• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন

বানারীপাড়ায় মানব সেবার আরেক নাম এএসআই জাহিদ – করল টোকাই পূর্নবাসন।

/ ৩০৯ বার পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

রিপোর্টার সুমন খান:- বরিশাল বানারীপাড়ায় একের পর এক মানুষের জন্য মানবতায় এগিয়ে আসা আরেক নাম এ এস আই জাহিদ নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাসযোগ্য হবেনা কারো। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের সমাজের কল্যাণকর কাজ করে পত্রিকার হেডলাইন হয়েছেন তিনি। কখনও তিনি স্বীয় উদ্যোগে গ্রামের রাস্তা সংস্কার করেছেন, কখনও পথশিশুদের পূর্নবাসন সহ লেখাপড়ার ব্যবস্থা করেছেন।,কখনও শিশু জন্য করেছেন ফলদ চারা রোপণ আবার কখনও করেছেন এডিস মশক নিধনে রাস্তা ঘাট পরিস্কার যাহা তিনি করেছেন নিজ অর্থায়নে এবার তিনি অবদান রাখলেন টোকাই পূর্নবাসনে ছেলেটির নাম মোহাম্মদ রিয়াদ তার পিতা মৃতঃ জয়নাল খান ছোট রেখেই মারা যান তিনি। রিয়াদের মা সাবিনা আক্তার মানুষের বাসায় কাজ করে কোন রকমে পেট চালান। মোটামুটি বড় হবার পরই রিয়াদ পেটের তাগিদে নেমে পরেন কাজে, কোন ভালো কাজ না পাওয়ায় নেমে পরেন টোকাইয়ের কাজে ,এই কাজে যাযাবর জীবন বেছে নেয় রিয়াদ ।পেটের তাগিদে বিভিন্ন যায়গায় টোকাই এর কাজ করে রাস্তা ঘাটে ঘুমিয়ে থাকে সে,ঘুরতে ঘুরতে গতকাল বানারীপাড়া পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডে সুনিল নাথের পরিত্যক্ত ছোট একটি ঘরে এসে ঘুমিয়ে পরে।

এলাকাবাসী তাকে চোর সন্দেহ করে পুলিশকে খবর দেয় তখন এএসআই জাহিদ ও সঙ্গীয় ফোর্স এসে রিয়াদ’কে থানায় নিয়ে যান ।তখন এএসআই জাহিদ অধিকতর তদন্ত করে জানতে পারে রিয়াদ সম্পর্কে। তখন এএসআই জাহিদ সাংবাদিকদের জানান হাতিমারা গ্রামের টঙ্গীবাড়ী উপজেলা ও মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন এলাকায় বাড়ি রিয়াদের সমাজে ওর পরিচিত টোকাই হিসেবে । পরে এএসআই জাহিদ ছেলেটিকে নিজ উদ্যোগে ওর পুর্নবাসনের জন্য প্রথমে চুল কাটান পরে নিজ হাতে গোসল করিয়ে প্যান্ট-শার্ট জুতা কিনে দিয়ে হোটেলে নিজে দাড়িয়ে থেকে পেট ভরে ভাত খাওয়ান। পরে তাকে কিছু টাকা দিয়ে নিজ বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন এএসআই জাহিদ। এই সবকিছুই টোকাই রিয়াদের ভাগ্যে জোটে এএসআই জাহিদের নিজ অর্থায়নে।

রিয়দ’কে দিয়ে এএসআই জাহিদ ওয়াদা করান এরপর থেকে সে যেন আর টোকাইর কাজ না করে অন্যকোন কাজ করে বা লেখাপড়া করে। পরে গতকাল সন্ধা ৬টা ৩০ মিনিটে বানারীপাড়া লঞ্চ ঘাট থেকে এমভি ফারহান ৯ লঞ্চে কেরানির কাছে তুলে দেন রিয়াদকে এবং তাকে মুন্সিগঞ্জে নামিয়ে তাদের ঘাট কেরানিদের বাড়ি পৌছে দেয়ার জন্য ফারহান লঞ্চের কেরানিকে বলে তার হাতে দিয়ে দেন। এএসআই জাহিদের এই মহানুভবতা বানারীপাড়া সকলে মনে রাখবে চিরদিন। তার এক পর এক কল্যানকর কাজে বানারীপাড়াবাসী পুলিশের সন্তুষ্ট। উপস্থিত সকলে তার জন্য দোয়া ও সাফল্য কামনা করেন।


আরো পড়ুন