• সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৩:৫১ অপরাহ্ন

চট্টগ্রামের খুলশীতে নিরবে পাহাড় হনন, জবাব চেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের নোটিশ

/ ৭২ বার পঠিত
আপডেট: বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বন্দর নগরীর খুলশী থানাধীন পশ্চিম খুলশী জালালাবাদের অভ্যন্তরীণ পাহাড়ী এলাকায় ভূমির মালিক আড়ালে থেকে সিন্ডিকেটধারী কেয়ারটেকার কর্তৃক পাহাড় কর্তনের ব্যপক অভিযোগ উঠে আসছে।

দীর্ঘদিন ধরে এলাকাটিতে চিহ্নিত কয়েকটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পাহাড় কাটার ঠিকাদারী দিয়ে আসছে বিভিন্ন পাহাড়ী ভূমির মালিকেরা। গণমাধ্যমকর্মীরা পাহাড় কাটার ছবি ও সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কাজের ঠিকাদারী নেওয়া সিন্ডিকেটের সদস্যদের তোপের মুখেও পড়তে হয়।

সম্প্রতি কিছুদিনের ব্যবধানে তিনটি স্পটে নতুনভাবে পাহাড়কাটার তথ্য পেয়ে স্পটগুলো পরিদর্শনে যায় পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিদর্শক মনির হোসেন, পরিদর্শক ওমর ফারুক ও সঙ্গীয় কর্মকর্তাসহ একটি দল। পরিদর্শনে গিয়ে দৃশ্যমান পাহাড়গুলোতে খননের আলামত পেয়ে পাহাড়ি ভূমিগুলোর মালিকদের কাছ থেকে জবাব চেয়ে মালিকদের অনুপস্থিতির কারণে সেখানকার কেয়ারটেকারদের হাতে নোটিশ প্রদান করে আসা হয়।

এসময় পাহাড় কাটার আলামত পেয়ে জালালাবাদস্থ ছায়ানীড় আবাসিক এলাকা, সীবিচ হাউজিং সোসাইটি ও বড়ইতলী এলাকার কর্তনকৃত পাহাড়গুলোর মালিক যথাক্রমে আলাউদ্দিন, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, জাবেদ আল মামুন, মোঃ আলাউদ্দিন ,
এডভোকেট আলামিন, টুটুলসহ উক্ত স্থানে বসবাসকারী কেয়ারটেকারদের বরাবর নোটিশ প্রদান করে আসা হয়। তারমধ্যে প্রথম স্পটটির শুনানির দিন ধার্য করা হয় আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারী এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্পটটির শুনানীর দিন ধার্য করা হয় আগামী ১২ই ফেব্রুয়ারী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সী-বিচ হাউজিং, ছায়ানীড় আবাসিক, লোহাগড়া বড়ইতলী এলাকায় ব্যপকভাবে পাহাড় কর্তনের ঘটনা দিনের পর বেড়েই চলছে। মজার বিষয় হলো পাহাড়ের মালিকেরা স্পটে উপস্থিত না থেকে পাহাড় কর্তনকারী সিন্ডিকেটদের কাছে কাজের ঠিকাদারী প্রদান করে। সিন্ডিকেটের সদস্যরা প্রভাবশালী হওয়াই শ্রমিকদের কাজে লাগিয়ে আইন কানুনের কোনো তোয়াক্কা না করে দিনের দুপুরে অকাতরে পাহাড় কেটে যায়।

উক্ত অঞ্চলে এই পাহাড় কর্তন সিন্ডিকেটের প্রধান হিসেবে পরিচিত মেরী, মোঃ কামাল ওরফে কাচি কামাল, মোঃ নাছির ওরফে গরু নাছির ও সী-বীচ হাউজিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাহের অন্যতম। স্থানীয়ভাবে তারা প্রভাবশালী, প্রতাপশালী ও স্থানীয় রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকার ফলে সবসময় অপরাধ করেও পাড় পেয়ে যায়। দিনশেষে পাহাড় মালিকেরা পাহাড় কর্তনের মামলার আসামী হলেও নিশ্চিন্তে অন্য কোনো পাহাড় কাটার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে পাহাড়খেকোরা।


আরো পড়ুন