• বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০২:৪৪ অপরাহ্ন

যাদুকাটার পণর্তীথে পূণ্যর্থীদের ঢল

/ ৭১ বার পঠিত
আপডেট: সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৪

তাহিরপুর প্রতিনিধি:
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব পণর্তীথ ধামে পূণ্যর্তীদের ঢল পড়েছে।

প্রতি বছরের ন্যায় চৈত্র মাসের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে দেশ ও দেশের বাহিরের সনাতন ধর্মানুসারী শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ, আবাল বৃদ্ধা বনিতাসহ শ্রী অদ্বৈত আচার্য ঠাকুরের আবির্ভাবস্থল পণতীর্থ স্মৃতিধাম যাদুকাটা নদীর জলে পূণ্যস্নান করতে এবারও কয়েক লাখ পূণ্যর্তীর সমাগম ঘটে ।

এবছর পণর্তীথের মুখ্য সময় ২৩ চৈত্র ১৪৩০ বাংলা, ৬ এপ্রিল শনিবার দিবা ঘঃ মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী সকাল ৭ টা ৫২ মিনিট ১৬ সেকেন্ড গতে দুপুর ১ টা ৪৯ মিনিট ১৪ সেকেন্ড মধ্যে।

তাই আজ (৬ এপ্রিল শনিবার) সকালে থেকেই সপ্তগঙ্গার একই জল ধারা সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত নদী যাদুকাটার জলে স্নান করে তাদের অতীতের পাপ মোচন, ঈশ্বরের আশীর্বাদ ও পুণ্য লাভের আশায় কলুষমুক্ত হতেই যাদুকাটার দুই তীরে পূণ্যর্তীদের আগমনে যেন তিলধারণের ঠাই নেই।

হিন্দু শাস্ত্রের আছে, পৃথিবীর সব তীর্থে বারবার, পণর্তীথে একবার। এব মনে, পৃথিবীর সকল তীর্থে একাদিকবার স্নান করার ছেয়েও যাদুকাটার পণর্তীথে জীবনে একবার স্নান তার থেকেও উত্তম।

তাদের বিশ্বাস, এই জলে স্নান করলে ঈশ্বরের কৃপা লাভসহ পণতীর্থ স্নানের মাধ্যমে মনো-বাসনা পূর্ণ হয়। এ উপলক্ষে যাদুকাটা নদীর পশ্চিম তীরবর্তী গরকাটি ইস্কন মন্দির এলাকায় মহা-বারুনী মেলাও বসে।

সুদূর রাজধানী ঢাকা থেকে পুণ্যস্নানে আসা রাধা রানী (৫৫) বলেন, জীবনে প্রথম বার আসলাম, খুব ভালো লাগছে। আমাদের মহাপ্রভু শ্রী অদ্বৈত আচার্য ঠাকুর তার মায়ের স্বপ্নে দেখা গঙ্গাস্নানের ইচ্ছানুসারেই অদ্বৈত মাতৃবাক্য পূরণের জন্য তার অলৌকিক মতাবলে পৃথিবীর সপ্তবারির জল একত্রিত করে এই যাদুকাটা নদী (পুরনো নাম রেনুকা নদী) দিয়ে প্রবাহিত করে স্নান করিয়ে তার মনোবাসনা পূরণ করেন। এখানে স্নান করলে জীবনের সকল গুনাহ জলের পানিতে ধুয়ে মুছে পাপ মুক্ত হাওয়া যায়। সেই সাথে মনোবাসনাও পূর্ণ হয়। তাই আসা!

সুনামগঞ্জ জেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদাঘাট গ্রামে থেকে তীর্থে আসা পূণ্যর্থী মন্টু ভূষণ সরকার(৫০) বলেন, এবার স্নানের সময় সকাল ৭ থেকে দুপুর ১ পর্যন্ত থাকায় অতীতের চেয়ে পূণ্যর্থী এসেছে দুই থেকে তিনগুণ বেশি।

অদ্বৈত জন্মধাম কেন্দ্রীয় কমিটির তাহিরপুর উপজেলা কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য গণেশ তালুকদার বলেন, এবার স্নানের সময়টা সবচেয়ে উত্তম এই কারণে, আমরা পপণর্তীথে স্নানের সময় টা পেয়েছি মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী সকাল ৭ টা ৫২ মিনিট ১৬ সেকেন্ড গতে দুপুর ১ টা ৪৯ মিনিট ১৪ সেকেন্ড পর্যন্ত। এই মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথির জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। তাই এবার পণর্তীথে ভক্তের অনেক সমাগম ঘটেছে।


আরো পড়ুন