চট্টগ্রামের নগরীর জেএম সেন হলে পূজামণ্ডপে হামলা, ব্যানার-পোস্টার ছেঁড়া ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে যে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরুর রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের ৯ নেতাকর্মী রয়েছে।
এ ব্যাপারে শুক্রবার (২২ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মিছিলের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা ও তদন্ত করে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের কাছে পরিচয় তারা এখন অপরাধী। অপরাধ করেছে বলেই তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি।
এ ঘটনার সঙ্গে এবং পেছনে যারা জড়িত আছে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, নেতৃত্ব প্রদানকারী ও পরিকল্পনাকারীকে আমরা পেয়েছি। তবে আমরা কখনোই বলছি না এরাই মূল পরিকল্পনাকারী। তদন্তে আরও কিছু বের হতে পারে। আমরা কিছু টেলিফোনের কথোপকথন পেয়েছি, সেগুলো পর্যালোচনা করছি।
চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি গ্রেপ্তাররা হামলার পরিকল্পনা করেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সাধারণ মুসল্লিদের কাজে লাগিয়েছে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এই হামলার ঘটনা।
বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ, চট্টগ্রামের নেতাদের পরিকল্পনাতেই চট্টগ্রামের জেএম সেন হলে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন ওসি।