• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২২ পূর্বাহ্ন

কৃষকেরা না জানলেও অ্যাপস্’র মাধ্যমে আমন ধান সংগ্রহ শুরু !

অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি / ২২৮ বার পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০

কৃষকেরা না জানলেও অ্যাপসের মাধ্যমে আমন ধান সংগ্রহ শুরু করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুরে প্রথম বারের মত অনলাইন অ্যাপস ‘কৃষকের অ্যাপস্’ এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ আমন ধান সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ বছর অ্যাপসে’র মাধ্যমে সদর উপজেলার নিবন্ধিত ১ হাজার ২৩২ জন কৃষকের কাছ থেকে ৩৫৬ মেট্ট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে। তবে অসচেতনতার কারণে এখনও বহু কৃষক থেকে বঞ্চিত হবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা ধারণা করছেন এই কৃষক অ্যাপস এর কারণে বহু কৃষক বাদ পড়ে যাবেন নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হয়ে।
মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ে ফিতা কেটে এর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল। এ ধান সংগ্রহের কার্যক্রম চলবে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মংখ্যাই, ধান সংগ্রহ কমিটির সদস্য ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উল্যাহসহ খাদ্য নিয়ন্ত্রণ বিভাগের কর্মকর্তা ও কৃষকবৃন্দ।
খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুরে এবার অনলাইন মাধ্যম কৃষকের অ্যাপস্ এর মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুর পৌরসভা ১০৩ জন কৃষক সহ ২১টি ইউনিয়নের ১ হাজার ২৩২ জন প্রান্তিক কৃষক এ অ্যাপস্ এ নিবন্ধন করা হয়। এতে (প্রতি কেজি ২৬ টাকা) মন প্রতি ১ হাজার ৪০ টাকা হারে ৩৫৬ মে.ট্রন ধান সংগ্রহ করা হবে। প্রতি কৃষক সর্বনিম্ন ১২০ কেজি থেকে শুরু করে ৬ মে.টন পর্যন্ত আমন ধান খাদ্য নিয়ন্ত্রণ বিভাগের কাছে বিক্রি করতে পারবেন। এর আগে গত ২০ নভেম্বর পর্যন্ত কৃষি বিভাগ ও খাদ্য নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পক্ষ থেকে যৌথভাবে কৃষকের অ্যাপস্ এ লক্ষ্মীপুরের প্রান্তিক কৃষকদের নিবন্ধণ কার্যক্রম ও সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা করা হয় বলে জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল জানান, কৃষকই বাংলাদেশের জিডিবিতে অবদান রাখছে। তাই কৃষকের ন্যায্য দাম মিটিয়ে দিতে সরকার এ অ্যাপস ভিত্তিক ধান সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছে। এতে প্রকৃত কৃষকই সুবিধা পাবেন। এজন এর আগে প্রকৃত কৃষক নির্বাচন করে এ অ্যাপস্ এ নিবন্ধন করা হয়। ধান সংগ্রহের সাথে সাথেই অ্যাপস এর মাধ্যমে হয়রানি ছাড়াই কৃষকের ব্যাংক একাউন্টে ন্যায্য দাম পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
 সচেতন মহল দাবি করেন এই অ্যাপসের এখনো প্রচার-প্রচারণা না থাকায় তৃণমূল পর্যায়ে কৃষকদের মাঝে তেমন সচেতনতা সৃষ্টি হয়নি। এতে করে কৃষক তাদের ন্যায্য পাওনা ভিত্তিক ধান বিক্রয় থেকে অনেকে বঞ্চিত হবেন বলে ধারণা করছেন। কৃষক অ্যাপসটি সঠিক প্রচার প্রচারণা ও এর যথাযথ ব্যবহার বিধি যদি প্রচারণা করা হয় তাহলে অনেক কৃষকই এই কৃষি অ্যাপস এর আওতায় আসবে বলে মনে করছেন কৃষকেরা।


আরো পড়ুন