• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন

পরকিয়াই এলাকাবাসীর হাতে ধরা খেয়ে বিয়ে, মেয়ে মেয়ের বাড়ি আর ছেলে ছেলের বাড়িতে!!

/ ৩০৯ বার পঠিত
আপডেট: সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯

গাজীপুরে শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের উত্তর পেলাইদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।১৮ অক্টোবর রোজ শুক্রবার দুপুর ১ টার দিকে মোঃ জহিরুল ইসলাম (২৫) সহ দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে এলাকার কিছু যুবক হাতেনাতে জহিরুল ইসলামের নিজ বাড়িতে ধরে, এতে জহিরুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হলে এলাকার আশপাশ থেকে আরও অনেক লোক জর হয়।

মেয়ের নাম মোছাঃ সুনিয়া আক্তার (২৪) পিতা মোঃ আব্দুল আওয়াল বর্তমান ঠিকানা জৈনা বাজার, কলেজ রোড মোঃ সাজু মিয়ার বাসাই বাড়া থাকে।স্থায়ী ঠিকানা নেত্রকোনা, ভরাডোবা থানা।
সুনিয়ার সাথে থাকা বিয়াইন পরিচয়ে মোছাঃ শারমিন আক্তার (২৩),পিতা মোঃ দুলাল স্থায়ী ঠিকানা জৈনাবাজার।

মোছাঃ সুনিয়া আক্তার বলেন জহিরুলের সাথে আমার ৩ মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক আমরা একই ফেক্টরিতে চাকরি করি,আমি বাসায় কাউকে না বলেই এখানে এসেছি,এখন আমার এই মুখ নিয়ে বাসায় যেতে পারবো না আর আমাদের সম্পর্ক তারা মেনে নিবে না, আমি জহিরুলকেই বিয়ে করবো,,তা না হলে মৃত্যু ছাড়া আমার আর কোন পথ নেই।

মোঃ জহিরুল ইসলাম কে জিগ্যাসা করলে তিনি বলেন আমি বিয়ে করতে রাজি আছি,,আমি সুনিয়াকে ভালোবাসি তাকেই বিয়ে করবো।

উল্লেখ্য মোছাঃ সুনিয়া আক্তারে আগে একবার বিবাহ হয়েছে যাহার স্বামীর সাথে ডিবোর্সের কোন কাগজপত্র হাতে নেয় এবং জহিরুল ইসলম ও এর আগে দুটি বিয়ে করেছেন।

এলাকাবাসীরা জানান জহিরুল ইসলাম কিছুদিন পর পর বিয়ে করে এবং মাজে মাজে মেয়ে নিয়ে আসে তার বাসায়,,এতে এলাকার যুব সমাজ নষ্ট হচ্ছে।

ইউপি সদস্য মোঃ নাছির উদ্দিন বলেন আমি ঘটনা শুনার পরপরই জহিরুল ইসলামের বাড়িতে যাই,এবং ঘটনার সত্যতা পাই,জহিরুল ইসলাম এর আগেও দুটি বিয়ে করেছে যার একটির ডিবোর্স না দিয়েই মেয়ে নিয়ে বাসায় চলে আসছে, তারপর আমি আগের বউয়ের ডিবোর্সের সকল প্রকার লেনদেন শেষ করে মেয়ে পক্ষ থেকে ডিবোর্স দিয়ে এর সমাধান করি। তারপর আমি এলাকার গম্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে মোঃ ফয়েজ উদ্দিনের কাছে ছেলে মেয়ে উভয়কে দিয়ে আসি এবং বলেছি মেয়ের বাবা -মা বা আত্বীয়স্বজন ছাড়া বিয়ে না পড়াতে যদি পড়ানো হয় তাহলে যেন ১০ লক্ষ টাকা কাবিন দেওয়া হয়।

পরেরদিন সকাল ৯ টার সময় জহিরুল ইসলামের বাসায় গেলে দেখা যায় ছেলে মেয়ে কেউ বাসায় নেই, জহিরুলের মা বলেন গতকাল রাতেই তাদের বিয়ে দেওয়া হয়েছে, সকালে এসে মেয়ের ভাই মেয়েকে নিয়ে গেছে। দায়িত্বদেওয়া মোঃ ফয়েজ উদ্দিন মুটোফোনে বলেন মেয়ে তার আগের স্বামীকে ডিবোর্স দিয়েছে তারপর আমরা এলাকার মুস্সী এনে বিয়ে পড়িয়েছি।

পুনরাই ইউপি সদস্য মোঃ নাছির উদ্দিনের কাছে বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিয়ের ব্যাপারে তাকে ফয়েজউদ্দিন বা অন্য কেউ কিছু জানায়নি।


আরো পড়ুন