• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মিথ্যা অভিযোগের ভেড়াজালে সাংবাদিকবৃন্দ

/ ১১০ বার পঠিত
আপডেট: সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০২২

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গত ১৬ নভেম্বর বুধবার দুপুর ২টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া ইউনিয়নের হাঁসাড়া ঈদগাঁহ সংলগ্ন সমেরপাড়া গ্রামের মৃত আঃ রাজ্জাক এর পুত্র দেলোয়ার আকন, সাংবাদিক জাকির লস্কর কে ফোন দেয় যে, দেওয়ানী মোকদ্দমা চলাকালিন বিবাদী আবু বক্কর গং তাহার বাড়ির গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে তারা। দেলোয়ারের আকনের অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিক জাকির লস্কর ও সাংবাদিক মোফাজ্জল ঘটনা স্থলে পৌছালে অভিযোগের সত্যতা পায় সাংবাদিকগণ। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তেও ইট, বালু, সিমেন্ট দিয়ে দেয়াল উঠানোর কাজ করেছেন। এই কর্মকান্ডের ছবিই তোলেন সাংবাদিকগণ। কিন্তু মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্যই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে একটি নাটক তৈরী করেছেন আবু বক্কর ও তার পরিবারের সদস্যগণ।

সাংবাদিক জাকির লস্কর জানায়, আমরা যখন আবু বক্কর এর বোনের সাথে কথা বলি, তখন সাংবাদিকের পরিচয় দেই, বাদি দেলোয়ার সহ, তার মা, ভাদিজা সাথে ছিলো। তিনি আরোও বলেন, আবু বক্কর আমাকে ১৬ নভেম্বর রাত আনুমানিক ৮টা ১৯মি. দিকে ফোন দিয়ে হুমকী দেয়। আমি আদালতের অনুমতি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে এসেছি না কি এবং আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করবে বলে শ্বসান।

সাংবাদিক মোফাজ্জল জানায়, এমন কোনো ঘটনা ঐখানে ঘটে নাই। বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট।

বাদি দেলোয়ার আকন বলেন, আমি সাংবাদিক জাকির লস্কর কে ফোন দিয়ে আসতে বলি। মামলাকৃত জায়গা সাংবাদিক জাকির লস্করের সাথে আমি, আমার মা ও ভাতিজা সাথে গিয়ে ছিলাম। এমন কোন ঘটনা ঐ খানে ঘটে নাই। আবার এক সাথে ঐ খান থেকে চলে আসি।

এ ব্যাপারে আবু বক্কর বলেন, আমার পৈত্রিক সম্পত্তি। দেলোয়ার আকনের সাথে আদালতে জমিজমা নিয়ে মামলা চলমান। বিষয়টির সামাধান আদালতে হবে। তবে ঘটনাস্থলে আমি উপস্থিত ছিলাম না তবে সাংবাদিকগণ আমার বোনের ঘরে প্রবেশ করে অর্ধউলঙ্গ ছবি তুলেছে। বিষয়টির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

সাংবাদিক জাকির লস্কর বলেন, জমিসংক্রান্ত বিষয় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আদালতে মামলা চলমান এবং নিষেধাজ্ঞার পরেও সেই জায়গার গাছ কাটার কারণেই অভিযোগকারী দোলোয়ার আকন ঘটনাস্থলে পাঠায় এবং গাছ কাটার ছবি তোলেন সাংবাদিকগণ। কিন্তু ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্যই নাটক সাজিয়ে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম জানান, তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে সত্য মিথ্যা জানা যাবে।


আরো পড়ুন