• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০১:০৯ পূর্বাহ্ন

তলাবিহীন ঝুড়িকে সম্পদে পরিপূর্ণ করেছেন শেখ হাসিনা : পরশ

/ ৯০ বার পঠিত
আপডেট: রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

অনলাইন ডেস্কঃ-
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আজ রোববার দেশব্যাপী প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন ও সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

উদ্বোধক ও সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর দীর্ঘ ৪২ বছর দলের দায়িত্বে থেকে শেখ হাসিনা এদেশকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ও উন্নয়নের ধারায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের ইতিহাস যেমন বাংলাদেশের ইতিহাস, তেমনি আওয়ামী লীগের ইতিহাস শেখ হাসিনা যুগের ধর্মনিরপেক্ষতা, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ইতিহাস। দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ কখনই ধর্মের বিভাজনে বিশ্বাস করে না। অপরদিকে, বিশেষ ধর্ম পালনকারী ভাই-বোনদের প্রতি বৈষম্য বা তাদের উপর নিপীড়ন করে পাকিস্তানীদের আদলে বিএনপি-জামাত সাম্প্রদায়িকতার কুৎসিত পরিচয় দিয়েছে, যা সংবিধানের মূলনীতির ১২ অনুচ্ছেদ ভঙ্গ করে। ১২ অনুচ্ছেদ ধর্ম নিয়ে রাজনীতি চর্চাকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার বিধি। এই বিধির আলোকে বিএনপি রাজনীতি করতে পারে না, কারণ তারা সর্বদা এবং অনবরত তাদের রাজনৈতিক চর্চায় সাম্প্রদায়িক বীজ বপন করে আসছে এবং সংবিধান ভঙ্গ করে আসছে। সুতরাং বিএনপির রাজনীতি সংবিধান পরিপন্থী, ওদের রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশে নাই।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আরেক স্বপ্ন অর্থনৈতিক মুক্তি। এদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির কারিগর জননেত্রী শেখ হাসিনা। যুদ্ধের পর তলাবিহীন ঝুঁড়িকে সম্পদ ও সুযোগে পরিপূর্ণ করেছেন। বিশ্বকে দেখিয়েছেন যে, বাঙালি জাতি আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইকোনোমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) এর গবেষণা মতে আগামী ২০৪০ সালে বিশ্বের শীর্ষ ২০টি অর্থনীতির একটি হবে বাংলাদেশ। সম্প্রতি এলিভেটেড এক্সপ্রেস, পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল বাংলাদেশের যোগাযোগ ক্ষেত্রে যুগ্মান্তকারী মাইলফলক সৃষ্টি করেছে। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর উপরোক্ত আদর্শিক মূলনীতি সমূহ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয় যে কোন যুবক-যুব মহিলাকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সদস্যপদ গ্রহণকে আমরা স্বাগত জানাই। এই সদস্যপদ গ্রহণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত ফরম পূরণ করে এবং ফি প্রদান করে যে কেউ আবেদন করতে পারবে। তবে আপনাদের দায়িত্ব হবে সেই সকল আবেদন যাচাই করে দেখা। যে, আবেদনকারী (ক) উপরিউক্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শসমূহের পরিপন্থি কোন সংগঠনের সদস্য নয়, তার মানে, আপনাদের নিশ্চিত হতে হবে কোন অনুপ্রবেবশকারী জামায়াত-শিবির আমাদের মধ্যে ঢুকতে না পারে। (খ) ঐ ব্যক্তি যে কোন প্রকার ধর্ম, বর্ণ অথবা শ্রেণি বৈষম্যের বিশ্বাসী না হয় এবং (গ) আপনাদের দেখতে হবে ঐ ব্যক্তি যেন গণবিরোধী কোন কর্মকাণ্ডে জড়িত না হয়। কোন চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাস্তানদের সদস্যপদ দিবেন না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা বিরোধী কোন সন্ত্রাসীদের জায়গা দিবেন না।

তিনি বলেন, শুধু নামমাত্র সদস্য সংখ্যা আমাদের দরকার নাই, আমাদের দরকার আদর্শিক কর্মী বাহিনী। শুধু মাত্র সংখ্যাত্বক সদস্যপদ থেকে গুণী, দক্ষ সদস্য আমাদের লক্ষ্য। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের যে যার ক্ষেত্রে দক্ষ যুবশক্তি হিসাবে নিজেদেরকে উদ্ভাবন করতে হবে। এক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় কর্মীবাহিনী থেকে সক্রিয় স্মার্ট কর্মীবাহিনী সর্বদা শ্রেয়।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি মিথ্যাচার এবং অপপ্রচার করে ওরা আমাদের সরকারকে বিব্রত করে যাচ্ছে। আমাদের লাগবে সেই নেতা-কর্মী বাহিনী যারা সক্রিয়ভাবে এই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির অপপ্রচার এবং মিথ্যাচার মোকাবিলা করবে। ঘুমন্ত নেতা-কর্মী দিয়ে আমাদের এখন চলবে না। আমাদের দরকার সেই নেতা-কর্মী যারা সত্য দিয়ে ওদের মিথ্যাচারের জবাব দিবে। একটি দিনও অপব্যয় না করে আমাদের আজ থেকেই কাজে লেগে যেতে হবে। দিনের বেলায় প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলায় সভা-সমাবেশ করতে হবে, সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। আর সন্ধ্যার পর অথবা রাত্রে অনলাইনে আমাদের নিজ এলাকার শেখ হাসিনার দৃশ্যমান অর্জনসমূহ প্রচার-প্রচারণায় মনোনিবেশ করতে হবে। অনেক সময় দৃশ্যমান বস্তু প্রচারের অভাবে দৃষ্টিপটের আড়ালে রয়ে যায়। আমাদের সামনে অনেক কাজ। শেখ হাসিনার কর্মীরা প্রতিযোগিতা ভয় পায় না, শর্টকাট ক্ষমতার পথ শেখ হাসিনা খুঁজে নাই কোন দিন। একটা প্রতিযোগিতামূলক এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমেই জননেত্রী শেখ হাসিনা আবারও রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আসবেন, আমরা যদি স্ব স্ব দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এই প্রতিষ্ঠান জন্মলগ্ন থেকেই এদেশের যুবসমাজের পাশে আছে, সঙ্গে আছে এবং তাদেরকে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম উন্নয়ন সর্বক্ষেত্রে তাদের জ্বলন্ত উদাহরণ রয়েছে। আমি মনে করি যুবলীগ রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে এক বৈশাখী ঝড়, যুবলীগ উত্তাল সাগরের যৌবনের তরঙ্গমালা। তিনি আরও বলেন, সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমে যুবলীগ সারা দেশে শুরু করেছে। রাজনীতিতে যুবলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমে এটাই সবচেয়ে ভালো কাজ। তিনি আরও বলেন, মনোনয়ন বাণিজ্যের জন্য বিএনপি তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দল নয়, সাম্প্রদায়িক ও অপকর্মের দল নয়। আওয়ামী লীগ সত্যের পক্ষে, জনগণের পক্ষে তাদের সুদৃঢ় অবস্থান যেকোন মুহূর্তে জানান দেয় ও দিতে পারে। তিনি বলেন, কে নিষেধাজ্ঞা দিলো, কে ভিসানীতি প্রয়োগ করল- এসবে আওয়ামী লীগ ভয় পায় না। আওয়ামী লীগের শক্তি জনগণ। জনগণের সেই শক্তিকে নিয়েই আগামী নির্বাচনে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। তিনি আরও বলেন, ড. ইউনূস আমাদের সুখে দুঃখে নেই। তাকে আপন মানুষ ভাববো কেমন করে? যে বিবৃতি তিনি ছাপিয়েছেন তার খরচ দুই মিলিয়ন ডলার। কোথা থেকে এলো এত টাকা? ড. ইউনূসের ওপর ভর করেছে বিএনপি। ওয়ান ইলেভেনের মতো নাগরিক কমিটি করে সুশীল সরকার গঠনের দিন চলে গেছে। বাংলাদেশের মানুষ মনে মনে ঠিক করে নিয়েছে কাকে ভোট দিবে। দেশের ৭০ পার্সেন্ট মানুষ শেখ হাসিনার পক্ষে। ‘আগামী নির্বাচন বলে দিবে কে বাংলাদেশের ক্ষমতার মঞ্চে থাকবে। বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নিন। নির্বাচনে আসেন। মোকাবিলা হবে ইলেকশনে। ফাইনাল খেলা ইলেকশনে। ’

সঞ্চালকের বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, যাদের কারণে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়েছে আমাদের সেই নেতৃবৃন্দ আজ এখানে উপস্থিত। আমরা যখনই কর্মসূচি ঘোষণা করছি তখনই আপনারা জেলা-মহানগর-উপজেলা-ইউনিয়নে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। এ জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। ঘরে ঘরে যুবলীগের কর্মী তৈরি করার ক্ষমতা রাখে আমার সামনে বসা এই যুবসমাজ। তিনি বলেন, আগামী ৩ মাস যুবলীগের নেতা-কর্মীদের আরও কর্মঠ হতে হবে। ঘর থেকে বের হতে হবে। আপনারা এই ৩ মাস ঘুমাবেন না, ঘরে যাবেন না, সার্বক্ষণিক রাজপথ আর জনগণের কাছে থাকতে হবে। এটা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। বিএনপি গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য। আমি আমার যুবলীগের ভাইদেরকে বলতে চাই-কোন দেশ পক্ষে আসল, কোন দেশ বিপক্ষে গেলো এটা বিবেচ্য বিষয় নয়, জনগণ আমাদের পক্ষে আছে কি না সেটাই বিবেচ্য বিষয় এবং সেই পথেই হাঁটতে হবে। জনগণের শক্তির কাছে কোন পরাশক্তিই শক্তি না। জনগণের ক্ষমতার কাছে কোন ষড়যন্ত্রই আমাদের সামনে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রাখে না।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, ডা. খালেদ শওকত আলী, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান পবন, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক এমপি, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, সুভাষ চন্দ্র হালাদার, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম মাতুব্বর, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মুহাম্মদ বদিউল আলম বদি, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, এ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রফেসর ড. মো. রেজাউল কবির, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মীর মো. মহিউদ্দিন, ক্রীড়া সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন চৌধুরী পারভেজ, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. হারিছ মিয়া শেখ সাগর, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মো. আব্দুল হাই, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো. সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মিসির আলি, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সামছুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।


আরো পড়ুন