা এন্ট্রি করা যাবে না। যদি মামলা হয় তবে আদালত কতৃক ওর্ডারকৃত আটকের সময় হাতে হ্যান্ডকাফ পরানো যাবে না।
* অহেতুক মামলা দিয়ে হয়রানি করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
* গণমাধ্যমকর্মীদের উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর সাজার ব্যবস্থা করতে হবে।
* গণমাধ্যমকর্মীদের ছেলেমেয়েদেরকে সরকারি খরচে উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দিতে হবে।
* গণমাধ্যমকর্মীদের সম্মানজনক হারে মাসিক সম্মানীর ব্যবস্থা করতে হবে।
* গণমাধ্যমকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
* গণমাধ্যমকর্মীদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
স্বাধীন ও মুক্তমত প্রকাশের সর্ব ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ও তা বাস্তবায়ন হলে সংবাদ সাংবাদিকতা নিরপেক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারবে।
মাননীয় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নিকট আবেদন উপরোক্ত সাতটি বিষয় সময়ের প্রেক্ষিতে খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। আশা করছি নিশ্চয়ই এর বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সংবাদ ও সাংবাদিকতাকে মুক্ত করে দিন। গণমাধ্যমকর্মীদের মুক্ত করে দিয়ে ‘মিডিয়া শত্রু’ হতে নিরাপত্তা দিন। সংবাদ ও সাংবাদিকতা এই দেশ ও দেশের জনগণের মঙ্গলের জন্য, দেশের উন্নয়নের জন্য। যারা জনগণের টাকা চুরি দুর্নীতি লুটপাট করে নিয়ে যায় তাদের মুখোশ উন্মোচন করে। কিন্তু সাংবাদিকদের বন্ধু না ভেবে শত্রু ভাবা হয় কি কারনে জানি না। সাংবাদিকদের তথ্য দিতে না চাইলে তো তারা যে কোনো উপায়েই হোক তা সংগ্রহ করার চেষ্টা করবেই। আর এ তথ্য দেশ ও জনগণের জন্যই। রাষ্ট্র কেনো চোর দুর্নীতিবাজ লুটেরার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে সাংবাদিকদের টুঁটি চেপে ধরার চেষ্টা করে? তবে কি এদেশে দুর্নীতিবাজদের শক্তি-সামর্থের কাছে রাষ্ট্র ও গণমাধ্যমকর্মীরা জিম্মি!