• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১০ অপরাহ্ন

লক্ষ্মীপুরে তথ্য কর্মকর্তার নামফলক ২শ ৮৫ প্রাইমারি স্কুলে করার চিন্তা করা হচ্ছে

অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর, প্রতিনিধি / ৩১৮ বার পঠিত
আপডেট: সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০

অনতিবিলম্বে সদর উপজেলার ২৮৫ টি প্রাইমারি স্কুলে তথ্য কর্মকর্তার নামফলক নিশ্চিত করার জন্য সকল বিদ্যালয়ে চিঠি দেয়া হবে। তেয়ারিগঞ্জ ইউনিয়নের আন্ধার মানিক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করণ প্রক্রিয়ায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সচেষ্ট থাকবেন বলেন জানিয়েছেন,উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল কুমার ঘোষ। করোনাকালীন প্রাথমিক শিক্ষা: করণীয় ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক অনলাইন মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হয়ে  উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল কুমার ঘোষ এমন কথা বলেন। প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সচেতন নাগরিক কমিটি সনাক, লক্ষ্মীপুর ও টিআইবি’ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সনাক, লক্ষ্মীপুরের সহসভাপতি ও শিক্ষা বিষয়ক উপকমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর জেডএম ফারুকীর সভাপতিত্বে এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সনাক সদস্য ও শিক্ষা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য কার্ত্তিক রঞ্জন সেনগুপ্ত। টিআইবির পক্ষে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা ক্লাস্টারের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ হুমায়ুন কবির। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন টিআইবি ও সনাক, লক্ষ্মীপুরের এরিয়া ম্যানেজার আব্দুল মান্নান আকন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বজন সদস্য রাফিয়া আক্তার রেশমা ও ইয়েস সদস্যবৃন্দ। করোনাকালীন সংকট মোকাবেলায় উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের শিক্ষা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ, বাস্তবায়ন এবং চ্যালেঞ্জ সম্পর্কিত উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ, ওমর ফারুক, ফারহানা হক ও শহীদুল ইসলাম।
সদর উপজেলার বিভিন্ন উদ্যোগ ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল কুমার ঘোষ। সনাক, লক্ষ্মীপুরের নির্ধারিত বিদ্যালয় ইউসুফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষক নুরজাহান বেগম। ইউসুফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান। ওয়াশব্লক নির্মাণে বিলম্ব হওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিমল কুমার ঘোষ বলেন, অগ্রাধিকারভিত্তিতে উক্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনিসহ সকল শিক্ষা কর্মকর্তাগণ করোনাকালীন পরিস্থিতিতে প্রাথমিক শিক্ষার চলমানধারা অব্যাহত রাখতে অনলাইন ক্লাশ ও অভিভাবকদের সচেতনতাবৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। একইসঙ্গে তারা সংসদ টেলিভিশন সহ একাধিক টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের প্রতি মনোযোগী হওয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতিনিয়ত উৎসাহ প্রদান করছেন বলে সভায় অবহিত করেন।
প্রোগ্রাম ম্যানেজার হুমায়ুন কবির এই করোনাকালীন সময়ে জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে কর্তৃপক্ষ যেসকল উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, টিআইবি প্রত্যাশা করে, ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ অন্যান্য উন্নয়ন কার্যক্রমের লক্ষ্যে, স্লিপ ফান্ডের মাধ্যমে বিদ্যালয়সমূহের জন্য যেসকল অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ সজাগ দৃষ্টি রাখবেন। তিনি আরো বলেন, আপনাদের ব্যস্ততার মধ্যেও এধরণের আয়োজন নিশ্চয়ই প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।


আরো পড়ুন