• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৭ পূর্বাহ্ন

পুলিশে চাকরির প্রলোভনে পোশাক কর্মীকে আটকে রেখে ধর্ষণ সোর্সসহ গ্রেপ্তার ২

/ ৩২৬ বার পঠিত
আপডেট: বুধবার, ১০ জুলাই, ২০১৯

পআব্দুল করিম চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:- পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়া এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক পোশাক কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের দুই টেন্ডল ও সোর্সকে গ্রেপ্তার করেছে ডবলমুরিং থানা পুলিশ। গত সোমবার রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার ঝর্ণাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষণে জড়িত দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরা হল- শাহাদাৎ হোসেন রাজু (৩০) ও মহব্বত আলী (২৫)। এদের মধ্যে রাজু পুলিশের টেন্ডল ও মহব্বত সোর্স হিসেবে পরিচিত। ঘটনার শিকার তরুণীর বাড়ি রাঙামাটি জেলায়। বয়স আনুমানিক ২০ বছর। তিনি নগরীর কর্ণফুলী ইপিজেডে এম এইচ গার্মেন্টস নামে একটি কারখানায় কাজ করেন বলে জানিয়েছেন নগরীর ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ।

ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির হোসেন জানান, এক পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আক্রান্ত তরুণীর। পরে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়। মাস দুয়েক আগে তরুণীর সঙ্গে টেন্ডল রাজুর পরিচয় হয়। তারা একসঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় বেড়াতে যায়। রাজু তরুণীকে জানায়, তার সঙ্গে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পরিচয় আছে। তরুণীকে সে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পাইয়ে দেবে। এতে তাকে আর পোশাক কারখানায় চাকরি করতে হবে না। তার লাইফস্টাইল পাল্টে যাবে। জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে রাজু ওই তরুণীকে নিয়ে আমানত শাহ’র মাজারে যায়। সেখানে রাজু কান্নাজড়িত কন্ঠে তাকে জানায়, তার স্ত্রী মারা গেছে। মা-হারা দুই সন্তান নিয়ে সে খুব কষ্টে আছে। এজন্য তাকে বিয়ে করতে তরুণীকে অনুরোধ করে। রাজুর কান্না দেখে তরুণী রাজি হয়।

গত ৪ জুলাই রাজু তরুণীকে নিয়ে নগরীর চৌমুহনী এলাকায় হক টাওয়ার নামে একটি হোটেলের ৪০৬ নম্বর কক্ষে ওঠে। সেখানে ৭ জুলাই পর্যন্ত আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করে রাজু। ৭ জুলাই তরুণী রাজুকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। তখন রাজু হোটেলে সোর্স মহব্বতকে ডেকে আনে এবং তরুণীকে তার বাসায় নিয়ে যেতে বলে। সেখানে তরুণীকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। মহব্বত নগরীর ডবলমুরিং থানার মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় একটি বাসায় তরুণীকে নিয়ে যায়। সেখানে তরুণীকে একাধিকবার সে যৌন হয়রানি করে। তরুণী ৭ জুলাই রাতে কৌশলে ওই বাসা থেকে পালিয়ে নগরীর চকবাজারে নিজের বাসায় চলে যান।

৮ জুলাই সকালে তরুণী রাজুর কাছে থাকা তার ব্যবহারের কাপড় নিতে মহব্বতকে ফোন করে। মহব্বত তাকে ঝর্ণাপাড়া এলাকায় একটি বাসায় নিয়ে নিজের স্ত্রী পরিচয়ে রেখে বাইরে চলে যান। স্থানীয়রা সন্দেহের বশে মেয়েটির সঙ্গে কথা বলার পর বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পুলিশ গিয়ে ঝর্ণাপাড়া এলাকা থেকে মহব্বতকে আটক করার পর চৌমুহুনির চাড়িয়া পাড়া থেকে রাজুকে আটক করে এবং মেয়েটির মালামাল উদ্ধার করা হয়।

পরিদর্শক (তদন্ত) জহির জানান, আক্রান্ত তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তরুণী বাদী হয়ে আটক দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দু’জনকে বুধবার আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমাণ্ডের আবেদন করা হবে।


আরো পড়ুন