• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩০ অপরাহ্ন

বরিশালে গৌরনদী ভণ্ড ওঝা নামে সঞ্জিব চন্দ্র মাঝির যত কুর্কীতি!!

/ ৩২০ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- মানুষের সরল বিশ্বাস ও ধর্মীয় বিশ্বাসকে পুঁজি করে নিজেকে অতিমানবীয় অলৌকিক ক্ষমতাধর সর্ব রোগের মহাসাধক দাবি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া বরিশালে এক ভন্ড গুরুর সন্ধান মিলেছে। অসংখ্য সাধারন মানুষ ভণ্ড গুরুর ধোঁকাবাজির শিকার হয়েছেন। অনেকেই লোক লজ্জার ভয় ও সামাজিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিশ্চুপ রয়েছেন। রোগীদের মধ্যে বিশেষ করে নারীদের সংখ্যাই বেশি। তিনি গুরু বাবা নামে রোগীদের কাছে পরিচিত। এ যেনো আরেক রাম রহিম সিংহ। এই ভন্ড গুরু বাবার নাম সঞ্জিব চন্দ্র মাঝি। বরিশাল জেলার গৌরনদী থানার উত্তর সােকাকাঠি গ্রামের অরুন চন্দ্র মাঝির পুত্র সে।

তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে-অশোকানন্দ অবধূত গুরু মহারাজ নামক এক ব্যক্তি ২০০০ সালের ১৪ অাগস্ট বরিশাল নগরীর কাশিপুর ইউনিয়নের রেন্ট্রিতলা,দাসেরবাড়ি নামকস্থানে অবধূত সেবাশ্রম মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১০ সালে মন্দির প্রতিষ্ঠাতা অশোকানন্দ অবধূত ভোলায় অবস্থানকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাকে আশংকাজনক অবস্থায় বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত: ঘোষণা করেন। বছর চারেক আগে গুরু বাবা সেজে মানুষের সরল বিশ্বাস ও ধর্মীয় বিশ্বাসকে পুঁজি করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার টার্গেটে কাশিপুর অবধূত সেবাশ্রমে কৌশলীন্থায় আশ্রয় নেয় অরুন চন্দ্র মাঝি। এক্ষেত্রে ভন্ড গুরু অরুন চন্দ্র মাঝিকে অবধূত সেবাশ্রম মন্দিরের দেখভাল করার দায়িত্ব দেন মন্দিরের জমি দাতা লক্ষন দাস ও তার জমাই নিতাই। পরবর্তীতে অরুন চন্দ্র মাঝি নিজেকে সাধু বাবু সর্বরোগের মহাসাধক গুরু বাবা হিসেবে নিজেকে নানা কৌশলে জাহির করেন।

এরসঙ্গে সংঘবদ্ধ এক দালাল চক্রও জড়িত রয়েছে। ধর্মীয় বিশ্বাসকে পুঁজি করে প্রতারণার বিষয়ে ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সংবাদকর্মীরা অনুসন্ধানে ঘটনাস্থলে গেলে কয়েক দালাল নিজেদের রোগী হিসেবে পরিচয় দেন। দালালদের মধ্যে রয়েছে, বাকেরগঞ্জের গাড়ুরিয়া এলাকার শ্যামল চন্দ্র সমাদ্দার ও তার ছেলে মিঠুন চন্দ্র সমাদ্দার, ভাণ্ডারিয়ার তারাবুনিয়া এলাকার ক্ষিতিশ চন্দ্র কুরি। এছাড়া বেশ কয়েকজন নারী দালালও রয়েছে। আরেকদিকে মন্দিরের একপাশে নারী রোগীদের চিকিৎসার নামে শুয়ে রাখা হয়েছে। প্রতিদিনই ১০ থেকে ১৫ জন রোগী ও ভন্ড সাধু বাবার ভক্তগন সেখানে আসছেন। অনুসন্ধানী সূত্রগুলো বলছে-বেশ কয়েক বছর ধরে ভন্ড গুরু সঞ্জিব চন্দ্র মাঝি তিনি নিজেকে সর্বরোগের চিকিৎসার পসরা নিয়ে সাধু বাবা সেজে নানা ফু-ফাকর,তাবিজ,কবজ,তেলপড়াসহ নানাবিধ কৌশলী পন্থায় হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। ভন্ড গুরু সঞ্জিব চন্দ্র মাঝি চারিদিকে দালাল চক্র রেখে অব্যাহত প্রতারণা করে যাচ্ছে।

এই ভন্ড সাধুর পাশে থাকা দালালরা প্রচার করে গুরু বাবার যে-কতো মাজেজা। এমন কোনো রোগ নেই যে তিনি ভালো করতে পারেননা। আবার কেউ কেউ ভয়ভীতিও প্রদর্শন করে যে,বাবার মাজেজার বিষয়ে অভক্তি করবে, তার আর নিস্তার নাই। তার বড়ই বিপদ। অভিজ্ঞমহলের ভাষ্য : আধুনিক যুগেও একের পর এক ভন্ড গুরু কিংবা ভন্ড ফকিরের আভির্ভাবে সর্বশান্ত হচ্ছে রোগী ও স্বজনরা। কিন্তু এ যেনো দেখার কেউ নেই। স্থানীয় সূত্র জানায়- গুরু সঞ্জিব চন্দ্র মাঝি ভুত পেত্নী নিপাত করে দেন। গ্রাম্য ভাষায় বলে আর্চরা। আর্চরা মানে কারো ওপর ভুত পেত্নী ভর করা। এরমধ্যে আবার প্রকারভেদ রয়েছে-ভালো আর্চরা ও মন্দ আর্চরা। বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আর্চরা ছাড়াতে রোগীরা তার শরনাপন্ন হন। এছাড়া পেট ব্যথা,মানসিক রোগী,যাদের সন্তান হচ্ছে না সহ সকল ধরণের রোগীর সাধক হিসেবে কাজ করেন তিনি।

শুধু বরিশাল অঞ্চল নয় এর বাইরে মাদারীপুর,ফরিদপুর গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী-পুরুষরা চিকিৎসা করাতে এখানে আসেন। দাম্পত্য জীবনে সন্তান হওয়ার কামনায় বাবার সঙ্গে মোটা অংকের লেনদেনে মৌখিক চুক্তি করা হয়। বাবার মাজেজায় সন্তানও ভুমিষ্ঠ হয়ে যায়। মানুষকে বান মারা,আবার বান শেষ করে দেয়া সবই বাবায় পারেন। বান মারা অর্থাৎ মাজেজায় নাকি মানুষকে মেরে ফেলা হয়। এমন কোন সমস্যা নেই যে-সাধু বাবায় সমাধান করতে পারেন না। এরকম প্রচারের জন্য একটি সিন্ডিকেট চক্র চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। প্রত্যহ বাবার আশ্রমের নারী-পুরুষ আসছেন। কেউ কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে ভণ্ড সাধু বাবার আশ্রমে মাসের পর মাস চিকিৎসার জন্য থাকছেন। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বেশ কয়েকজন রোগী-দরবারে দীর্ঘ সময় অবস্থান করে চিকিৎসা করাচ্ছেন। যারা মাসের পর মাস থেকে চিকিৎসায় আসেন তাদের সাথে বড় অংকের মৌখিক চুক্তি করেন। ২০ হাজার থেকে লাখের অধিক টাকাও এহেন চুক্তি করেন ভন্ড ভন্ড সাধক ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ভন্ড গুরু বাবা সঞ্জিব চন্দ্র মাঝি আশ্রমের ২৪ ঘন্টাই পর্যায়ক্রমে দালাল চক্র সক্রিয় থাকছে। দালালদের মধ্যে কেউ কেউ প্রচার করছে, বাবার যে কত মাজেজা আছে বলে শেষ করে যাবে না,ভাই আমি পুরো পাগল ছিলাম বাবার শরনাপন্ন হয়ে এখন পুরোপুরি সুস্থ। কেউ বলছে, আমার জন্মদাতা বাবাকে দেশের কোন মেডিকেল চিকিৎসায় ভালো করতে পারেনি। কিন্তু বাবার কাছে নিয়ে আসার পর তার চিকিৎসায় আমার পিতা সুস্থ হয়ে গেছেন। কেউ বলছে, শুধু বরিশাল নয় দেশের বিভিন্নস্থান থেকে বাবার দরবারে চিকিৎসার জন্য দিবারাত্রি আসছে,সুস্থ হচ্ছে। কেউ বাবার বিরুদ্ধচারন করলে তার বড় ধরণের ক্ষতির সম্মুক্ষিন হতে হয়।

এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। চক্রের সদস্যরা বলেন,বাবাকে চিনতে ভুল করেছেন,একেবারে শেষ হয়ে যাবেন। সূত্রের ভাষ্য-গুরু বাবা এভাবেই শ’শ নারী-পুরুষের সঙ্গে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকার মালিক বনে গেছেন। আশ্রমের মধ্যেই গুরু সঞ্জিব চন্দ্র মাঝির ভন্ডামী চলছে। যেখানে বসেই তিনি সর্বরোগের চিকিৎসার প্রতারণায় অর্থের ধান্ধায় মশগুল থাকেন। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত রোগীদের সিরিয়াল পড়ে। প্রতারণার শিকার অসংখ্য নারী পুরুষ রয়েছেন। প্রতারণার শিকারদের মধ্যে রয়েছেন-ভোলার কুঞ্জের হাটের শফিক কেরানী,বাউফলের কেশবপুর এলাকার উত্তম চন্দ্র দাসের স্ত্রী সুমা রানী দাস, বাউফলের কালাইয়া ইউনিয়নের রাতুল মিস্ত্রি, কালাইয়ার কাজল রানীসহ নাম জানা অজানা অগনিত নারী পুরুষ।

ভুক্তভোগী বাউফলের কেশবপুর এলাকার উত্তম চন্দ্র দাসের স্ত্রী সুমা রানী দাস বলেন- ৪ ‌বছর আগে আমার স্ত্রী প্রচন্ড অসুস্থ ছিলো। স্ত্রীকে ক্লিনিকে ভর্তির হওয়ার আগে বরিশালের কাশিপুর অবধূত সেবাশ্রমে গিয়েছিলাম। স্ত্রীর সুস্থতা কামনায় তৎকালীন সময়ে স্ত্রীকে নিয়ে ধর্মগুরু সঞ্জিবের আর্শিবাদ নেই। আমার স্ত্রীকে বেলপাতা দিয়ে সুস্থতার জন্য আর্শিবাদ করেন। রাতে ওই আশ্রমে আমরা স্বামী স্ত্রী অবস্থানও করি। পরে আমার স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হলে বরিশাল ইডেন ক্লিনিকে ভর্তি করি। সেখানে দীর্ঘ চিকিৎসার পর আমার স্ত্রীর সন্তান প্রসব করে। একইসঙ্গে স্ত্রী ও সন্তান সুস্থ হয়। ধর্মগুরু সঞ্জিব কোন টাকা নিয়েছেন কিনা এরকম প্রশ্নের জবাবে বলেন-অনেক আগের ঘটনা টাকা দিয়েছি কিনা খেয়াল নেই,তবে আমার স্ত্রী বলতে পারবে।

অশোকানন্দ ঠাকুরের ভক্ত ভোলার বাসিন্দা সৌরভ গাঙ্গলী বলেন,একসময়ে সঞ্জিব চন্দ্র মাঝি ভোলায় অশোকানন্দ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত আশ্রমে থাকতেন। সেখান থেকে বরিশাল গিয়ে কাশিপুরের আশ্রমে নাকি ফকিরালী করে,এরকম আমরা শুনেছি। তিনি আরো বলেন-সঞ্জিব চন্দ্র মাঝি আমাদের ধর্মগুরু নয়। আমি অশোকানন্দ ঠাকুরের ভক্ত। তিনি দেহত্যাগ করার পর ধর্মগুরুর দায়িত্ব পান তাপসনান্দ ঠাকুর। তিনি বিশেষ করে ভোলা আশ্রমে থাকেন। এছাড়া ভান্ডারিয়া ও বাকেরগঞ্জ আশ্রমের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

অশোকানন্দ অবধূত ঠাকুরের ভাই ধর্মগুরু তাপসানন্দ ঠাকুর বলেন-আমার ভাই বরিশাল বিভাগে ৪টি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি দেহত্যাগের পর তাঁর প্রতিষ্ঠিত সবক’টি মন্দিরের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বভার আমার ওপর অর্পিত হয়। প্রতিষ্ঠিত চারটি মন্দিরের মধ্যে তিনটি যথা-ভোলা,বাকেরগঞ্জ ও ভান্ডারিয়া আশ্রম আমার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাকী বরিশালের কাশিপুরের ইউনিয়নের রেন্ট্রিতলা এলাকায় প্রতিষ্ঠিত অবধূত সেবাশ্রম দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। সেখানে এক সংঘবদ্ধ কুচক্রিমহল ধর্মবহিভূত কর্মকাণ্ডে করে আসছে।

ওই কুচক্রিমহলটি ধর্মকে পুঁজি করে আশ্রমকে ব্যবহারের মাধ্যমে একধরণের ব্যবসায়িকস্থানে পরিণত করেছে। যা জঘন্য অপরাধ। সেখানে যেসব কর্মকাণ্ড চলছে,তাতে আমি নিজেই মনক্ষুন্ন হয়ে আপাতত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করে শীতল রয়েছি। মন্দিরকে ঘিরে এই চক্রের ব্যবসায়িক ধান্ধায় আশ্রমে সঞ্জিব চন্দ্র মাঝি নামের এক ব্যক্তিকে ধর্মগুরু আখ্যা দিয়ে তার ধর্মবিরোধী কর্মকাণ্ডে আমি লজ্জিত ও বিব্রত। দালালদের প্রলোভনে পড়ে নানা ধরণের জটিল রোগে আক্রান্ত রোগী এবং স্বজনরা,যারা গ্রামের সহজ সরল মানুষ ধর্মীয় বিশ্বাসের আস্তায় কাশিপুর আশ্রমের ধর্মগুরু সাজা সঞ্জিব চন্দ্র মাঝির কাছে যায়। ধর্মের নামে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তাবিজ, কবজ, ফু, তেলপড়ার মাধ্যমে দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে আশ্রমে আসা রোগীদের এহেন চিকিৎসা করানোর বিষয়টি এই আধুনিকযুগে চরম প্রতারণার সামিল।

ধর্মীয় নিয়ম কানুন না মেনে প্রতারক চক্র ধর্মকে পুঁজি করে আশ্রমকে ব্যবসার স্থানে পরিণত করার বিষয়টি অমানবিক। এবং চক্রের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে আমাকে চরমভাবে ব্যথিত করেছে। মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা অশোকানন্দ অবধূত ঠাকুরের ভাই ধর্মগুরু তাপসানন্দ ঠাকুর বলেন- কাশিপুরের রেন্ট্রিতলা এলাকায় প্রতিষ্ঠিত অবধূত সেবাশ্রমে ধর্মীয় নিয়ম না মানার কারণে আপাতত আশ্রমের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন রেখেছি। এই জমির দলিলও আমার সংরক্ষনে রয়েছে। ধর্মগুরু তাপসানন্দ ঠাকুর বলেন-কাশিপুর অবধূত সেবাশ্রমে যাকে ধর্মগুরু সাজানো হয়েছে,তার বাবার নাম অরুন চন্দ্র মাঝি। সেও ওজালী,ফকিরালী করতো। তার বাবা ফকির হিসেবে পরিচিত ছিলো। এবং সাজানো ধর্মগুরু সঞ্জিব চন্দ্র মাঝি নিষিদ্ধ ঘোষিত সর্বহারা দলের সঙ্গে জড়িত থাকারও অভিযোগ রয়েছে।

৯৬ থেকে ৯৮ সাল পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষিত সর্বহারা দলের চিঠিপত্র একস্থান থেকে আরেক স্থানে পাঠানোর কাজে যুক্ত ছিলেন সঞ্জিব চন্দ্র মাঝি। ক্ষোভ প্রকাশ করে ধর্মগুরু তাপসানন্দ ঠাকুর বলেন, পিতা-মাতা সন্তানকে কখন ত্যাজ্য করে,যখন সে কুসন্তানে পরিণত হয়। তদ্রুপ জগত সংসারে আমাদের চোখে সঞ্জিব চন্দ্র মাঝি নামক ব্যক্তি সমাজের কুসন্তান। ধর্মগুরু তাপসানন্দ ঠাকুর এ প্রতিবেদককে প্রশ্ন রেখে বলেন-ঠাকুরের নাম ব্যবহার করে কেন এই অবমাননা করা হচ্ছে,কারা এসবের সঙ্গে যুক্ত? ধর্ম গুরু সাজা সঞ্জিব চন্দ্র মাঝি সহ এই চক্রের অন্যান্যদের চিহৃিত করে অাইনের আওতায় আনার দাবীও জানান ধর্মগুরু তাপসানন্দ ঠাকুর। এক্ষেত্রে তিনি প্রশাসনের আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন।


আরো পড়ুন