• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩০ অপরাহ্ন

কুমিল্লার পরকীয়ায় আসক্ত ওসি”র বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা!!

/ ২৯০ বার পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৯

কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন প্রথম স্ত্রী সামসুন নাহার সুইটি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার নারী ও শিশু আদালতে মামলাটি দায়ের হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্তের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।

মামলার বাদী শামসুন নাহার সুইটি বলেন, বিয়ের সময় সালাহ উদ্দিন সিএমপিতে পিএসআই পদে কর্মরত ছিলেন। সেই সময় তার বাবার কাছে থেকে বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে সে পাঁচ লাখ টাকা ঋণ নেয়। সেই টাকা আজও পরিশোধ করেনি। এছাড়া ৩০ ভরি স্বর্ণলংকারও নিয়ে গেছে সে। ২০১৪ সালে ৬ ফেব্রুয়ারি তাহমিনা আক্তার পান্না নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক মেয়েকে আমার অজান্তে বিয়ে করে। সেই সংসারে একটি সন্তান রয়েছে। আদালতে সেই বিয়ের নিকাহনামা দাখিল করেছি। আট থেকে নয় মাস ধরে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার চান্দপুর এলাকার আজমিরি খন্দকার ওরফে পপি আক্তার মেরি নামে এক মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সে। এখন শুনছি তাকেও নাকি বিয়ে করেছে। এভাবে একাধিক নারীর সঙ্গে তার পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে মারধর করে ১১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছে সালাউদ্দিন। সে বলছে ১১ লাখ টাকা দিলে দ্বিতীয় স্ত্রী পান্নাকে বিদায় করে দেবে। আর টাকা না দিলে সন্তানসহ বাসা থেকে বের করে দেবে। এখন বাচ্চাদের ও সংসারের কোনো খরচও দেয় না সে। এ জুলুমের বিচার দাবি করছি।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে শামসুন নাহার সুইটি আরো বলেন, সালাহ উদ্দিনের কারণে পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুরোধ করবো তাকে যেন চাকরিচ্যুত করা হয়। কারণ সে নিজেইতো একজন জুলুমবাজ। সে কিভাবে মানুষের ন্যায় বিচার পেতে কাজ করে?

সুইটির বাবা মো. বজলুর রহমান বলেন, চার মাস ধরে মেয়েকে নিয়ে যেতে বলছে সালাহউদ্দিন। না নিলে মেয়েকে মেরে ফেলবে। তার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দু’টো পাওয়ারই আছে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমাদের খবর করার হুমকি দিয়েছে।

মামলাটির বাদীপক্ষের আইনজীবী বলেন, আমরা আদালতের কাছে কৃতজ্ঞ। কারণ আদালত শুনানি শেষে মামলাটি জুডিশিয়াল তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আশা করছি, এই তদন্তে বাদীপক্ষ ন্যায় বিচার পাবে।

আদালতে দায়ের করা মামলার তথ্য ও বাদীপক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রামের হাটহাজারীর উত্তর মাদাশা গ্রামের মো. সামশুল আলমের ছেলে মো. সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে ঢাকা শ্যামপুর কদমতলী থানার পূর্ব দোলাইরপাড়ের মো. বজলুর রহমানের মেয়ে শামসুন নাহার সুইটির বিয়ে হয়। তাদের সংসারে নয় বছর বয়সী এক ছেলে ও পাঁচ বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে। দুই সন্তান নিয়ে শামছুন নাহার সুইটি কুমিল্লা নগরীর পুরাতন চৌধুরী পাড়ার ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।

এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. সালাহউদ্দিন বলেন, আমি এখনো আদালতের নোটিশ বা মামলার কপি হাতে পাইনি। আদালতের আদেশের কপি পেলে এ বিষয়ে কথা বলবো। তবে এখন কোনো কিছুই বলতে চাই না।কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন প্রথম স্ত্রী সামসুন নাহার সুইটি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার নারী ও শিশু আদালতে মামলাটি দায়ের হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্তের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।

মামলার বাদী শামসুন নাহার সুইটি বলেন, বিয়ের সময় সালাহ উদ্দিন সিএমপিতে পিএসআই পদে কর্মরত ছিলেন। সেই সময় তার বাবার কাছে থেকে বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে সে পাঁচ লাখ টাকা ঋণ নেয়। সেই টাকা আজও পরিশোধ করেনি। এছাড়া ৩০ ভরি স্বর্ণলংকারও নিয়ে গেছে সে।

২০১৪ সালে ৬ ফেব্রুয়ারি তাহমিনা আক্তার পান্না নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক মেয়েকে আমার অজান্তে বিয়ে করে। সেই সংসারে একটি সন্তান রয়েছে। আদালতে সেই বিয়ের নিকাহনামা দাখিল করেছি।
আট থেকে নয় মাস ধরে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার চান্দপুর এলাকার আজমিরি খন্দকার ওরফে পপি আক্তার মেরি নামে এক মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সে। এখন শুনছি তাকেও নাকি বিয়ে করেছে। এভাবে একাধিক নারীর সঙ্গে তার পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে মারধর করে ১১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছে সালাউদ্দিন। সে বলছে ১১ লাখ টাকা দিলে দ্বিতীয় স্ত্রী পান্নাকে বিদায় করে দেবে। আর টাকা না দিলে সন্তানসহ বাসা থেকে বের করে দেবে। এখন বাচ্চাদের ও সংসারের কোনো খরচও দেয় না সে। এ জুলুমের বিচার দাবি করছি।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে শামসুন নাহার সুইটি আরো বলেন, সালাহ উদ্দিনের কারণে পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুরোধ করবো তাকে যেন চাকরিচ্যুত করা হয়। কারণ সে নিজেইতো একজন জুলুমবাজ। সে কিভাবে মানুষের ন্যায় বিচার পেতে কাজ করে?

সুইটির বাবা মো. বজলুর রহমান বলেন, চার মাস ধরে মেয়েকে নিয়ে যেতে বলছে সালাহউদ্দিন। না নিলে মেয়েকে মেরে ফেলবে। তার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দু’টো পাওয়ারই আছে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমাদের খবর করার হুমকি দিয়েছে।

মামলাটির বাদীপক্ষের আইনজীবী বলেন, আমরা আদালতের কাছে কৃতজ্ঞ। কারণ আদালত শুনানি শেষে মামলাটি জুডিশিয়াল তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আশা করছি, এই তদন্তে বাদীপক্ষ ন্যায় বিচার পাবে।

আদালতে দায়ের করা মামলার তথ্য ও বাদীপক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রামের হাটহাজারীর উত্তর মাদাশা গ্রামের মো. সামশুল আলমের ছেলে মো. সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে ঢাকা শ্যামপুর কদমতলী থানার পূর্ব দোলাইরপাড়ের মো. বজলুর রহমানের মেয়ে শামসুন নাহার সুইটির বিয়ে হয়। তাদের সংসারে নয় বছর বয়সী এক ছেলে ও পাঁচ বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে। দুই সন্তান নিয়ে শামছুন নাহার সুইটি কুমিল্লা নগরীর পুরাতন চৌধুরী পাড়ার ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।

এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. সালাহউদ্দিন বলেন, আমি এখনো আদালতের নোটিশ বা মামলার কপি হাতে পাইনি। আদালতের আদেশের কপি পেলে এ বিষয়ে কথা বলবো। তবে এখন কোনো কিছুই বলতে চাই না।


আরো পড়ুন