• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০২:২২ অপরাহ্ন

ইউক্রেনে রুশ অভিযানের ৬ মাস আজ

/ ৯৭ বার পঠিত
আপডেট: বুধবার, ২৪ আগস্ট, ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইউক্রেনের ৩১তম স্বাধীনতা দিবস আজ। সেই সঙ্গে একইদিনে পূর্ণ হল দেশটিতে রুশ অভিযানের ছয় মাস। স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনভাবে দিনটি উদযাপন করতে পারলোনা কিয়েভ। রুশ হামলার আশঙ্কায় বাতিল করা হয়েছে সকল অনুষ্ঠান।

কবে নাগাদ শেষ হবে এ যুদ্ধ? দু’দেশের যুদ্ধের জন্য সমগ্র বিশ্বকে কতই বা মাশুল গুনতে হবে, তা নিয়ে এখনো কাটছেনা ধোঁয়াশা।
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। দু’দেশের সংঘাতের নেপথ্যে মূল কারণ হিসেবে ধরা হয়েছিল পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। ইউক্রেন চেয়েছিলো ন্যাটোর গোষ্ঠীভুক্ত হওয়ার। আর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একই গোষ্ঠীতে প্রতিবেশী ইউক্রেনকে দেখতে নারাজ পুতিন প্রশাসন। ফলে এক কথায় শাস্তি দিতেই প্রতিবেশি ইউক্রেনের উপর শুরু হলো রুশ হামলা।

রুশ অভিযানের মূল লক্ষ্য হয়ে উঠে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলো। স্থল, জল ও আকাশ পথ থেকে একের পর এক হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে থাকে দেশটি। যুদ্ধে প্রাণ হারায় হাজার হাজার মানুষ। এরইমধ্যে ১ কোটি ৫ লাখ লোক পালিয়েছে ইউক্রেন থেকে। অগণিত মানুষ হয়েছে বাস্তুহারা। এসবের মধ্যেই পূর্ণ হলো রুশ আগ্রাসনের ৬ মাস।

ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসে এসে নজরে এলো, অনেক কিছু থেকেই স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছে দেশটি। দীর্ঘ ছয় মাসের যুদ্ধে মারিওপোল ওডেসার মতো বন্দর নগরী দখলে নেয়ায় এখন কৃষ্ণ সাগর নিয়ন্ত্রণে। ইউক্রেনের হাতছাড়া হয়েছে পূর্বাঞ্চলের বড় অংশ, ঝাপোরজিয়া পরমাণু কেন্দ্র।

মস্কোকে দমাতে খুব বেশি সফল না হলেও গেরিলা স্টাইলে প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে জেলেনস্কি প্রশাসন। আর রাশিয়াও হামলার পরিধি বাড়িয়ে চলেছে। সামনে আরও বাড়াবে বলে ইউক্রেনের পাশাপাশি আশঙ্কার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। ফলে এমনটাই স্পষ্ট যে আরও দীর্ঘ সময় চলবে এ যুদ্ধ। তবে এখনো বিশ্লেষকরা আশা ছাড়তে নারাজ। দু’দেশের শান্তি আলোচনা কার্যত সফল না হলেও শস্য সরবরাহ নিয়ে তাদের সাম্প্রতিক চুক্তি দু’পক্ষের ইতিবাচক মনোভাব হিসেবে দেখছেন অনেকেই।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘জানিনা কবে শেষ হতে পারে এ যুদ্ধ। মনে হয়না এতে কোনো পক্ষেরই চূড়ান্ত বিজয় অর্জন হবে। তবে শস্য সরবরাহ নিয়ে সাম্প্রতিক চুক্তির সূত্র ধরেই থামতে পারে এ সংঘাত। যা অন্ধকার সুড়ঙ্গের শেষ প্রান্তের এক চিলতে আলোর মতো’।

যুদ্ধ ধ্বংস ছাড়া কোনো সমাধান দিতে পারেনা তা সবারই জানা। তাই ধ্বংস এড়াতে খুব তাড়াতাড়িই শান্তির পথে আসবে দু’পক্ষ, সেটাই প্রত্যাশা বিশ্ববাসীর।


আরো পড়ুন