• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৪ অপরাহ্ন

কুমিল্লায় কাউন্সিলর শিপনের পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা!

/ ৬৫২ বার পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

সাফায়েত উল্লাহ মিয়াজী: কুমিল্লার টমচমব্রীজ এলাকায় কাউন্সিলর শিপনের লোক পরিচয়ে ভিক্টোরিয়া কলেজ সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিক ইরানের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও মানি ব্যাগ ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। আহত শিক্ষার্থী ৯৯৯ কল দিয়ে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর স্বজনরা।

সূত্র জানায়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্র ও ভিক্টোরিয়া কলেজ সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিক ইরান। শুক্রবার পণ্য ক্রয়ের জন্য তালাশ উর রহমান নামের এক ব্যক্তির সাথে অনলাইনে কথা হয় শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর টমচমব্রীজ এলাকায় দেখা করে। সেখানে তিনি হামলায় শিকার হন। এ সময় তার মানি ব্যাগ থেকে পাঁচ হাজার তিন শ টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন।

আহত শিক্ষার্থী আশিক ইরান জানান, অনলাইন থেকে পণ্য ক্রয় করার জন্য টমচমব্রীজ যাই। সেখানে তাদের সাত/আট জনকে দেখতে পাই, আমি তখন একা। তারা আমাকে একটা গলিতে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তারা তুই তুই করে বলতে শুরু করে। তারা বলে প্রোডাক্ট কোন দামাদামি হবে না। আমাদের ঘর থেকে বের করছস, টাকা দিতে হবে। কিনলেও টাকা দিবি, না কিনলেও টাকা দিবি। আমরা কাউন্সিলর শিপন বসের লোক। মামলা দেই, মামলা খাই। হেডাম লাইয়া চলি। কথা বাড়াবি চাকু মারবো। এটা বলেই, খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। রাফি আমাকে টানাটানি করে গলিতে নিয়ে যায়, এ সময় ওয়াফি নামের ছেলে বারবার বলে, মামাকে (কাউন্সিলর) কল দে তাকে শেষ করে দেই। এ সময় রাফি ও বিশাল আমাকে এলোপাথাড়ি ভাবে মাথায়, মুখে ও পেটে আঘাত করে। আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। সাথে সাথে মানিব্যাগ নিয়ে যায়, যার মধ্যে পাঁচ হাজার তিন শ টাকা, খুচরা কিছু টাকা, জাতীয় পরিচয়পত্র, কিছু ভিডিজিং কার্ড ছিলো। মানুষের সহযোগীতায় কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি হই। বিষয়টি ৯৯৯ নম্বরে জানাই। দুই দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম।

কোতয়ালী মডেল থানার এসআই মো. সুমন মিয়া জানান, জরুরি হেল্প নম্বর ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে, কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে দেখতে যাই। তার প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলি। ভিকটিমকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলেছি।

১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাখাওয়াত উল্লাহ শিপন জানান, কেউ যদি আমার রেফারেন্সে কোন অপরাধ করে, তাকে কোন ছাড় নয়। আইনে যা হয়, এটার মধ্যে আমি একমত। বিশাল আমার ভাগিনা, ওয়াফী সরকার, আদনান হাসান রাফি ভাগিনা এটা ঠিক। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমার কোন আপস নাই। প্রশাসন বা ওই ছেলে যদি আমাকে ডাকায় আমি যেতে বাধ্য। আমার রেফারেন্স তো যে কেউ দিবে। এখানে আমার রাজনৈতিক রিরোধী পক্ষ আছে, তারাও অপপ্রচার চালাতে পারে। তাই আইন যা বলে, তাই হবে।

আশিক ইরানের ভাই মাসুদ রানা জানান, থানায় অভিযোগ দিয়েছি। অভিযুক্ত সকল সন্ত্রাসী ও মদদ দাতা কাউন্সিলরের উপযুক্ত বিচার চাই। কুমিল্লা শহর যেন সন্ত্রসীদের দখলে চলে না যায়। তাদের সকলকে দ্রুত গ্রেফতার করার দাবি জানাচ্ছি।


আরো পড়ুন