নেওয়াজ মোর্শেদ নোমান, জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটে একাধিক ছাত্রীকে হয়রানী ও উত্তক্তের অভিযোগে রেজাউল করিম (৬০) ও তৌহিদুল ইসলাম (৩৫) নামে দু’জন মাদ্রাসার শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। বৃহষ্পতিবার দুপুরে ওই মাদ্রাসা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন- বুজরুগ ভারুনিয়া দাখিল মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শাখার কারী বিভাগের শিক্ষক রেজাউল করিম (৬০) ও একই শাখার জুনিয়র শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম (৩৫) ।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষকরা দীর্ঘ দিন ধরে ওই মাদ্রসার একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানী হয়রানী ও উত্তক্ত করে আসছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় দিকে রেজাউল করিম ওই মাদ্রসার ৩য় শ্রেনীর এক ছাত্রীর (১০) ষ্পর্কাতর অঙ্গে হাত দিয়ে যৌন হয়রানী করেন। পরে ওই শিশু তার বাবা-মাকে ঘটনাটি জানায়। এ ছাড়া একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে ওই মাদ্রাসার জুনিয়র শিক্ষক তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধেও।
ওই ছাত্রীর বাবা ও একাধিক অভিভাবক বলেন, শিক্ষক রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে এর আগেও তাকে তিন মাস সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল। অভিযুক্ত শিক্ষকরা বিভিন্নভাবে ছাত্রীদের যৌন হয়রানী করছেন বলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি মুলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান এলাকাবাসী। বুজরুগ ভারুনিয়া দাখিল মাদ্রাসার এডহক কমিটির আহ্বায়ক রেজওয়ানুল করিম বলেন, ‘এ নিয়ে গতকাল বুধবার রাতে ওই ছাত্রীর বাবা এডহক কমিটির কাছে অভিযোগ করেন।
পর দিন বৃহষ্পতিবার সকালে ১০টার দিকে এডহক কমিটি জরুরি মিটিং করে অভিযুক্ত শিক্ষকদের ৬ (ছয়) মাসের জন্য সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বুজরুগ ভারুনিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে চুরান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগের ভিক্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।