• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ১০:১২ পূর্বাহ্ন

সাদুল্লাপুরে পত্রিক সম্পতি নিয়ে ছেলে মা মেয়ের দ্বন্দ ও মামলা মোকাদ্দমা দখল বেদখল

মোঃ শাকিল মিয়া, গাইবান্ধা প্রতিনিধি / ১৭৩ বার পঠিত
আপডেট: রবিবার, ২৫ জুলাই, ২০২১

গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুুর উপজেলার খোদ্দ কোমরপুর ইউনিয়নের তালুক হরিদাস গ্রামের মৃত হায়দার আলীর সম্পতি নিয়ে তার দুই সন্তান এদের মধ্যে ছেলে তাজুল ইসলাম মোঃ আলী রেজা শামীম (৪১) ও মেয়ে মাহবুবা জিন্নাতুল হাছনা শিপন (৩৭) ও তাদের মা রাবেয়া বেগম (৬০) এর মধ্যে দীর্ঘ দিন হলো মৃত হায়দার আলীর সম্পতি নিয়ে দ্বন্দ কোলহ,মামলা ও মোকাদ্দমা চলমান রয়েছে। পারিবারিক সম্মান ও নানা কারণে মনোমালিন্য থেকে এ দ্বন্দ কোলহ আরো বড় আকার ধারণ করে মামলা মোকাদ্দমা পর্যন্ত গড়ায়। করোনা কালিন সময়ে আদালতে মামলা গতি থমকে যাওয়ায় কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে আদালত কর্তৃক ১৪৪ ও ১৪৫ ধারা জারি থাকার পরেও দখল বেদখলের কাজ চলমান থাকায় উক্ত স্থানে জনসমাগম বৃদ্ধি হচ্ছে স্বাস্থ্য বিধি লংঙ্ঘণ করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত এসব কে আরো ইন্ধন দিয়ে উক্ত পরিবারের মাঝে বিষ ছড়িয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় একটি সুবিধাবাদী চক্র।
আজ ২৪ জুলাই শনিবার সারাদেশে যখন কঠোর লকডাউনে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ব্যস্ত ঠিক সে সময়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইচ্ছা মতো মৃত হায়দার আলীর সম্পতি দখল করছেন তার কন্যা মাহবুবা জিন্নাতুল হাছনা শিপন (৩৭) ও তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৬০) এদিন তারা উক্ত সম্পতির মধ্যে একটি পুকুরের লাগানো গাছ গুলো তুলে ফেলে দেন ও পুকুর পাড় ভেকুদিয়ে ঢলে দেন এসময় সাংবাদিকদের সহযোগীতায় ও সাদুল্যাপুর থানা পুলিশের নির্দেশে চলমান দখল বেদখল কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এবং পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে উভয় পক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করায় সৃষ্ট পরিস্থিতি অবসান হয়।
মৃত হায়দার আলীর স্ত্রী ও অবঃ প্রধান শিক্ষক রাবেয়া বেগম ও কন্যা শিপন জানান, পত্রিক সূত্রে পাওয়া সম্পতি সঠিক ভাগে ভাগ করে না দেওয়ার শামীমের দখলে থাকা সম্পতি আমরা বুঝিয়ে নিচ্ছি। স্থানীয়দের মাধ্যমে বহুবার আপোষ মিমাংসা চেষ্টা করা হলেও ভোগদখলকারী আলী রেজা শামীশ তিনি কোন কর্নপাত না করায় অবশেষে দখল বেদখল দিতে হচ্ছে। আমাদের পত্রিক সূত্রে পাওয়া সম্পতি সঠিক ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হলে আমাদের আর কোন আপত্তি থাকবে না।
মৃত হায়দার আলীর ছেলে তাজুল ইসলাম মোঃ আলী রেজা শামীম বলেন , পত্রিক সূত্রে পাওয়া সম্পতি বন্টনে আদালতের স্মরণাপর্ণ হয়েছি। আদালতে বাটোয়ারা মামলা চলমান রয়েছে করোনা কালিন সময়ে আদালতে কার্যক্রম ব্যহৃত হওয়ায় আদালতের কোন আদেশ নিষেধ আসছে না যার কারণে সময় লাগছে। আমার মা ও বোন স্থানীয় কিছু পরসম্পদ লোভী মানুষের ইন্ধনে আমার নামে মিথ্যা মামলা,প্রাননাশের হুমকি ধামকি,যখন তখন দখল বেদখল করছে। মা ও বোনের দোহাই দিয়ে সাধারণ মানুষ ও আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট বানিয়ে বুনিয়ে কথা বলছেন আমাকে আমার পরিবার কে নানা ভাবে হয়রানি করছেন।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমার পত্রিক সম্পতি ইচ্ছা মতো বেদখল দিচ্ছেন। গাছ গছালি কেটে ফেলছেন পুকুরের পাড় গুলো ঢলে দিচ্ছেন ভেকু ও লোকজন দিয়ে।আমি আইন অনুযায়ী বন্টন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জন্য থানা পুলিশ ও আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট অনুরোধ জানাচ্ছি।
এবিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার এস আই রবিউল ইসলাম বলেন, উভয় পক্ষকে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ ও থানায় অভিযোগ দায়ের পরামর্শ প্রদান করা হলো । অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে থানা পুলিশ ।
সাদুল্লাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা জানান, উপরোক্ত বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি এবং এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে অভিযোগ অনুযায়ী তদন্ত পূর্বক পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আরো পড়ুন