• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০১ পূর্বাহ্ন

তুরাগ নদী থেকে নিখোঁজ নারীর লাশ উদ্ধার: রিমান্ডে স্বামী

/ ৬৩ বার পঠিত
আপডেট: রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২২

নিখোঁজের একদিন পর সিরাজগঞ্জ শহরের কালীবাড়ি মহল্লার সায়মন পারভিন নিপুনের (৩৬) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রাজধানীর উত্তরার ১৫নং সেক্টরের দিয়াবাড়ি এলাকার ৩নং ব্রিজের নিচ থেকে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে নির্যাতনের চিহ্নসহ মুখমন্ডল বিকৃত করা লাশটি উদ্ধার করা হয়। সায়মন পারভিন নিপুন সিরাজগঞ্জ জেলা শহরের কালীবাড়ি মহল্লার মাহমুদুল হাসান বাবলু মুন্সির মেয়ে।

এই ঘটনায় তার ঘাতক স্বামী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ শরীফকে গ্রেফতার করেছে ঢাকার তুরাগ থানা পুলিশ। তুরাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম মামলার বরাতে জানান, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তামাই গ্রামের মো. শামসুল হকের ছেলে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ শরীফের সাথে ২০০৯ সালে পারিবারিকভাবে সায়মন পারভিন নিপুনের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ৩টি পুত্র সন্তান রয়েছে। তারা রাজধানী উত্তরার ৩নং সেক্টরে ভাড়া ফ্লাটে বসবাস করতেন। বিয়ের পর থেকেই স্বামী রাশেদ শরীফ প্রতিদিন রাতে দেরি করে বাসায় ফিরে যৌতুকের টাকা দাবি করে নিপুনকে মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করছিল। এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) রাত ৮ টার দিকে স্বামী রাশেদ শরীফ তার মেজো ভাই ও বোন জামাই মিলে নিপুনকে হত্যা করে তুরাগ নদীতে লাশ ফেলে দেয়। এরপর নিপুনের বাবাকে মোবাইল ফোনে তার মেয়ে কোনো এক ছেলের সাথে পালিয়ে গেছে বলে জানানো হয়।

এমন খবর পেয়ে পরদিন নিপুনের বাবা তার মেয়েকে খুঁজতে ঢাকায় এসে মেয়ের বাসায় গেলে মেয়ে জামাই রাশেদ শরীফ তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে বাসা থেকে বের করে দেয়। পরে বৃহস্পতিবার ভোরে নিপুনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে নিহত নিপুনের বাবা বাদী হয়ে শুক্রবার তুরাগ থানায় ৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত রাশেদ শরীফকে গ্রেফতার করা হয়, মামলার বাকি দুই আসামি পলাতক রয়েছে। তবে তাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গ্রেফতারকৃত রাশেদ শরীফকে শনিবার সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর ও নিপুনের স্বামীকে অধিকতর জিজ্ঞাবাদ ও তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

নিপুনের বাবা মাহমুদুল হাসান বাবলু মুন্সি অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সকল আসামিকে গ্রেফতার ও শাস্তির আওতায় আনবে বলে আশবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।


আরো পড়ুন