• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৯:০৬ অপরাহ্ন

ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ও দুই হাজার পিছ ইয়াবাসহ আটক ৩

/ ২৮৪ বার পঠিত
আপডেট: বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০১৯

মামুন ইসলামঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডিবির অভিযানে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ও দুই হাজার পিছ ইয়াবাসহ ৩ জন আটক- পুলিশ সুপার, নারায়ণগঞ্জ।

অদ্য ০২/১০/২০১৯ খ্রিঃ তারিখ রাত ২:১৫ ঘটিকার সময় নারায়ণগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) মহাদয়ের নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকশ টিম রুপগঞ্জ থানা এলাকায় মাদক দ্রব্য উদ্ধার, অস্ত্র উদ্ধারের নিমিত্তে রুপগঞ্জ তারাবো বিশ্ব রোড এলাকায় অবস্থান কালে গোপন সংবাদ পায় যে, রসুলপুর এলাকার জনৈক জামাল হোসেনের বাড়ীতে বড় ধরনের ইয়াবার চালান প্রবেশ করবে। উক্ত সংবাদটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিয়া উক্ত বাড়ীর আশেপাশে গোয়েন্দা পুলিশ অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকশ টিম এসআই মিজানের নেতৃত্বে ০২/১০/২০১৯ খ্রিঃ তারিখ ভোর ০৩.১০ ঘটিকার সময় উক্ত জামাল হোসেন(৪৫), পিতা-মৃত ইউসুফ আলী মৃধা, গ্রাম-ধামুড়া, থানা-উজিরপুর, জেলা-বরিশাল এপি রসুলপুর (নিজ বাড়ী) থানা-রুপগঞ্জ, জেলা-নারায়ণঞ্জ এর চার তলা বাড়ীর নিচ তলায় অফিস কক্ষে গিয়ে জামাল হোসেনের উপস্থিতিতে তল্লাশী চালিয়ে নীল রং এর ১০ টি জিপার এর মধ্যে ২০০ পিচ ইয়াবা করে(১০ × ২০০) = ২০০০ পিছ উদ্ধার করা হয়। তখন উক্ত ইয়াবার উৎস এবং ইয়াবা চালান বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার বাড়ীর ৩য় তলার নিজ ফ্লাটে তল্লাশী কালে একটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে অনেক গুলো টাকা দেখিয়া উপস্থিত সাক্ষীদের মোকাবেলায় বাদীর ঘরের মেঝেতে সকল টাকা ঢালিয়া হিসাব করে দেখা যায় যে, এক কোটি পচিশ লক্ষ। উক্ত টাকার বিষয়ে জামাল সহ অন্যান্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করিলে উক্ত টাকার উৎস এবং টাকা নিজ হেফাজতে রাখা সহ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই এবং কোন সদোত্তর দিতে পারে নাই। এমতাবস্থায় উপস্থিত সাক্ষীদের মোকাবেলায় বিধি মোতাবেক জব্দ তালিকা প্রস্তুত করা হয়। এ সংক্রান্তে উক্ত ধৃত জামাল হোসেনের সহযোগী অপর দুইজন হলেন- মোস্তফা কামাল(৪৮) ও মোঃ কাইছার আহম্মেদ মানিক (৩৪), পিতা-মৃত শাহিদুল্লা ভাট, সাং-বরাব, হোল্ডিং-৪০৪, থানা-রুপগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ।

এ ঘটনার খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) ভোর রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ সুপার গণমাধ্যমকে জানান, গ্রেফতারকৃত ব্যবসায়ী জামাল হোসেন মৃধা নিজেকে তিনটি কয়েল কারখানার মলিক দাবি করলেও এর কোন বৈধ লাইসেন্স দেখাতে পানেনি। জব্দকৃত টাকার বৈধ কোন উৎসও দেখাতে পারেন নি তিনি। এই টাকাগুলো হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করার জন্য রাখা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া কয়েল ব্যবসার আড়ালে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে বলেও সাক্ষ্য প্রমান পাওয়া যাইতেছে। পাশাপাশি জামাল হোসেন বাড়িতে এতো টাকা কি কারনে রেখেছেন, ইয়াবা ব্যবসা করে কতো টাকার মালিক হয়েছেন এবং তিনি কোন জঙ্গী সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত আছেন কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম(বার), পিপিএম(বার)। উল্লেখিত ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলিতেছে।


আরো পড়ুন