• রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০২:০৩ পূর্বাহ্ন

বন্যায় ৮০ জনের বেশি নিহত

/ ১১০ বার পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

চলতি মাসে আফগানিস্তানে বন্যায় ১৮০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। প্রবল বর্ষণের কারণে সৃষ্ট বন্যায় মধ্য ও পূর্ব আফগান প্রদেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ১৮২ জন নিহত এবং ২৫০ জন আহত হয়েছে। তিন হাজার ১০০টিরও বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং হাজার হাজার গবাদি পশু মারা গেছে।

বন্যা দেশের অর্থনৈতিক ও মানবিক সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।

তিনি বলেন, আফগানিস্তান ইসলামিক আমিরাত একা বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারছে না। আমরা বিশ্ব, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং ইসলামিক দেশগুলোকে আমাদের সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করছি।

আফগানিস্তান এই বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভুগছে। এরমধ্যে খরা এবং জুন মাসে ভয়াবহ ভূমিকম্পে এক হাজার জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এক বছরেরও বেশি সময় আগে তালেবানরা দখল নেওয়ার পর থেকে দেশটি আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থা থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

আন্তর্জাতিক মানবিক ত্রাণ সংস্থাগুলো দেশটিতে কয়েক মাস ধরে সহায়তা প্রদান করেছে। কিন্তু তারা সতর্ক করেছে, মানবিক বিপর্যয় এড়াতে তাদের আরও প্রবেশাধিকার ও তহবিল প্রয়োজন। সেখানে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন ও আশ্রয়হীন। তাদের বিশুদ্ধ খাবার পানি পর্যন্ত নেই।

ত্রাণকর্মীরা জানায়, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মধ্য লোগার প্রদেশের খোশি জেলায় শক্তিশালী বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফসলের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অনেক পশুর মৃতদেহ পড়ে আছে।

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা জানায়, জেলাটিতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অন্তত ছয় শিশুসহ ২০ জন নিহত হয়েছে এবং আরও দুজন নিখোঁজ রয়েছে।

গ্রীষ্মকালে প্রায়ই উত্তর এবং পূর্ব আফগানিস্তানে ভারী বৃষ্টিপাত হয়, যার ফলে প্রতি বছর শত শত মানুষ মারা যায়।

গত বছর, নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছিল। এছাড়া রাজধানী কাবুল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে প্রত্যন্ত কামদেশ জেলায় কয়েক ডজন মানুষ নিখোঁজ হয়েছিল।

২০২০ সালে উত্তর ও পূর্ব আফগানিস্তানে কমপক্ষে ১০০ জন নিহত হয়েছিল, পারওয়ান প্রদেশের রাজধানী চারিকর শহরের বড় অংশে বন্যা দেখা দিয়েছিল।


আরো পড়ুন