• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন

শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদরাসা ছাত্রকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক / ১১৬ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ, ২০২২

মাদারীপুরের শহরের টি.বি ক্লিনিক রোড এলাকার আদর্শ নূরানি মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র আব্দুল্লাহ আল নাঈম (১০) পড়ার সময় কথা বলায় পিটিয়ে মারাত্মক জখম করার অভিযোগ উঠেছে ওই মাদরাসার শিক্ষক জামিল আহম্মেদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আদর্শ মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।

বুধবার দুপুরে আহত ছাত্র নাঈম বাড়িতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। আহত আব্দুল্লাহ আল নাঈম কুলপদ্বি এলাকার হাবিবুর রহমান জিন্নার ছেলে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোরে মাদরাসার হেফজ বিভাগে পড়ার সময়ে দুই ছাত্রের সাথে কথা বলছিল নাঈম। এ দেখে শিক্ষক জামিল আহম্মেদ রেগে গিয়ে বাঁশের তৈরি চটি দিয়ে দুই হাতের বাহু ও তালুতে বেদম প্রহার করে। চটি দিয়ে পিটানোর ফলে হাতের বাহুতে জখম হয়ে রক্তজমাট বেধে যায় ও হাতের আঙ্গুল মারাত্মক জখম হয়। বুধবার দুপুরে মাদরাসা ছুটি হলে বাসায় যাওয়ার পরে তার মা সাজেদা বেগম ছেলের গায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায়। ছেলের হাতের খারাপ অবস্থা দেখে সাজেদা বেগম তার ছেলে নাঈমকে চিকিৎসার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

আব্দুল্লাহ আল নাঈমের মা সাজেদা বেগম বলেন, আমার স্বামী নাঈমকে ছোট রেখে মারা গেছে। আমার এতিম ছেলে আর ছোট একটা মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকি। খুব কষ্ট করে ছেলে-মেয়েকে মাদ্রাসায় পড়াই। আমার ছেলেটা ভীষণ শান্ত স্বভাবের। মঙ্গলবার ভোর রাতে আমার ছেলেকে মাদরাসার হুজুর জামিল আহম্মেদ চটি দিয়ে খুব মারধর করেছে। ছেলেটার বাম হাতের দুইটা আঙুল নাড়াতেও পারে না। প্রশাসনের কাছে আমি হুজুরের বিচার চাই।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শাহরিয়ার শাকিল বলেন, আব্দুল্লাহ আল নাঈম নামে এক মাদ্রাসার ছাত্র চিকিৎসা নিতে আমাদের হাসপাতালে এসেছে। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। তার হাতে ফোলাও আছে যার জন্য এক্সেরে করতে দিয়েছি। আমরা তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।

আদর্শ নূরানি মাদরাসায় প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলিম বলেন, ব্যাপারটা দুঃখজনক। আমি ওই শিক্ষার্থীকে মারার ব্যাপারে শুনেছি। আমি শোনা মাত্রই ওই শিক্ষককে বলে দিয়েছে সে এখানে আর চাকরি করতে পারবে না। মাদারীপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিমন রায় জানান, আমরা আপনার (সাংবাদিক) মাধ্যমে ব্যাপারটি জানলাম। ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় অভিযোগ দিলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।


আরো পড়ুন