• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০১ পূর্বাহ্ন

দৈনিক দেশবাংলা’র প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল

/ ২৭৫ বার পঠিত
আপডেট: বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০২২

আজিজুল ইসলাম যুবরাজঃ
দৈনিক দেশবাংলা পরিবারের আয়োজনে ৩১ই আগস্ট বুধবার বাদ মাগরিব দেশবাংলা’র স্টুডিও কক্ষে ৭১’র রণাঙ্গণের মুখপত্র দৈনিক দেশবাংলা’র প্রতিষ্ঠাতা, দেশ বরেণ্য সাংবাদিক ড. ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী’র ২য় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দৈনিক দেশবাংলা’র সিইও সেহলী পারভীনের ব্যবস্থাপনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক দেশবাংলা’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাঈদুর রহমান রিমন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসটিভি বাংলার সহ-সম্পাদক সুরমা আলম

আরো উপস্থিত ছিলেন সংবাদ টিভির চেয়ারম্যান জুয়েল খন্দকার, দৈনিক দেশবাংলা’র উপ-সম্পাদক টুটুল হুমায়ুন, হেড অফ নিউজ সজীব আকবর, মফস্বল সম্পাদক হেদায়াতুল ইসলাম তৌহিদ, সিটি এডিটর মোঃ আজিজুল হক, সিনিয়র সাংবাদিক সোহেল সামী ও মোস্তাকিম নিবিড়, পাবলিক ভয়েস এডিটর সাঈদা সুলতানা, সাব এডিটর কাজী ফয়েজ আহমেদ ও আজিজুল ইসলাম যুবরাজ, আইটি ইনচার্জ মেহেদী হাসান রিয়াদ, সঞ্চালন ব্যবস্থাপক আব্দুর রহমান ও ফারুক হাওলাদার, বিজ্ঞাপণ বিভাগের প্রধান শাহীন মিয়া, ডেলিভারী অ্যাসিস্ট্যান্ট চান মিয়া, ভোলা জেলা প্রতিনিধি ইয়ামিন হোসেন, অফিস সহায়ক বায়েজিদ বোস্তামী ও আলমগীর। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মোঃ খবির উদ্দিন।

উল্লেখ্য, ৭১’র রণাঙ্গনের মুখপত্র দেশবাংলার প্রতিষ্ঠাতা, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) চেয়ারম্যান, ডাকসুর সাবেক ভিপি ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী (৭৮) ২০২০ সালের ৩১ আগষ্ট সোমবার বেলা দেড়টার দিকে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় মেয়ের বাসায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে বেশকিছু দিন তিনি অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন।

মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী নিলুফার পান্না কোরেশী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ২০১৫ সালে তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার পর থেকেই কোরেশী অসুস্থতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। মৃত্যুর ঠিক আগের দিন ৩০ আগস্ট আবার তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে আর তাঁকে বাঁচানো যায়নি। মৃত্যুর পূর্বে তিনি স্ত্রী ছাড়াও দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

কোরেশীর মৃত্যুর পরদিন ১লা সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর পর জোহরের নামাজের পর ফেনীর দাগনভুঁইয়ার বাসুদেবপুর গ্রামে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

লেখক ও সাংবাদিক হিসেবে তাঁর বেশ খ্যাতি ছিল। ষাটের দশকে অবিভক্ত পাকিস্তান ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন ফেরদৌস কোরেশী। ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নির্বাচিত হন। ছয় দফা আন্দোলন ও ১১ দফা ভিত্তিক ছাত্র ও গণ-আন্দোলন, ৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থানে তিনি ছিলেন সামনের সারির নেতা। ১৯৭৮ সালে বিএনপি গঠিত হওয়ার পর ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী প্রথম যুগ্ম-মহাসচিব হন। ১৯৯৬ সালে ফেনী-২ আসন থেকে তিনি জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

এই কৃতি সন্তানের মৃত্যুতে দেশবাংলা পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন দৈনিক দেশবাংলা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাঈদুর রহমান রিমন।


আরো পড়ুন