• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৭ অপরাহ্ন

কালিয়াকৈরে তৈরি হচ্ছে নিম্নমানের সন্দেশ, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা

/ ১০৫ বার পঠিত
আপডেট: শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার শ্রীফলতলী এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে নিম্নমানের শিশুখাদ্য ‘সন্দেশ’। অনুমোদনহীন মোড়ক লাগিয়ে দেদারছে বিক্রি করে যাচ্ছে একটি চক্র। বিভিন্ন সময় অভিযান ও জরিমানা করেও এসব কারখানা বন্ধ না হওয়ায় চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিশুরা। ফলে এসব কারখানা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শ্রীফলতলী এলাকায় দীর্ঘদিন আগে গড়ে উঠেছে অবৈধ সন্দেশ কারখানা। মানিকগঞ্জ থেকে শুভরাজ নামে এক ব্যক্তি ওই এলাকায় অপূর্ব সন্দেশ নামে একটি কারখানা গড়ে তোলেন। বিভিন্ন বাজারের মিষ্টির দোকান থেকে ফেলে দেওয়া মিষ্টির গাদ কম দামে কিনে আনেন তিনি। ওই মিষ্টির গাদের সোটা, রং, নিম্নমানের সুজি ও আটা মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে শিশু খাদ্য সন্দেশ।
ওই কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের হাতে কোনো গ্লাফস নেই, আবার খালি গায়েও আছেন কোনো কোনো শ্রমিক। তাদের শরীরের গাম ঝরেও পড়ছে সন্দেশের ওপর।

এছাড়াও পাশের ডোবা ও টয়লেটের মশা-মাছি জীবানুসহ অনায়াসে সন্দেশ তৈরির উপকরণ ও সন্দেশে আনাগোনা করছে। এসব সন্দেশ প্লাস্টিকের বাটিতে ভরে এবং ভুয়া মোড়ক লাগিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছে। ওই মোড়কে প্রস্তুতকারক অপূর্ব ফুড প্রোডাক্টস লেখা থাকলেও তারও বিএসটিআইয়ের কোনো অনুমোদন নেই। পরে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন দোকানে ওই সন্দেশগুলো বিক্রি করা হচ্ছে।

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জীবানুযুক্ত ওই সন্দেশ খেয়ে শিশুরা ডাইরিয়া, কলেরা, ট্রাইফয়েট, পেট ব্যথা এলার্জিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এসব খাবার খেয়ে শিশুদের কিডনিজনিত সমস্যাও হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকরা। এতে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছেন শিশুরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিকটে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে সন্দেশ কারখানাটি চলে আসলেও দেখার কেউ নেই। এর আগেও উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে জরিমানা করলেও অজ্ঞাত ক্ষমতাবলে আবারো চলছে কারখানাটি। তবে শিগগিরিই কারখানাটি বন্ধ করে শিশু স্বাস্থ্য নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারখানাটির মালিক শুভরাজ ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমরা ব্যবসা করে খাই, মদের ব্যবসা করছি না। এতে জেল জরিমানা হলে হবে, এতে কোনো সমস্যা নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, শিগগিরিই ওই সন্দেশ কারখানায় অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে।


আরো পড়ুন