• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫২ অপরাহ্ন

লক্ষ্মীপুরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জমি দখলের চেষ্টা গাছ কর্তন!

অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি / ৬৪৩ বার পঠিত
আপডেট: রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১

লক্ষ্মীপুরে ১৪৪ ধারা ও আদালতের রায় অমান্য করে জমি বিক্রি ও গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি লক্ষ্মীপুর সদরের পালেরহাট বাজার এলাকার।
চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা (নং মিস ৪১৬) পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ ও চলমান বন্টন মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, হেতিমপুর মিজি বাড়ীর শহীদুল্লাহর ছেলে শাহ আলম পালের হাট-বাজারে পৈতৃক সম্পত্তিতে দোকানপাট নির্মাণ করার প্রস্তুতি নিলে একই এলাকার মজিব উল্লাহর ছেলে মোরশেদ আলম, পরান, কুসুমসহ শামসুন্নাহার, পান্না বেগম, ফেন্সি বেগম আরো চারজন মিলে হুমকি-ধমকি দিয়ে কাজের শ্রমিক তাড়িয়ে দেয়। এই নিয়ে শাহআলম ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন। যার নং ৫৫৫।
জানা গেছে, মামলা করার পর উভয়ের মধ্যে ছোলেনামার মাধ্যমে মামলাটি নিষ্পত্তি হয়। তথাপিও ভুক্তভোগী শাহ আলমের অভিযোগ, তাকে সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয়া হয়নি উপরন্তু তার তফসিলকৃত সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা করছে।
৫৫৬১ ও ৭৪৭৭ দলিল রিভিশন জরিপ ১২৯ নং খতিয়ান ও সাবেক দাগ ১৭২ বর্তমান হাল দাগ ৪৩৭ নং দাগে শাহ আলমের পিতা শহীদুল্লাহ ৮ শতাংশ জমি খরিদ করেন। সড়ক বিভাগ ৩ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করে নেয়ায় বাকি ৫ শতাংশ জমি বন্টন ও নকশা খতিয়ান কাগজপত্রে বুঝে না পেয়ে স্থানীয় কয়েক দফা সালিশ বৈঠক বসে। এতেও কোন সূরাহা না হওয়ায়  আদালতের শরণাপন্ন হন শাহ আলম।
শাহ আলম বলেন আমার কাগজপত্র নকশা খতিয়ান দেখে যতটুকু জমি পাওয়া ততটুকু উস করে পেতেই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি আমি চাই মোরশেদ পরানডা ও তাদের কাগজপত্র অনুযায়ী জমি বুঝে পাক।
নিজেকে উক্ত নালিশি জমি খরিদ্দার দাবি করে কিরন
বলেন- ‘আমি পরান ও মোরশেদের কাছ থেকে জমি খরিদ করেছি। আমার সাথে কারো কিছু নেই। যদি বুঝতে হয় তাদের সাথে বুঝতে হবে।’
অভিযুক্ত পরান বলেন-‘যেহেতু আদালতে মামলা চলমান আছে সেহেতু আদালতই সঠিক বিচার করবে কার জমি কোন জায়গায় রয়েছে।’
এ বিষয়ে বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী শামসুল করিম খোকন বলেন-‘মানবাধিকার বরাবর অভিযোগ প্রাপ্ত হয়ে জানতে পারলাম শহীদুল্লাহর জমি স্থানীয় পরান ও মোরশেদরা  জোর জুলুম করে খাওয়ার চেষ্টা করতেছে। এই নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। তথাপিও কিছু শক্তিমান লোকের কাছে পরানরা জমি বিক্রি করে দিয়ে দখলে নেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছে। আমি মানবাধিকারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল আউয়াল বলেন-‘উভয় পক্ষকে নিয়ে গত এক বছর ধরে বহুবার বসেছি। কোন সূরাহা করতে পারিনি। পাওয়ার সময় কানে শোনে, দেয়ার সময় হলে বধির হয়ে যায়। তাদের সমস্যার সমাধান করবে আদালত।


আরো পড়ুন