• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন

শশুর কর্তৃক পুত্রবধু ধর্ষন, আত্মহত্যার চেষ্টা ধর্ষিতার

/ ৪০৭ বার পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নেছারাবাদ স্বরূপকাঠীর উপজেলার ১নং বলদিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ সোহেল(৩৫) পিতা- মোঃ বাদল মিয়া(৫৫) এদের নামে বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাদল মিয়া তাঁর ছেলেকে ৩য় বিবাহ দেয়ার জন্য বরইবাড়ী নিবাসী মোঃ ছাইদুলের কন্যা সুখি কে দেখতে যায়। সুখির মা-বাবা সুখিকে বাচ্চা অবস্থায় ফেলে রেখে চলে গেলে সুখি তার নানা-নানির কাছে বড় হয়। যখন সুখির বয়স ১৫ তখন বাদল মিয়া দেখতে গেলে তৎক্ষনাত কাবিন করেন। সুখিকে তার শশুর ২য় বার তার নানা বাড়ী থেকে তাঁর ছেলে সোহেল ঢাকা থেকে আসবে বলে নিয়ে আসে। কিন্তু ছেলে বাড়ী আসাটা ছিল একটি বাহানা মাত্র। সুখির বয়ান অনুযায়ী তাঁর শাশুড়ী বেড়াতে গেলে ঐদিন দুপুরে বাদল মিয়া তার ঘরের দোতালায় বসে প্রথম তাঁর পুত্র বধুকে ধর্ষন করে। ছেলে বাড়ী না আসার সুবাদে বাদল মিয়া ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রায়ই তাঁর পুত্র বধুকে ধর্ষন করত এবং তাঁর স্বামীকে না বলার জন্য হুমকী দিত যে বললে তোকে আমি পাগল বানিয়ে ফেলব। লম্পট বাদল মিয়া সোহেলের ১ম ও ২য় স্ত্রীর সাথে একই কাজ করত বিধায় তাঁরা শশুরবাড়ী ছেড়ে চলে যায়। এলাকার লোকজনের সাথে আলাপ করলে জানা যায় বাদল মিয়া একজন খারাপ প্রকৃতির মানুষ বর্তমানে সে ওঝা সেজেছে এবং মানুষকে ধোঁকা দিয়ে টাকা উপার্জন করে যাহার প্রমান আছে।

সুখি তাঁর স্বামীকে আঁকার ঈগিতে বোঝাতে ব্যর্থ হয়। এক পর্যায় সুখি যখন আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁর শরীরে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন দেয়ার চেষ্টা করে তখন তাঁর শশুর বাড়ীর লোকজন বাধাঁ প্রদান করলে ঘটনাটি ওখানেই থেমে যায়। কিন্তু সুচতুর বাদল মিয়া তাঁর এই অপকর্মের ঘটনাটি যাতে ফাঁস না হয় সে জন্য তাঁর পুত্র বধুকে বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে তাঁর সহযোগী বলদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর মোঃ আলমগীর হোসেন এর সহযোগিতায় সুখির নানা-নানিকে খবর দেয়, তাঁর আসলে পরে মোঃ আলমগীর হোসেন কাজী মোঃ মেসবাহ উদ্দিনকে আসার জন্য বলে। কাজী মেসবাহ আসার পর বাদল মিয়া সুখির নানিকে বলে আপনার নাতিনকে নিয়ে যান যাদি কোন অঘটন ঘটে তাঁর দায়িত্ব আমরা নিতে পারব না বলে একটি সহি রাখে যা পরবর্তিতে জানা যায় ওটা খোলা তালাক।

এই কাজের জন্য মোঃ আলমগীর হোসেন ৫০০০/- টাকা দাবী করলে বাদল মিয়া ২০০০/- টাকা দেয়। সুখি বর্তমানে তাঁর নানার বাড়ীতে আছে। সুখির নানা বাড়ীর লোকজন সুখির শশুরের এই অপকর্মের বিচার চায়।


আরো পড়ুন