• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২১ অপরাহ্ন

কাস্টমস এর নিলামকৃত চিনি অবৈধ বলে মামলা দায়েরের অভিযোগ বুড়িচং থানা পুলিশের বিরুদ্ধে

/ ৯২ বার পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লা লাইসেন্সকৃত ফয়সাল এন্ড ব্রাদার্স,নামক একটি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সময়ে কাস্টমস এর নিলামকৃত বিভিন্ন পণ্য ডাকের মাধ্যমে নিয়ে ব্যবসা করেন বহু বছর যাবৎ। জানা যায় যে, উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক ফয়সাল আহম্মেদ তার নিজ প্রতিষ্ঠান ফয়সাল এন্ড ব্রাদার্স, প্রতিষ্ঠানটি কুমিল্লা আদর্শ সদর, রাজগঞ্জে মূল অফিস ও বুড়িচং থানাধীন দক্ষিন গ্রামে রয়েছে একটি শাখা বৈধ লাইসেন্সে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা করে আসছেন। বিভিন্ন সময়ে ভ্যাট ও ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে ইন্ডিয়া থেকে চোরাই পথে আসা খাদ্য দ্রব্য, কসমেটিকস ইত্যাদি আটক করে কাস্টমস নিলাম করে থাকেন। ঠিক প্রতিবারের নেয় কুমিল্লা আদর্শ সদরের কাস্টমস গত ৩০/০৭/২০২৩ইং তারিখে চিনি নিলামে উঠালে ফয়সাল এন্ড ব্রাদার্স ৪,৫৬৫ কেজি ভারতীয় চিনি ৫,৬৮,০৬২/- (পাঁচ লক্ষ আটষট্টি হাজার বাষট্টি) টাকায় ডাকের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ডাক দাতা হিসেবে মনোনিত হয়ে ডাক পায়, উক্ত পণ্য ফয়সাল আহম্মেদ নিজে থেকে নিলাম এর ডাক নেন ও ভ্যাট ট্যাক্স সহ সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করেন। নিলামে ক্রয় করার খাদ্য পণ্যের কোন সময়-সীমা হয় না।

গত ০১/১১/২৩ তারিখে ফয়সাল এন্ড ব্রাদার্স নিলামকৃত চিনির ( ৩৯ বস্তা চিনি ১,৯৫০ কেজি ) চিনি বিক্রির করেন শামীম এন্টার প্রাইজ প্রতিষ্ঠানের, শামীম নামের এক ব্যবসায়ীর কাছে। শামীম সেই পণ্যসমূহ ফয়সাল এন্ড ব্রাদার্স বুড়িচং থানাধীন দক্ষিন গ্রামের শাখার গুদামে রেখে দেন যা ০৩/১১/২০২৩ইং তারিখে নিয়ে যাবেন বলে। প্রশ্ন থাকে যে, ফয়সাল এন্ড ব্রাদার্স নিলামকৃত চিনি ক্রয় করেছেন কাস্টমস থেকে যেখানে কোন সময়-সীমা বেধে দেয়নি খাদ্য পন্য বিক্রির জন্য কিন্তু শামীম এন্টার প্রাইজ যখন ক্রয় করবেন তখনইতো আর সেই খাদ্য দ্রব্য চিনিতে মেয়াদ কিংবা সময়-সীমা বেধে দিয়ে বিক্রি করার কোন প্রকার ক্ষমতা রাখেনা অতএব উক্ত পণ্য অবৈধ বলার ক্ষমতা না রাখলেও বুড়িচং থানা পুলিশ কোন আইনে আটক করে অবৈধ বলে মামলা দেওয়ার ক্ষমতা রাখলেন।

জানা যায় যে, গত ০৩/১১/২০২৩ইং তারিখে শামীম এন্টার প্রাইজ ফয়সাল এন্ড ব্রাদারর্স’কে দেওয়া শর্ত মোতাবেক ডেলিভারি করার জন্য ভোর বেলায় পণ্য ডেলিভারি করতে যায় ফয়সাল এন্ড ব্রাদার্সের এক কর্মচারী মোঃ আল-আমিন(২২) হলুদ রং এর একটি মিনি পিকআপে করে আনুমানিক ভোর ৪:৪৫ এর সময় রাজাপুর মা ও শিশু হাসপাতাল রোডে পৌঁছালে বুড়িচং থানার এএসআই নূর আলম, এসআই রাজীব সাহা সহ সংগীয় পুলিশ ফোর্স পিক-আপ ভ্যানটি আটক করে যাচাই বাচাই করবেন বলে থানায় নিয়ে যায় তখন শামীম এন্টার প্রাইজের শামীম ফয়সাল এন্ড ব্রাদার্স থেকে ক্রয়কৃত চিনির রসিদ নিয়ে থানায় গেলে এক লাখ টাকা অর্থের বিনিময়ে রফাদফার চেষ্টা চালায়! তখনি ফয়সাল এন্ড ব্রাদার্স এর মালিক ফয়সাল আহম্মেদ মুঠোফোনে চিনি বৈধ বলে চ্যালেঞ্জ করলে ওসি সহ এসআই রাজীব সাহা দাবীকৃত এক লক্ষ টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এসআই রাজীব সাহা নিজে বাদী হয়ে ফয়সাল এন্ড ব্রাদার্স এর মালিক ফয়সাল আহম্মেদ’কে পলাতক আসামী দেখিয়ে তার কর্মচারী আল-আমিন (২২) কে মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করেন উক্ত মামলার দ্বারা অনুযায়ী আল-আমিন অজামিন যোগ্য বলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। দুঃখ জনক হলেও সত্য এই যে, ফয়সাল এন্ড ব্রাদারস এর মালিক ফয়সাল আহম্মেদকে ঘটনা স্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনার স্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে মামলায় এজাহার ভুক্ত আসামী করেন পুলিশ! কিন্তু ফয়সাল সেই দিন কুমিল্লাতেই ছিলেন না সেই দিন ফয়সাল ছিলেন ( যশোর বেনাপুলে ) তাহলে ফয়সাল আহম্মেদ কি ভাবে ঘটনা স্থলে ছিলেন? তাহলে কি ফয়সাল আহম্মেদের জ্বীন ও ইনসান জাতীর দু”টাই ক্ষমতা আছে নাকি পুলিশ আইনের ক্ষমতায় ফয়সাল আহম্মেদকে দু”টাই বানাতে চাচ্ছেন?

ফয়সাল আহম্মেদ এর ট্রেইনের টিকেটও রয়েছে সেই দিন সে (যশোর-বেনাপোল) ছিলেন! পুলিশ অর্থ না পাওয়াতে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে এই মামলা দিয়ে ব্যবসায়ী ফয়সাল আহম্মেদকে হয়রানী করছেন। একটি মিনি পিক-আপ সহ ৩৯ বস্তা চিনি রয়েছে জব্দ ও অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান আল-আমিন জেল হাজতে, ফয়সাল আহম্মেদ আগাম জামিনে আছেন একজন বৈধ ব্যবসায়ী কি তাহলে আইনের বেড়া জালে বন্ধী হয়ে হয়রানী হয়েই চলবে! বুড়িচং থানা পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নতুন নহে এমন আরও অনেক ব্যবসায়ীদের বৈধ পণ্য অবৈধ বলে হয়রানী করা অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। তবে কুমিল্লা পুলিশ মাদক, অস্ত্র, চোরাই পথে আসা মোবাইল কসমেটিকস সহ অন্যান্য পণ্য সুনামের আটক করছেন যা কিনা নজরবিহীন ঘটনা অন্যান্য জেলার চাইতেও কুমিল্লা জেলার পুলিশেরা সুনাম অর্জন করেছেন।


আরো পড়ুন