• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০১:০৭ অপরাহ্ন

বিপুল পরিমাণ গ্যাস পোড়াচ্ছে

/ ১০০ বার পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

জ্বালানি ঘাটতিতে ভুগছে বিশ্ব। এর মধ্যে ইউরোপের অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। অঞ্চলটিতে জ্বালানির দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। এর মধ্যেই বিপুল পরিমাণ গ্যাস পোড়াচ্ছে রাশিয়া।

প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, ফিনল্যান্ড সীমান্তের একটি গ্যাস ফিল্ডে প্রতিদিন চার দশমিক ৩৪ মিলিয়ন কিউবেক গ্যাস পোড়াচ্ছে রাশিয়া। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১০ মিলিয়ন ডলার।

ফিনল্যান্ডের সীমান্তে পোড়ানো এই গ্যাস আগে জার্মানিতে রফতানি করতো মস্কো। শুধু শুধু গ্যাস পোড়ানোয় এর প্রভাব আর্কটিক বরফেও পড়বে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

বাল্টিক সাগরের পাশে সেন্ট পিটার্সবার্গের উত্তর-পশ্চিমে পোর্টোভায়া গ্যাস ক্ষেত্রটির অবস্থান। নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইনের রাশিয়ার অংশের শুরুতে একটি কমপ্রেসর স্টেশনের কাছাকাছি গ্যাস ক্ষেত্রটি অবস্থিত। এই স্টেশন থেকেই সমুদ্র তলদেশ হয়ে জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহ করে ক্রেমলিন।

প্রযুক্তিগত সমস্যাকে দায়ী করে গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেয় রাশিয়া। তবে জার্মানির দাবি, গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া রাশিয়ার একটি রাজনৈতিক পদক্ষেপ।

গত জুন থেকে পোর্টোভায়া গ্যাস ক্ষেত্র থেকে নির্গত তাপের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করেছেন গবেষকরা।

গ্যাস ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক এ জ্বালানি পোড়ানো খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। নিরাপত্তা ও প্রযুক্তির জন্য গ্যাস ক্ষেত্রগুলোতে জ্বালানি পোড়ানো হয়। তবে পোর্টোভায়ায় পোড়ানো গ্যাসের পরিমাণে বিশ্লেষকরা চিন্তিত হয়ে পড়ছে।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যাটেলাইট ডেটার বিশেষজ্ঞ ড. জেসিকা ম্যাককার্টি বলেন, ‘আমি কোনো এলএনজি প্ল্যান্টে এতটা আগুন জ্বলতে দেখিনি। গত জুন থেকে আগুনের পরিমাণ বাড়তে থাকে। ওই সময় আগুনের বিশাল চূড়া দেখতে পায় আমরা। এটি কমছে না। ’

গ্যাস ক্ষেত্রের আগুন নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ক্যাপট্রিওর সিইও মার্ক দেভিস বলেন, ‘পোর্টোভায়ার আগুন বৃদ্ধি দুর্ঘটনাজনিত নয়। সম্ভবত অপারেশনাল কারণগুলোর জন্য আগুন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেক সময় প্রযুক্তিগত কারণেও আগুন নেভানো হয় না। কারণ এগুলো খুবই ব্যয়বহুল। ’

তবে অনেক বিশ্লেষকের ধারণা, রাশিয়ার মালিকানাধীন গ্যাজপ্রম এলএনজি তৈরির জন্য পোর্টোভায়ার গ্যাস ব্যবহার করতে চেয়েছিল। কিন্তু এটি পরিচালনায় সমস্যা দেখা দেওয়ায় তারা বিকল্প হিসেবে গ্যাস পুড়িয়ে দিচ্ছে।

ইউক্রেন আক্রমণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে রাশিয়া গ্যাস পুড়িয়ে ফেলতে পারে বলেও অনেকের ধারণা।

এ দিকে বিপুল পরিমাণে গ্যাস পোড়ানোয় এর পরিবেশগত প্রভাবে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছে, প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ানোয় মূল উপাদান মিথেন নির্গমন জলবায়ুর জন্য চরম আকারে ক্ষতিকারক।

বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য মতে, গ্যাস পোড়ানোয় রাশিয়া শীর্ষে রয়েছে। দেশটি প্রতিদিন ৯ হাজার টন কার্বন নির্গমন করে; যার মধ্যে গ্যাস পুড়িয়ে কার্বন নির্গমন অন্যতম।


আরো পড়ুন