• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন

হজ প্যাকেজ মূল্য পুনর্বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীকে প্রস্তাব

/ ১৩৪ বার পঠিত
আপডেট: শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

চলতি বছরে হজ প্যাকেজ ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে এক বছরেই বিমান ভাড়া ৫৮ হাজার টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর বিমান ভাড়া ছিল ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। অস্বাভাবিকভাবে ব্যয় বাড়ায় অনেকের হজে যাওয়া অনিশ্চিত বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এ কারণে হজের বিমান ভাড়া কমিয়ে প্যাকেজ মূল্য পুনরায় নির্ধারণ করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি এ দাবি জানানো হয়।

দেশে হজ ফ্লাইটের ভাড়া নির্ধারণ হয় রাষ্ট্রয়াত্ত্ব বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রস্তাবিত ভাড়ার ভিত্তিতে। হজ এজেন্সি মালিক ও ট্রাভেল এজেন্টদের দাবি, রাষ্ট্রায়ত্ব এয়ারলাইনস বিমান এককভাবে অতিরিক্ত মুনাফায় ভাড়া প্রস্তাব করে। বিমান ভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে হজ এজেন্সি মালিকরা স্বতন্ত্র টেকনিক্যাল কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছেন।

এদিকে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের ওপর অতিরিক্ত ভাড়ার বোঝা দিয়ে সারা বছরের লোকসানের ধকল কাটায় বলে অভিযোগ করেন হাব ও আটাব নেতারা। তারা বলছেন, হজ ফ্লাইট থেকে বিমান ৮০ থেকে ১৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত মুনাফা করে। বিমানের আয়ের ১৫ শতাংশ হয় হজ ফ্লাইট থেকে। বিমান বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১০ থেকে ২০ কোটি টাকা মুনাফা রেখে ভাড়া প্রস্তাব করলে হজযাত্রীদের ওপর আর্থিক চাপ কমবে বলে মনে করছেন তারা।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদনে আটাব সভাপতি এস এন মঞ্জুর মোর্শেদ হজযাত্রীদের নির্ধারিত বিমান ভাড়াসহ প্যাকেজ মূল্য পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন। আবেদনে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে ২০১৫ সালের পর থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় হজে ব্যয় কেমন ছিল এর পরিসংখ্যান তুলে ধরে আটাব জানিয়েছে, ২০১৭ হতে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৬ বছরে হজযাত্রীদের নির্ধারিত বিমান ভাড়া ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালে নির্ধারিত বিমান ভাড়া পূর্বের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিমান ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে হজ প্যাকেজের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বে আর্থিক মন্দার কারণে যে ডলার সংকট বিরাজ করছে তার প্রভাব হজযাত্রীদের আর্থিক চাপ আরও বৃদ্ধি পাবে এবং ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ থেকে হাজীগণ হজ করতে যাওয়ার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলবে। বিমান ভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারিত করা হলে হজযাত্রীদের আর্থিক ও মানসিক চাপ অনেকটাই হ্রাস পাবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আটাবের মহাসচিব আবদুস সালাম আরেফ আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘যেভাবে হজের খরচ বেড়েছে তাতে জায়গা-জমি বিক্রি করা ছাড়া অনেকের পক্ষে হজ করা সম্ভব হবে না। তাই, হজযাত্রীদের জন্য বিমান ভাড়া ও হজের খরচ সহনীয় মাত্রায় নির্ধারণে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়েছে।


আরো পড়ুন