• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন

মাস্ক পরানোর শেষ চেষ্টা হিসেবে আমার কিছু প্রস্তাব

অনলাইন ডেস্ক / ১৭৯ বার পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ৩০ জুলাই, ২০২১

আমরা যা করতে পারি:

০১. আমরা আমাদের টেলিভিশনগুলোতে সকল রাজনৈতিক দলের পরিচ্ছন্ন সিনিয়র নেতা বলে এখনও যাঁরা পরিচিত তাঁদের স্পেস দিতে পারি। তাঁরা এক মিনিট, দু’মিনিট সময় নিয়ে নিজ নিজ রাজনৈতিক দলের কর্মী, সমর্থকসহ সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য রাখবেন। আর সেসব বক্তব্য দেশের সকল টিভিস্টেশন, পত্রিকা বাধ্যতামূলকভাবে এই রেকর্ডকৃত, মুদ্রিত বক্তব্য প্রতিদিন নিয়মিত বিরতিতে বারবার প্রচার করবে, প্রকাশ করবে।

০২. একইভাবে বায়তুল মোকাররমের খতিবসহ দেশের বিভিন্ন জেলা, বিভিন্নপ্রান্তের শ্রদ্ধেয় আলেম, নামকরা মসজিদের ইমাম, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, পীরসাহেবসহ মন্দির, আশ্রম, উপাসনালয়ের শ্রদ্ধেয় পুরোহিত, ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের দিয়ে মাস্ক পরার আহবান সম্বলিত বক্তব্য প্রচার করতে পারি।

০৩. দেশের শ্রদ্ধেয় শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, সাহিত্যিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিল্পী, ক্রীড়াবিদ, চিকিৎসকদেরও একইভাবে কাজে লাগাতে পারি।

০৪. মাস্কপরার আহবান সম্বলিত লাখ লাখ ছোট ছোট লিফলেট বিমান থেকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে, শহরে শহরে ছড়িয়ে দিতে পারি। আকাশ থেকে ফেলা এসব লিফলেটে মাস্কপরার আহবানের সাথে গণস্বাক্ষরের মত রাজনীতিক, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, সামাজিক, সাংস্কৃতিব্যক্তিত্বদের নাম উল্লেখ থাকবে। স্বাধীনতাপূর্ব এবং স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বিভিন্ন ইস্যুতে হালকা সেসনা বিমান থেকে এমন লিফলেট ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়গুলো আমরা দেখেছি। মানুষকে এসব লিফলেট দারুণভাবে প্রভাবিতও করেছে।

পাশাপাশি

০৫. বাড়ির বাইরে যারা মাস্ক পড়বে না তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের অনুকম্পাহীন আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ।

কেন এমন চেষ্টা এবার সেটা একটু বলা দরকার…

করোনাকালের দেড় বছরেও আমাদের দেশের শিক্ষিত-অশিক্ষিত, বৃদ্ধ, তরুণ-তরুণী সব মিলে ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ মানুষকে মাস্ক পরতে অভ্যস্ত করানো যায় নি। নানা কারণ, যুক্তি, কুযুক্তি, অজুহাতে মানুষ মাস্ক পরেনি।

এই মাস্ক না পরা মানুষের অনেকগুলো ক্যাটাগরি আছে। এর মধ্যে অন্ধ, গোড়া ধর্মবিশ্বাসী, কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ যেমন আছে, ঠিক তেমনি চলতি হাওয়ায় বড় হওয়া তরুণের দলও আছে।

এই যে ৮০/৮৫ ভাগ মানুষ মাস্ক পরেনি বা আমরা তাদের মাস্ক পরতে উদ্বুদ্ধ কিংবা বাধ্য করতে পারিনি তারই খেসারত দিচ্ছি  প্রতিদিন লাশের মিছিল বাড়িয়ে, অসুস্থ মানুষে হাসপাতালের আঙিনা ভরিয়ে।

আমরা পারিনি। টিভির বিজ্ঞাপন, টকশোর তুমুল বক্তা, মুখচেনা রাজনীতিক, ডাক্তার, বিশেষজ্ঞদের কথা তারা শুনেনি, আমলেই নেয়নি, বিশ্বাস করেনি, আস্থা রাখেনি আমাদের উপর। কারণ আমরা তাদের বিশ্বাস, আস্থা অনেক আগেই নানা কারণে হারিয়েছি। তাই বলে হালতো ছেড়ে দেয়া যাবে না। হাল ছেড়ে দেয়ার মানে হারিয়ে যাওয়া।

আন্তরিক ইচ্ছা থাকলে এসব কাজ খুব অনায়াসেই করা সম্ভব এবং আমার বিশ্বাস এমন উদ্যোগ বর্তমান প্রচারণার তুলনায় মানুষকে শতগুন প্রভাবিত করবে।


আরো পড়ুন