• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫২ পূর্বাহ্ন

জমে উঠেছে হিলি সীমান্তের ঈদ বাজার

/ ১১২ বার পঠিত
আপডেট: শনিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:-
আর মাত্র সাত আট দিন পরে মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। জমে উঠেছে দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা হিলি’র ঈদ বাজার।

নতুন পোশাকে ঈদ কাটবে, এমন প্রত্যাশায় দিনের গরমকে উপেক্ষা করে ক্রেতারা আসছেন তাদের পছন্দের পোশাক কিনতে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতাদের বাড়তি চাপ।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকালে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে হিলি বাজারের, খাঁন টেইলার্স, বৃষ্টি গার্মেন্টস, লাবণ্য ফ্যাশণ, সামি ফ্যাশন, ত্বোহা কসমেটিকস দোকানসহ বিভিন্ন দোকান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এবারে রোজার প্রথম সপ্তাহ থেকেই লোকজন ঈদের জন্য নতুন পোশাক তৈরি করতে শুরু করেছে। সেই সাথে কেনাকাটাও শুরু হয়েছে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে বাজার ততই জমে উঠছে। অন্যান্য বারের মতো এবারও মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে গঙ্গা, নায়রা, সারারা, লেহেঙ্গাসহ বিভিন্ন নামের থ্রি পিচ, টু-ড্রেসার এবং সুতি কাপড়। পাশাপাশি ছেলেদের রয়েছে বিভিন্ন ব্রান্ডের পাঞ্জাবি, টি শার্ট, জিন্সের প্যান্টসহ অনেক পোশাক। দেশি পোশাকের পাশাপাশি হিলির বাজারে ভারতীয় পোশাকও রয়েছে। শিশু থেকে শুরু করে তরুণীদের এসব পোশাকের প্রতি বেশি ঝোঁক দেখা যাচ্ছে।
তবে পোশাকের আকাশছোঁয়া দামে বেকায়দায় আছেন ক্রেতারা। অল্প আয়ের মানুষ মার্কেটে এসে পোশাক কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। চড়া দাম হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেক ক্রেতা। তবে দোকানিরা বলছেন সবকিছুর দাম অনেক বেশি। সেই তুলনায় পোশাকের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে।

হিলি বাজারে দেশি-বিদেশি পরিধেয় বস্ত্রের পাশাপাশি ক্রেতারা এখানে মেলাতে পারছেন কসমেটিক সামগ্রি। আর তাই প্রতিবারের ন্যায় এবারও বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্দা, জয়পুরহাট থেকে অনেকে ভিড় জমিয়েছেন হিলিতে।

তৈরি পোশাক বিপণীগুলোতে শোভা পাচ্ছে বাহারি পোশাক। বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, প্রকারভেদে থ্রি পিচ ৮’শ-১০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫-৭ হাজার টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে। পাঞ্জাবি ১০০০-১২০০ থেকে ২০০০-২৫০০ টাকা এবং শিশু ও বাচ্চাদের পোশাক ৫০০ টাকা থেকে ১৫০০-২০০০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। এছাড়াও থান কাপড় ও গজ কাপড়ের দোকানগুলোতে ও ক্রেতাদের সমাগম দেখা গেছে। জুতার দোকনেও ক্রেতাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।

হিলি বাজারে ঈদের পোশাক কিনতে আসা উপজেলার কোকতাড়া গ্রামের আব্দুল আলিম মন্ডল বলেন, আমার গ্রাম গঞ্জের সাধারণ কৃষক মানুষ। বাজারে আসছি ঈদের কাপড় কিনতে। কিন্তু এখানে এসে হিসেব মিলাতে পারছি না। আবার ঈদে ছেলে মেয়েদের নতুন পোশাক না দিলেও না। কাপড়ের দাম অনেক বেশি। তারপর ছেলের পাঞ্জাবি নিলাম, আর মেয়ের কাপড় বানাতে দিয়েছিলাম তা নিলাম।

হিলি বাজারে বগুড়া থেকে আসা রেশমা বেগম, আমি নিজে চাকরি করি ও আমার স্বামী চাকরি করে। আমি জানি হিলি বাজারে ভারতীয় নিত্যনতুন পোশাক, কসমেটিক পাওয়া যায়। তাই এবারও এসেছি ছেলে-মেয়েদের নিয়ে তাদের পছেন্দের কাপড় ও কসমেটিকস কিনতে।

জয়পুরহাট থেকে আসা রফিকুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, হিলি বাজার থেকে ভারতীয় জুতা ও ছোট বোনের জন্য কসমেটিক কিনতে এসেছি।

হিলি বাজারের লাবণ্য ফ্যাশণ এর স্বত্বাধিকারী আনারুল ইসলাম বলেন, মহামারি করোনার কারণে গত দুই বছর তেমন ব্যবসা করতে পারি নাই। তবে এবার ঈদের বাজার জমে উঠেছে। বেচাকেনা যথেষ্ট ভালো হচ্ছে। আশা করা যায় শেষ মূহুর্তে আরও বেচাকেনা বেশি হবে।

হিলি বাজারের কসমেটিকস দোকান এর মালিক তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ বলেন, রোজার প্রথম এর দিকে তেমন বেচাকেনা ছিলো না। তবে এখন আগের চেয়ে বেচাকেনা অনেক বেড়েছে। আশা করছি বেচাকেনা আরও বাড়বে।

প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হিলিতে গাড়ি নিয়ে পোশাক কিনতে আসছেন ক্রেতারা। তবে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় এ দুদিন বেশি লোকজন আসে।


আরো পড়ুন