• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন

ঝিনাইদহে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই নারীর মৃত্যু !

অনলাইন ডেস্ক / ২০০ বার পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২১

ঝিনাইদহে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক শিক্ষিকাসহ আরো দুই নারী মৃত্যু হয়েছে।

নিহত আফরোজা সদর উপজেলা মাড়ন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও পৌর এলাকার পবহাটী গ্রামের আব্দুল্লাহ শাহের স্ত্রী এবং লিলি বেগম (৪৩) একই গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী।

সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ মার্চ প্রধান শিক্ষিকা আফরোজা সুলতানার করোনা ধরা পড়ে। তার অবস্থা বেশি খারাপ হয়ে পড়লে যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার বিকাল ৩টার দিকে তিনি মারা যান।

এদিকে ৩০ মার্চ লিলি বেগম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত পহেলা এপ্রিল তার করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ডাক্তারদের তত্বাবধানে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন লিলি বেগম। সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে লিলি বেগম মারা যান।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে এই নিয়ে ঝিনাইদহে মা মেয়েসহ ৮ জনের মৃত্যু হলো। এর আগে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঘোড়শাল ইউনিয়নের যদুড়িয়া গ্রামের রিনা বেগম, হামিরহাটী চাঁদপুরের আনসার আলী মন্ডল, কালীগঞ্জের আইনজীবী আশরাফুজ্জামান, কালীগঞ্জের বেজপাড়া গ্রামের গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী রহিমা খাতুন ও তার মেয়ে সালমা আক্তার মুন্নি এবং শৈলকুপার ফুলহরি গ্রামের দরবার আলী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

ঝিনাইদহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল হামিদ খান জানান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের লাশ দাফন কমিটির সদস্য মাওলানা তাওহিদুলের নেতৃত্বে আফরোজা ও লিলি বেগমের লাশ পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, করোনা শুরুর পর থেকে ঝিনাইদহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের লাশ দাফন কমিটি করোনা আক্রান্ত ও করোনা উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত মৃত ৭২ জনের লাশ দাফন করা হলো।

এদিকে ঝিনাইদহে প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার মাঝেই শহরের মার্কেট ও বিপনী বিতানগুলোতে প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সোমবার সকাল থেকে দেখা যায় গ্রাম থেকে আসা মানুষ ধুমছে কেনাকাটা করছে। প্রশাসনের কোন বিধি নিষেধ তারা মানছে না। করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় অর্ধশত মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

অন্যদিকে নতুন করে আজ সোমবার ঝিনাইদহে ৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ২৫৮৬ জনে এবং সুস্থ হয়েছেন ২৪১১ জন।


আরো পড়ুন