• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন

বাসার বাবুর্চিকে মালিক সাজিয়ে অন্যের জমি আত্মসাতের অভিযোগ হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে

অনলাইন ডেস্ক / ১৩১ বার পঠিত
আপডেট: রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১

নিজের বাসার বাবুর্চিকে মালিক সাজিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যের জমি আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের পটিয়া আসনের এমপি ও হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাকলিয়া কর্ণফুলী আবাসিক প্রকল্পের তিন গন্ডা দুই কড়া জমি তিনি আত্মসাৎ করেন। নিজের ভুল বুঝতে সোলেমান বাবুর্চি প্রথম শ্রেণির হাকিম আদালতে হলফনামা দিয়ে জালিয়াতির বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। এদিকে ১০ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি ব্যাংক কর্মকর্তা মোর্শেদ চৌধুরীর আত্মহত্যার প্ররোচণাকারীরা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ২৫ এপ্রিল বাকলিয়া কর্ণফুলী আবাসিক প্রকল্পের তিন গণ্ডা দুই কড়া জমির বরাদ্দ পান আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল হায়দার মজুমদার। ১৯৯৭ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি ওই জমি বিক্রি করে দেন হাজি মোহাম্মদ শফিক আহমেদ নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে। কিন্তু শফিকের জমির ওপর নজর পড়ে বর্তমান জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর। জমি গ্রাসের কাজে সামশুল হক চৌধুরী ২০০১ সালে সোলেমান বাবুর্চিকে মোহাম্মদ শফিক আহমেদ সাজিয়ে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য খুরশিদা খানম নামে এক নারীকে রেজিস্ট্রি দেন। ওই দলিলের শনাক্তকারী ছিলেন তিনি নিজে।

২০০২ সালের মাঝামাঝি জালিয়াতির বিষয়টি বুঝতে পারেন সোলেমান বাবুর্চি। নিজের ভুল বুঝতে পেরে ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের প্রথম শ্রেণির হাকিম আদালতে হলফনামা দিয়ে জালিয়াতির বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন তিনি।

স্থানীয়দের মতে, পিতার চেয়েও এগিয়ে হুইপপুত্র নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন। একে-৪৭ আর সিনিয়র নেতাদের মারধরের হুমকির পরে, এবার আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ উঠেছে। গত ৭ এপ্রিল, চট্টগ্রামের নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন, বেসরকারি ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আব্দুল মোর্শেদ চৌধুরী। তার নেপথ্যে আছে শারুন এন্ড গং।

ইশরাত জাহান বলছেন, প্রভাবশালীদের চাপেই এখনো অধরা আসামীরা। সরেজমিনে দেখা যায়, আসামীরা লাপাত্তা হলেও তাদের নামে রাজনৈতিক প্রচার-প্রচারণা থেমে নেই। তাই ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে দোষীদের ।


আরো পড়ুন