• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৬:১১ পূর্বাহ্ন

ঊষ্ণতার দেয়াল নামে মানবিক দেয়াল উন্মুক্ত করলেন এএসপি স্পীনা রানী

অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি / ২৮৪ বার পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০

বাসার অপ্রয়োজনীয় কাপড় সুবিধা বঞ্চিদের জন্য রাস্তার দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখার সুযোগ করে দিতে একটি দেওয়াল নির্ধারণ করার উদ্যোগই মানবতার দেয়াল। সুবিধাবঞ্চিত মানুষ চাইলেই যেখান থেকে প্রয়োজনের কাপড়টা নিয়ে যাবেন নির্দ্বিধায়। নতুন কাপড়ের ভাঁজে, তোশকের নিচে কিংবা ঘর জুড়ে খুব অবহেলায় এদিক-ওদিক ছড়ানো ছিটানো যে পুরাতন কাপড়গুলো, সেগুলো হয়তো আপনার আর কোন কাজেই আসবে না। কিন্তু এই পুরাতনই কারো জন্য এনে দিতে পারে একরাশ উষ্ণতা। তাই আসুন, হাড় কাঁপানো এই শীতে কিছু উষ্ণতা ভাগাভাগি করে নিই জিরো ইনভেস্টমেন্টে।এটি একটি উন্মুক্ত দেয়াল- ‘যার যা প্রয়োজনে নিয়ে যান, যার যা প্রয়োজন নেই দিয়ে যান।
বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর ও রামগঞ্জ (সার্কেল) সহকারী পুলিশ স্পিনা রানী প্রামানিক রায়পুরের কার্যালয়ের সামনে উষ্ণতার দেয়াল উদ্বোধনের সময় এ কথাগুলো বলেন। সহকারি পুলিশ সুপার ও হায়দরগঞ্জ মডেল স্কুল এন্ড কলেজ এর প্রিন্সিপাল এর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে, পত্রিকায় পড়ে কিংবা একান্তই নিজেদের আকাংখার জায়গা থেকে এই উদ্যোগটি নেওয়া হলেও ধারাবাহিকতা রায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেউ এগিয়ে না আসায় উদ্যোগটি নেয়া হয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, আসুন, হাড় কাঁপানো এই শীতে কিছু উষ্ণতা ভাগাভাগি করে নিই জিরো ইনভেস্টমেন্টে। এটি একটি উন্মুক্ত দেয়াল- “যার যা প্রয়োজনে নিয়ে যান, যার যা প্রয়োজন নেই দিয়ে যান”।হায়দরগঞ্জ মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ড. এ.কে.এম ফজলুল হক বলেন, মেঘনা উপকূলীয় অঞ্চলে গত বছর স্কুলের আঙ্গিনায় মানবতার দেয়ার তৈরি করেছি। -‘এখনও আমার স্কুলে এই দেয়াল আছে। মূলত শিার্থীরাই কাপড় দেয় এবং অন্য শিক্ষার্থী যাদের দরকার তারা নিয়ে যায়। আমার ধারণা ছিল, যে শিশুদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত কাপড় চোপড় আছে, তারা অন্যদের দিয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে সামাজিক দায়িত্ববোধের জায়গাটা বুঝতে শিখুক।
তার হাত ধরে এই বিদ্যালয়ের দেয়ালে টানানো হয় অপেক্ষাকৃত বিত্তবানদের অপ্রয়োজনীয় কাপড়। বাসায় এত রকমের কাপড় জমে, সেগুলো যদি কারোর কাজে লাগে ক্ষতি কী। এই শীতে ভারী যে কাপড়গুলো আমরা ব্যবহার করছি না, সেটা বাইরে ঝুলিয়ে দিলে কেউ না কেউ নিয়ে যাবে। আশা করা যাচ্ছে এমন উদ্যোগে পিছিয়ে পড়া মানুষের কিছু হলেও উপকার হবে। প্রত্যেক পাড়ায় মহল্লা বা গ্রামে বিভিন্ন স্থানে এরকম উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে বলে এএসপি (সার্কেল) স্পীনা রানী মনে করেন।


আরো পড়ুন