• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২২ অপরাহ্ন

মেট্রোরেল শেখ হাসিনা সরকারের ভাবমূর্তি বাড়াবে : ব্লুমবার্গ

/ ৯৫ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২

ঢাকার মতো একটি জনবহুল নগরীতে মেট্রোরেল স্থাপনকে বর্তমান সরকারের একটি বড় সাফল্য উল্লেখ করে মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, মেট্রোরেল শেখ হাসিনা সরকারের ভাবমূর্তি বাড়াবে।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মেট্রোরেল যাত্রা শুরুর পর ব্লুমবার্গের প্রকাশিত প্রতিবেদন এ কথা বলা হয়েছে।

‘বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শহর পেল প্রথম মেট্রোরেল’ শীর্ষক এ প্রতিবেদনে ঢাকায় মেট্রোরেলের প্রয়োজনীয়তাসহ বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজধানীর এখন আছে মেট্রোরেলের প্রথম লাইন। জাপানের অর্থায়নে, বিশ্বের অন্যতম জনবহুল শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করার লক্ষ্যে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি ঢাকায় বসবাসরত মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন আনবে।

এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোর একটি অংশ বুধবার উদ্বোধন করেন, যা লাইন ৬ নামে পরিচিত। এই লাইনটি ঢাকার উত্তর অংশের সঙ্গে মধ্যাংশের সরকারি অফিস ও এবং হাসপাতালগুলোর সঙ্গে সংযোগ তৈরি করেছে। পরবর্তীতে এটি শহরের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ দিকের বাণিজ্যিক বিভাগ মতিঝিলে যাবে।

ঢাকাবাসীর বহুল আকাঙ্ক্ষিত মেট্রোরেলের উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটি বাংলাদেশের উন্নয়নের নতুন মাইলফলক।

বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে ব্লমবার্গ লিখেছে, ৩০৫ বর্গ কিলোমিটারের শহর ঢাকায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষের বসবাস। ১০ বছর আগে ঢাকায় যানবাহনের গতি ছিল ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার। সেখান থেকে তা কমে হয়েছে ৭ কিলোমিটার। কমতে কমতে এটি ৪ কিলোমিটারে নেমে যেতে পারে। যা হাঁটার চেয়েও ধীরগতি।

প্রতিবেদনে ব্লুমবার্গ ঢাকার মেট্রোরেল নিয়ে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার সাবেক প্রধান অর্থনীতিবীদ মার্টিন রমার দেওয়া একটি বক্তব্যের কথাও উল্লেখ করেছে। মার্টিন রমা মেট্রোরেল নিয়ে বলেছিলেন, ঢাকার মতো একটি শহরের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উন্নয়ন। যদি আপনি ভারতের বিভিন্ন শহরের দিকে তাকান দেখবেন মানুষের কাজে যাওয়ার যোগাযোগ পথে অনেক পরিবর্তন এসেছে। মেট্রোরেল যোগাযোগের নিরাপদ একটি বাহন। বিশেষ করে নারীদের জন্য। দক্ষিণ এশিয়ায় যা গতানুগতিক না।

বাংলাদেশে ট্রাফিক জ্যামের কথা উল্লেখ করে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জ্যামের কারণে ঢাকায় প্রতিদিন নষ্ট হয় ৩২ লাখ ঘণ্টা (ওয়ার্কিং আওয়ার)। যার কারণে প্রতিদিন বাংলাদেশের কয়েক বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়।

এ ছাড়া বিশ্বের অবসবাসযোগ্য শহরের মধ্যে ঢাকা সপ্তম শহর প্রতিবেদনে এ তথ্যও উল্লেখ করা হয়।


আরো পড়ুন