• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন

রাজশাহী রেঞ্জের এসপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা!

/ ৩৪৬ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেছেন গোলাম মোস্তফা নামের এক ব্যবসায়ী।

বুধবার (১২ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম দিদার হোসেনের আদালতে মামলাটি করা হয়।

বিচারক বাদীর জবানবন্দি নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখলের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান আদালতের বেঞ্চ সহকারী সালাহউদ্দিন।

মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, বাদীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও অর্থের প্রতি এসপি বেলায়েতের কুনজর পড়ে। গত ৪ এপ্রিল এসপি বেলায়েত বাদীর বাবাকে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। অন্যথায় তার ছেলের (বাদী) অসুবিধা হবে। ভয়ে গোলাম মোস্তফার বাবা পাঁচ লাখ টাকার একটি চেক আসামিকে দেন। পরে বাদী গোলাম মোস্তফা ব্যাংকে ফোন করে ওই চেকের টাকা দিতে বারণ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ৮ আগস্ট এসপি বেলায়েতসহ অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ১৬ জন ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বাদী গোলাম মোস্তফার বাসায় প্রবেশ করে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো হবে এবং নারায়ণগঞ্জের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে জরিমানাসহ জেলে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, এ অবস্থায় বাদী কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন এবং বার বার আসামি এসপি বেলায়েতকে বলেন, ‘আপনি আমাদের কাছের লোক, কী বলছেন?’। তখন আসামি বেলায়েত অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করেন। তাছাড়া টাকা দিতে না পারায় মারপিট করে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করে অন্যায় ও বেআইনিভাবে মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে বাদীকে ২৫ লাখ টাকা দিতে বলেন। নতুবা ক্রসফায়ার অথবা ফেনসিডিলসহ অস্ত্র দিয়ে মামলা দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন। তখন বাদী সাড়ে তিন লাখ টাকা আসামি বেলায়েতের হাতে তুলে দেন ও ১০ আগস্ট আরও ৫০ হাজার টাকা দেন। আসামির সঙ্গে ১৫ লাখ টাকায় রফা-দফা করে বাদীর বাবা ৫ লাখ টাকার চেক দিয়ে সমন্বয় করেন। আরও ৬ লাখ টাকা সাতদিনের মধ্যে দিতে বলেন। তা নাহলে বাদীর ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন এসপি বেলায়েত।

পরে বাদীকে ছেড়ে দেওয়ার সময় সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখেন এসপি বেলায়েত। এসব স্ট্যাম্প দিয়ে হযরানির আশঙ্কা করা হয আর্জিতে। এ অবস্থায় ন্যায়বিচারের চেয়ে তিনি মামলাটি করেন। আর্জির সঙ্গে ফোন রেকর্ড ও ভিডিও প্রমাণ হিসেবে দাখিল করা হয় বলে উল্লেখ করেন।


আরো পড়ুন